

ভালবাসার সমুদ্র
‘‘নির্জন সৈকতে’ দেখে প্রথমবারই অবাক হয়েছিলাম। ১৯৬৩-তে এমন একটি ছবি তপন সিংহ বানিয়েছিলেন, যার কেন্দ্রে চার বিধবা মেয়ের নিজেরা নিজেরা তীর্থে বেরিয়ে পড়া।’
‘‘নির্জন সৈকতে’ দেখে প্রথমবারই অবাক হয়েছিলাম। ১৯৬৩-তে এমন একটি ছবি তপন সিংহ বানিয়েছিলেন, যার কেন্দ্রে চার বিধবা মেয়ের নিজেরা নিজেরা তীর্থে বেরিয়ে পড়া।’
‘‘সব চরিত্র কাল্পনিক’-এ রঙের ব্যবহার থেকে শুরু করে আরও নানা কিছুতে নিরীক্ষামূলক কিছু কাজ হয়েছিল। আমার কেরিয়ারেও তাই ছবিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থেকে যাবে। এক্সপেরিমেন্ট করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতেন ঋতুদা।’
ঋতুদাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ঋতুদা, ফ্রেমিং কীভাবে বুঝব? ঋতুদা বলেছিলেন, তুই কমিক্স-এর বই পড়, টিনটিন, বেতাল — যা ইচ্ছে; সেগুলো মন দিয়ে অনুসরণ কর; তাহলেই আলোর সেন্স, (SP- Standerd Play), (EP- Extended Play)— এগুলো সহজে বুঝে যাবি।
‘প্রেক্ষাপটই যেন অমোঘ তুলিটানে তৈরি করে দেয় ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবির চরিত্রদের মনস্তত্ত্ব। ছবির বহুমাত্রিক বিন্যাস যেন সংগীতের মতো দৃ্শ্য থেকে দৃশ্যান্তরে ছড়িয়ে যায়, উপাদানগুলি পরস্পরকে স্পর্শ করে কিংবা সংঘাতে লিপ্ত হয়।’
‘সিনেমার শিল্প নিয়ে উদ্দীপনা, অভিনয়ের খুঁটিনাটি বুঝে নেয়ার চেষ্টা— কোনওটারই কমতি ছিল না ডিজির। অন্যান্য অনেক অভিনেতার মতো তিনি শুধু অভিনয় নিয়ে থাকলেই আদি সিনেমায় অমরত্ব পেতেন।’
‘তুলসী চক্রবর্তী এমন একজন অভিনেতা, যিনি স্বয়ম্ভূ, তাঁর কোনও পরিচালক লাগে না। সত্যজিৎ রায় বাঙালি জাতির হয়ে তাঁকে কৃতজ্ঞতা নিবেদন করেছেন, এইমাত্র। বাঙালি মধ্যবিত্তর আর্কেটাইপ তুলসীচরণ। স্বপ্ন আর স্বপ্নহীনতার অন্তর্বর্তী স্তরে একটু থতমত খেয়ে যেন চিত্রার্পিত।’
‘কুমার রায়কেই বহুরূপী-র নাট্য নির্দেশনা এবং ‘বহুরূপী’ পত্রিকা সম্পাদনা এবং অন্যান্য কাজের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। ফলত তিনিই ছিলেন আমার এবং আমার মতো আরও অনেকের প্রথাগত নাট্যশিক্ষার গুরু।’
‘তালিমপ্রাপ্ত ঘরানাদার গাইয়ে এবং থিয়েটার ও সিনেমায় সু-অভিনেতার কম্বিনেশন কিন্তু একমাত্র পাহাড়ী সান্যালই।… তিরিশের নায়ক, পাঁচের দশকে এসে স্বাভাবিকভাবেই বয়স্ক, বয়সোচিত পার্শ্বচরিত্রে স্বচ্ছন্দে সরে গেলেন।‘
‘যাঁকে দিয়ে অভিনয় করাতে চাইতেন, তাঁর কথাবার্তার স্টাইল, ম্যানারিজম খুব মন দিয়ে, নীরবে লক্ষ করতেন। পরবর্তীতে বুঝেছি, সেজন্যই রোববারের আড্ডায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রথমে।’
‘অরুন্ধতী দেবীই সেই প্রথম মহিলা পরিচালক যিনি নিজের লিঙ্গ-অবস্থান বিষয়ে সচেতন হয়ে পরিচালনায় হাত দিয়েছিলেন। অরুন্ধতীর প্রত্যেকটি ছবি, তাদের প্রায় সবক’টি উপাদান নিয়ে একান্তভাবে একটি মেয়ের চোখ দিয়ে দেখা…’
‘একমাত্র ঋত্বিক ঘটকের ছবিতেই আমরা এমন একজন অভিনেত্রীকে পাই, যার শরীরী ভাষা চ্যালেঞ্জ জানায় ‘হিরোইন’-কে দেখার চিরাচরিত দৃষ্টিকোণকে। সুপ্রিয়া রীতিমতো গ্রিক-হিরোদের মতো রোবাস্ট, সটান, কুণ্ঠাহীন।’
‘একজায়গায় বারবার বাজিমাত করেছেন হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়।… তাঁর স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা ছিল সাবেক বুর্জোয়ার আধুনিক রূপ, যার বসতি বাগবাজার নয়, বালিগঞ্জ; যার বাহন জুড়িগাড়ি নয়, বরং সেলফ ড্রিভেন মরিস মাইনর।‘
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.