Cinema সম্বন্ধে খুঁজে পাওয়া লেখাগুলি

সুদেব সিংহ

‘কোমল গান্ধার’

“আগুনের বর্ণমালায় যখন লক্ষ কোটি মানুষের ললাটে ‘র‍্যাড্‌ক্লিফ লাইন’-এর রক্তক্ষরণ শুরু হল, তখন থেকেই পদ্মার চর ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ। নাটকে বৃদ্ধের চরিত্রে প্রধান অভিনেতা ভৃগু, আর-এক দলের অনসূয়াকে নিয়ে নতুন মঞ্চায়নের পরিকল্পনা করে। ইতিমধ্যে শিবনাথ-অভিনীত কোকিলকূজন সমন্বিত দৃশ্যে ডেকে উঠল অনেকগুলো ব্যাং।”

Representative Image
সুশোভন অধিকারী

ঋত্বিক ও রামকিঙ্কর

“ধীরে-ধীরে উভয়েই ঈষৎ টলোমলো পায়ে এগিয়ে এলেন ‘কলের বাঁশি’র দিকে। অন্য রিক্সায়, সেই মুভিক্যামেরাতে তখন তোয়ালের সাদা আবরণ খসিয়ে দিয়ে, ছবি নেওয়ার প্রস্তুতি চলেছে।”

Representative Image
সুমন সাহা

ফিল্মফিরিস্তি : ১

‘দেশ-বিদেশের এত চলচ্চিত্র, কিন্তু সব ছবিই কি সমানভাবে দেখা গুরুত্বপূর্ণ? কী দেখব, কেন দেখব, কী না দেখলেও চলে, পাশাপাশি এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে একান্তই যেগুলো দেখা প্রয়োজন, তা নিয়েই এই আলোচনা।’

হিরণ মিত্র

‘অযান্ত্রিক’

জগদ্দলের প্রান্তরজুড়ে অপূর্ব ছুটে চলা। বিশাল পর্দার কখনও এক কোণে, কখনও একেবারে প্রান্তে, কালো শরীর নিয়ে অপূর্ব জেগে থাকা। জগদ্দল যেন তার প্রেমিক, তার অর্ধাঙ্গিনী, সবটাই মান-অভিমানের খেলা। আদর করে তার গা মুছিয়ে দেওয়া। ছবির শুরুই হয় এক পাগল বরকে দিয়ে, যে তার টোপর আর ধুতি সামলাতে ব্যস্ত।

আদুর গোপালকৃষ্ণন

ক্লাসরুমের ঋত্বিক

‘‘পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রিন্সিপাল এবং ‘ডিরেকশন’ অর্থাৎ, নির্দেশনা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে তাঁর ভূমিকা ভোলার নয়। আমার মনে পড়ে না, কখনও ক্লাসে তিনি তাত্ত্বিকভাবে চলচ্চিত্রকে দেখতে শিখিয়েছেন বলে। ফিল্ম থিওরির চেয়ে সবসময়েই ঋত্বিক জোর দিয়েছিলেন হাতে-কলমে চলচ্চিত্রশিক্ষার ওপর।’’

Representative Image
প্রবুদ্ধ ঘোষ

‘নাগরিক’

ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্র নির্মাণের আড়াই দশক ও তৎপরবর্তী চলচ্চিত্রভাষার বাঁকবদলের প্রস্তুতির উপাদান— ‘নাগরিক’-এর নিরীক্ষা, ত্রুটি ও ভাষার মধ্যে নিহিত রয়েছে।

Aparna Sen
ডাকবাংলা.কম

সাক্ষাৎকার: অপর্ণা সেন

সম্পাদক-অভিনেত্রী অপর্ণা সেন নিয়ে যত-না কথা হয়েছে এতকাল, আড়ালে থেকে গেছে তাঁর পরিচালক-সত্তা। এই সাক্ষাৎকার আলো ফেলবে তাঁর সৃষ্টিশীলতার এই দিকটিতে।
অপর্ণা সেন-এর সঙ্গে কথা বললেন সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়।

Manik Bandyopadhyay and his book
আশিস পাঠক

স্বত্ব ও শর্ত

‘প্রযোজক কে কে প্রোডাকশনস সিনেমা করতে চেয়েছিল তাঁর ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ অবলম্বনে। মানিক প্রথমে রাজি হননি। তখন নিদারুণ অর্থাভাব তাঁর। তবু রাজি হননি। কারণ সিনেমার কাছে আত্মবিক্রয় করবেন না। প্রবল আত্মবিশ্বাসে নিজেই ডায়েরিতে লিখছেন সে-কথা।’

Representative Image
প্রিয়ক মিত্র

পুজো, কাশী, খুনখারাপি

“সাধুবাবাদের ভণ্ডামি ও মুখোশ খোলার এই খেলাটা অবশ্য খুবই আগ্রহব‍্যঞ্জক এই কারণে, ফেলুদা যে-বছর আবির্ভূত হচ্ছে গল্পের পাতায়, সেই বছরই মুক্তি পাচ্ছে ‘কাপুরুষ ও মহাপুরুষ’, যার মধ্যে ‘মহাপুরুষ’ পরশুরামের ‘বিরিঞ্চি বাবা’-র আধারে নির্মিত। ভণ্ড সাধুর যে-চেহারা সেই ছবিতে দেখিয়েছেন সত‍্যজিৎ, তার একধরনের ‘সাবভার্সন’ আসে মছলিবাবা-তে‌।”

Representative Image
তন্ময় ভট্টাচার্য

স্থাপত্যের অন্দরে

‘১৯৪৯-৫০ সালে চলচ্চিত্রে ধারণ করা বাংলার কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও বর্তমান সময়ে সেগুলির চিহ্নিতকরণ— চলচ্চিত্র-নির্মাণের প্রেক্ষিতে তো বটেই, আঞ্চলিক ইতিহাসের উপাদানের পট-পরিবর্তন বিশ্লেষণেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।’

Godard
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

অন্তর্ঘাতনার পুণ্য: গোদার

‘যাঁরা তাঁর বিরোধী, যাঁরা তাঁর স্বপক্ষে— সকলেই জানেন যে, গোদার প্রতিভা না চালাকি এই প্রশ্ন আজ অবান্তর। পৌত্তলিক ও নাস্তিক, উভয় পক্ষই মেনে নিয়েছেন গোদার আর নেহাত চলচ্চিত্র-স্রষ্টা নন, বরং বিশ শতকের ইতিহাসে একটি সাংস্কৃতিক গ্রাফিত্তি।’
গোদারের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ…

Scene of Nayak
ডাকবাংলা.কম

চোখ-কান খোলা : পর্ব ১৩

আরও অজস্র সম্ভারের মধ্যে উত্তমকুমারের জন্মকুণ্ডলী যেমন আছে, তেমনই গৌরীদেবীকে লেখা (কোন সময়ের, তা স্পষ্ট নয়) একরাশ চিঠিতে ক্ষমাপ্রার্থনা ও প্রেমের সে আশ্চর্য এক মিশেল! কোনও চিঠি আবার প্রোডাকশন হাউজের লেটারহেডে লেখা। ‘নায়ক’-এর পর সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে বার্লিনে গিয়ে বলছেন, ‘আর ভালো লাগছে না। সারাদিন খালি ছবি দেখা, পার্টীতে যাওয়া, মদ খাওয়া। আর ভালো লাগছে না! সত্যিই!’