Bengali literature সম্বন্ধে খুঁজে পাওয়া লেখাগুলি

Rahul Purakaystha feature Image
পৃথ্বী বসু

অর্থহীনতার দিনলিপি

‘একবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল রাহুলদা এই লিখে, ‘যাদের সঙ্গে মিশেছি, একটা রূপকথার মতো গদ্য লিখতে চাই এদের নিয়ে। সবাইকে মিলিয়ে মিশিয়ে, সময়কে ভাঙচুর করে।’ প্রথম লাইনটাও ঠিক হয়ে গেছিল: ‘রাস্তার যে-অংশে রোদ পড়েছে, সেটা আমার।’ বইয়ের নাম, ‘অর্থহীনতার দিনলিপি’।’

Author Banaphool
শ্রুতি গোস্বামী

বনফুলের গল্পজগৎ

‘পরস্পরবিরোধিতা, বিপরীতধর্মী দুই প্রকৃতির টানাপোড়েন, সাদা-কালো-ধূসরের খেলা বনফুলের গল্পের ভরকেন্দ্র। একইসঙ্গে তা মানুষের নিষ্ঠুরতা আর মানুষের অসহায়তার গল্প।’

Bibidhartho-Sangraha
পারঙ্গমা সেন সাহা

বিবিধার্থের বিবিধ কথা

‘পত্রিকাটির মোট আশিটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সব ক’টি সংখ্যাকে প্রতিলিপি সংস্করণের (Facsimile Edition)  মাধ্যমে তিনটি খণ্ডে বিন্যস্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে, যা বাংলা সংবাদ-সাময়িকপত্র সংকলনের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।’

আশিস পাঠক

মশক-মঙ্গল

‘বাংলা সাহিত্যকে কেন্দ্রে রেখে ব্যক্তিজীবন আর বিশ্বসাহিত্যপাঠকে সম্বল করে তন্ন তন্ন করে মশা খুঁজেছেন উষারঞ্জন। কিন্তু নিছক মশামারা কেরানির মতো গবেষণা করেননি। তাঁর তরতরিয়ে বয়ে চলা গদ্যে মশার পিছনে চলেছে তাঁর ভ্রমণকারী মনও।’

Jagadananda Ray
দীপ ঘোষ

বাংলা কল্পবিজ্ঞানের শুরু?

‘জগদানন্দ গল্প বেশি লেখেননি, তবে কুন্তলীনের প্রতিযোগীতায় জগদীশচন্দ্রের মতো তিনিও পুরস্কৃত হয়েছিলেন। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে, শুধু শুষ্ক গণিত নয়, সাহিত্যের মিঠে লব্জেও তিনি দক্ষ ছিলেন। জগদানন্দের জীবনের অন্যতম কাজ হল বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ ও পাঠ্যপুস্তক রচনা।’

Representative Image
স্বর্ণদীপ হোমরায়

নতুন সাহিত্যের সন্ধানে

আজকের আইরিশ সাহিত্যিকরা সাহিত্যের গঠনকে ভেঙে ফেলছেন, ছোট-ছোট বাক্যে, সাদা কাগজে স্পেস রেখে, অথবা চুপ করে থেকে পাঠকের কাছে পৌঁছাতে চাইছেন। তারা জানেন— শব্দ না বললেও পাঠক অনুভব করবে।

Prafulla Ray
জয়ন্ত দে

আমার প্রফুল্লদা…

‘প্রফুল্ল রায়ের জীবন দর্শন ছিল, যে লেখায়, ‘মানুষ-মাটি-সময়’ থাকে না, সে-লেখা আর যাই হোক সাহিত্য নয়। সে-লেখাও থাকবে না। এটা উনি শুধু বলতেন না, নিজের লেখায় তা পালন করতেন।’

Amiya Chakraborty with others poet
তন্ময় ভট্টাচার্য

অলঙ্ঘ্য দূরত্বে অমিয়?

‘সবচেয়ে জরুরি হল চিন্তার আধুনিকতা। বহুচর্চিত কোনও বিষয়কেও নতুনভাবে হাজির করা পাঠকের সামনে। এখানেই বর্তমান পাঠকের দূরত্ব তৈরি হয় অমিয় চক্রবর্তীদের সঙ্গে। অমিয়-র সমকালে যা ছিল নতুন, বিগত কয়েক দশকে বহুব্যবহারে অতিসাধারণ হয়ে এসেছে তা।’

অরুন্ধতী দাশ

প্রনাবি-র আসর

‘আত্মমর্যাদাজ্ঞান প্রখর ছিল প্রমথনাথের। প্রায় বদলে-যাওয়া নাটকের নবতর রূপটি ভাল করে পড়লেন প্রথমে, তারপর স্পষ্ট জানালেন, নিজের নামে এ-লেখা তিনি ছাপতে পাঠাতে পারবেন না। কারণ এতে আর তাঁর ‘নিজস্ব কিছু নেই’।’

মৃদুল দাশগুপ্ত

সংবাদ মূলত কাব‍্য: পর্ব ১১

‘বারাউনি জংশন স্টেশনে ট্রেন থেকে শুনলাম শহরগুলি ও শিল্পাঞ্চল থেকে জনগর্জন: তানাশাহি নহি চলে গা… ইন্দিরা হঠাও… বিহার তখন কাঁপছিল জয়প্রকাশ নারায়ণের ইন্দিরাবিরোধী আন্দোলনে। অর্থাৎ আমি ইতিহাসের ভিতরে ছিলাম।’

Kazi Nazrul Islam
রাজ্যেশ্বর সিনহা

‘সৈনিক’ নজরুল

‘দেশকে দেখা-জানার উপলব্ধিতে নজরুলের নিজস্ব অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মুজফফর আহমেদের মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আন্তরিক সান্নিধ্য।’

Manik Bandyopadhyay
অনল পাল

কলম-পেষা মজুর

‘মোদ্দা কথাটা মানিক বলে গিয়েছেন তাঁর ‘লেখকের কথা’-য়। প্রশ্নটা কলম-পেষা মজুরের দায়। একটা জীবন-দর্শন ছাড়া সাহিত্যিক হওয়া অসম্ভব। সর্বত্র জীবনকে দেখার বিরামহীন শ্রম তাকে দিতেই হবে। সে-অর্থে সাহিত্যিকও আদতে মজুর-ই।’