নাস্তি

১.
চেয়ারগুলো যদি ধীর লয়ে সিলিং থেকে ঝুলে পড়ে আমি প্রতিষেধক খুঁজি ক্লাউন ভিড়ে

এইমাত্র একজন অভিনেতা যুক্তিবাদী প্যাথলজিক্যাল চিৎকার করছে… আমায় তাড়া করেছে… ছুটছি… থামাতে চেষ্টা করছি

ঘরে ফিরেছে, ধরা পড়বে না কারণ কোনও রফা ছাড়াই ঘর ছাড়ছি

বর্ষা পিছল রাস্তা নতুনের সন্ধানে স্লাইস কেকের ফাঁকে জমে যাওয়া সন্ধের মতো আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে

‘ভোররাতে ঈশ্বররা ঘিরে ধরে আমাদের’— শারীরিকভাবে প্রিয় মানুষটা তোমায় আমায় এইরকমই কিছু বলেছে

নতুন পুরনো পুরনো পুরনো পুরনো নতুন পুরনো

২.
একটা গামছায় ঠিক ততগুলো কয়েন জড়ো করে মুঠোবাঁধা যাতে একজন মানুষের মাথা লক্ষ্য করে ছুঁড়লে খুলি ফেটে যায়

মগজগুলো ফেটে ছড়িয়ে যায় ছত্রভঙ্গ রাস্তার মোড়ে 

সমুদ্রগন্ধ আর বুনো তামাক জড়িয়ে থাকে পেন্টব্রাশে

আমার প্রপিতামহ অবয়ব পাশে বসে থাকে

ফ্লাইওভারে দৌড়ে ঝুলে থাকে একতাল সুতো ঘুড়ি স্ফটিককম্পাস

৩.
একটা পুরনো বাড়ির ছাদে বা উপরের তলায় আমি প্রায়ই ক-টা চিঠি খুঁজতে যাই

ধুলো ঘাঁটতে ঘাঁটতে হাত ভারী হয়ে আসে, অনেক খুঁজে শেষমেশ পাই আধভাঙা চিঠিগুলো

তারপর নেমে আসি একটা সিঁড়ি দিয়ে… তা যেন সব অন্ধকার দিয়ে মোড়া আমার স্কুল অথবা পুরনো বাড়ির সিঁড়ি

নামতে নামতে মলিন কাগজগুলো হাত ছিঁড়ে উড়ে যায় খড়কুটোর মতো

চিৎকার করতে থাকি পুরনো নামগুলো ধরে…

এই ধুলোবালিতে আমার প্লাস্টার খসে খসে পড়ে

৪.
ছাইমাটি মুছে দিলে কঙ্কালগুলোর বুকপকেট থেকে ঝুলে থাকে জলে ধোয়া সিম্বল

তিনজন বাদে সবাইকে দ্রবীভূত করে দিতে পারে এমন পারদ সরীসৃপ হয়ে দেওয়াল বেয়ে উঠতে থাকে

তেলবাটি ফেলে রেখে সরষে ছড়িয়ে হোঁচট খেতে খেতে জমির দিকে এগোই

ধূপ আর ফরমালিন গন্ধে ঘুম জড়িয়ে আসে

কভারের ছবি : সোমনাথ হোর
ছবি সৌজন্যে : গ্যালারি ৮৮