‘অন্ধ কানাই পথের ধারে
গান শুনিয়ে ভিক্ষে করে’
এই লাইন দু’টির সঙ্গে, আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। ‘সহজপাঠ’-এর দ্বিতীয় ভাগ, ‘হাট’ কবিতার অংশ। অংশ না বলে, বলা ভাল, দৃশ্যর টুকরো। এই কারণেই দৃশ্য বলছি, লাইনদুটির আগে ও পরে, যা বলা রয়েছে— চাষীর মেয়ের খড় নিয়ে ঘরে ফেরা, কিংবা, স্নানের ঘাটে, পাড়ার ছেলেদের সাঁতার কাটা এই সবটুকুই একটা গল্প বলে।
মাঝে, কানাই নামের এক অন্ধ ছেলের ভিক্ষা-দৃশ্যই, বরং অস্বস্তিতে ফেলে পাঠককে। পাঠক বলতে এখানে, বড় হয়ে নানা অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে তৈরি হওয়া, পাঠকের কথা বলছি। যে পাঠক, রাস্তায়, বাজারে, ট্রেনে— কাউকে ভিক্ষা করতে দেখেলে, ফোনের রিল থেকে— চোখে তুলে তাকিয়ে, নাক কোঁচকাবে, কিংবা দু’তিন টাকা, বড় জোর ১০ টাকা পর্যন্ত দান করে, আল্হাদে গদগদ হয়ে নিজেকে মহান ভাববে। (গায়ক খুব বেশি ট্যালেন্টেড হলে, ‘#ভাইরাল’ ট্রেন্ডের কল্যানে— ছোটখাটো সেলিব্রিটিও হয়ে যেতে পারে অনায়াসে।)
আরও পড়ুন: উত্তর বলয়ের প্রভাবই কি ব্যান্ডপার্টি থেকে ব্রাত্য করল রবীন্দ্রসংগীত? লিখছেন রাজর্ষি ধাড়া
তবে, নেহাতই ছন্দ মেলানোর জন্য, এই লাইন দু’টির প্রয়োগ, তা তো নয়, এ নিতান্ত বাস্তব চিত্র। ‘হাট’-এর কোলাহলমুখর আবহে, অন্ধ কানাই-এর মতো চরিত্রের ভিক্ষা করাই যেন অবধারিত, উপরি পাওনা গান। যে-গানে থাকবে, দ্রুততার মাঝেও মনকেমনের সুর; কিন্তু এই দু’টি লাইনেই থেমে যায় না গল্পটা, দ্রুত দৃশ্যর বদল হয় — পরের দৃশ্যর সঙ্গে আগের, সেই অর্থে কোনও সাযুজ্য নেই। কিন্তু এই ভিক্ষা দৃশ্য, মোক্ষম হয়েই থেকে যায়, পাঠক মননে।
একইসঙ্গে, যে বা যারা, অল্পবয়স, থুড়ি কল্পবয়সে— প্রথমবার ‘সহজপাঠ’ পড়ছে, তাদের অনেকের কাছেই, অন্ধ কানাইয়ের চরিত্রটি হয়ে যায়, চিরকালীন ভিক্ষুকের প্রতিরূপ। অন্তত আমার মনে, ছেলেবেলায় যে ভিক্ষুককেই দেখতাম, মনে পড়ত— রবীন্দ্রনাথের লেখা, ‘হাট’-এর সেই অন্ধ কানাইয়ের কথা।
পথে, পথের প্রান্তে আমাদের দেশে সুর ছড়িয়ে থাকে। হয়তো সারা বিশ্বের ক্ষেত্রেই এ-কথা প্রযোজ্য। কিছু মানুষ সেই সুরকে আশ্রয় করে, জীবনযাপন করেন। তাঁরা হয়তো ‘well-celebrated’ নন, কিন্তু নিজের গানের কাছে, ১০০ শতাংশ সৎ। তাঁরা গানকেই বেছে নিয়েছেন দু’মুঠো অন্ন জোগাড়ের আঁচল হিসেবে। কেউ ট্রেনের কামরায়, স্টেশনে, ফুটপাথে কেউ-বা পাড়ার অলিতে-গলিতে— এমন নানা জায়গায় গান শুনিয়ে ভিক্ষে করেন…
কোনও একটা কোলাহল মুখর বাজার, কিংবা ভিড় ট্রেনের মাঝে, পুরোনো হিন্দি/বাংলা গান গেয়ে উঠলেন কেউ। হয়তো, সেই গান আপনার খুব প্রিয়, কিন্তু বহুদিন আপনি শোনেননি। হঠাৎ ‘পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার’ মতো উপহার হয়ে থাকবে, আপনার যাত্রাপথে সেই অনামী-অখ্যাত ভিক্ষুকের গান। আপনিও তাঁকে যথারীতি ভুলে যাবেন, তার মুখও আপনার মনে থাকবে না— কিন্তু যা মনে থাকবে, তা হল গান।
বিশ্ব সংগীত দিবসে, এই মানুষগুলোকেই একবার ফিরে দেখার চেষ্টা, যাদের কথা কোথাও ধরা থাকে না। যাদের গানই শুধু রয়ে যায়, একমাত্র সম্বল হিসেবে…যারা প্রতিনিয়ত গানের উদ্যাপনেই বাঁচে; কখনও পেটের টানে, কখনও-বা শুধু সুরের টানেই।
শান্তিনিকেতনের কথা দিয়েই গল্পগুলো শুরু করা যাক। শিয়ালদহ থেকে, মা-তারা এক্সপ্রেস, বা হাওড়া থেকে কবিগুরু— আপনি যে ট্রেনেই উঠুন না কেন। ট্রেন, ঠিক যখন বর্ধমান ছাড়বে, গুসকরা পেরোবে, প্রতিবারই আপনার কাছে আসবে— লালন। থুড়ি, লালনের গান গাইছেন, এমন এক বাউল।
আপনার কানে, ইয়ারফোনে, তখন হয়তো ডিলান বাজছে, কিংবা রবি ঠাকুর— কিন্তু আপনি লালনের সুর এড়াতে পারবেন না। ক’দিন আগেই, এই লেখাটির প্রস্তুতি পর্বে, কোনও এক বাউলের সঙ্গে কথা বলব বলে, শান্তিনিকেতন রওনা দিলাম এবং যথারীতি ট্রেনের কামরায়, এক বাউলকে প্রশ্ন করলাম।
— ‘আপনার নাম কী, আপনার ট্রেনে-ট্রেনে, গান গাওয়া শুরু হল কবে থেকে?’
মোক্ষম এক জবাব এসেছিল প্রথমে।
— ‘আমি যে বাউল বাবু, বাউলই আমার নাম, আমার পরিচয়। নামে কী আসে যায়’— পরে অবশ্য বললেন, নাম নিতাই দাস বাউল। থাকেন, প্রান্তিক স্টেশনের কাছে। ট্রেনে গান করেন, এতে সংসার চলে না। ছোট একটা মুদির দোকান আছে। কবে থেকে গান শুরু করেন, মনে নেই; বাউলদের ভাল লাগত, আখড়ায়-আখড়ায় ঘুরতেন ছেলেবেলা থেকেই— তখন থেকেই লালনের গান সঙ্গী। শুধু লালনই নন, তাঁর সুরে এসে ধরা দিয়েছে ভবা পাগলা, রবি ঠাকুর এমনকী কবীরও! সুরের দর্শনে, সব মিলেমিশে একাকার। হঠাৎ গেয়ে উঠলেন, ‘আমার নিতাই চাঁদের বাজারে/ গৌর চাঁদের দরবারে/ একমন যার সেই যেতে পারে।’


আশ্চর্য ছড়া কাটেন ভদ্রলোক! শেষে বলে গেলেন, ‘পেটের টানে গান গাই /প্রাণ বাঁচান লালন সাঁই’ — এগিয়ে চললেন, নিতাইদাস বাউল… নানা মানুষ তাঁকে ভিক্ষে দিলেন। তাঁর গানটুকু রয়ে গেল।
‘…তারে ধরতে পারলে মনোবেড়ি
দিতাম পাখির পায়
কেমনে আসে যায়
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি।
কেমনে আসে যায়…’
শান্তিনিকেতন থেকে একলাফে, এবারে আসা যাক দমদম স্টেশনের বাইরে। একনম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে, সাবওয়ে দিয়ে নেমেই, যে-দিকটায় মেট্রোর টিকিট কাউন্টার, সেখানে এক বাঁশিওয়ালা বসেন, বাঁশির পসরা সাজিয়ে। এবারে দমদম গেলেই নজর করবেন তাঁকে। ওই কয়েক মুহূর্তের টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়িয়ে, আপনার কানে, বাঁশির সুরে ভেসে আসতে পারে, ‘গুলাবি আঁখে’ থেকে, ‘নয়ন সরসী কেন’ হয়ে ‘হে আপনা দিল’-এর মতো এমন অনেক গানের সুর। মানুষটির বয়স আন্দাজ করা কঠিন। খুব বেশি কথা তিনি বলেন না, শুধু জানা গেল, ছোট থেকেই আসেন দমদম স্টেশনে, এখানেই যে শুধু বাঁশি বাজান এমন নয়, বাঁশি নিয়ে ফিরি করেন, নানা জায়গায়। তাঁকে নানা সময়ে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও যেতে হয়, সুরের প্রদর্শনীর জন্য।
বাঁশিওয়ালার পাশেই, এক ভদ্রমহিলা ব্যাগের পসরা নিয়ে বসেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল, তাঁর প্রায় ২৪ বছর কাটছে, দমদম স্টেশনের বাইরে, ব্যাগের হকারিতে। এই বাঁশিওলাকে, তিনিও ছোট থেকেই দেখছেন। নিজের মতো আসেন, বাঁশি বাজান, চলে যান আপন মনে। কম কথার মানুষ, কথা বলেন সুরেই…
এবারে, একটু দমদম স্টেশনে উঠে আসুন, ওই এক নম্বর প্ল্যাটফর্মেই। বেশ কয়েক বছর আগের কথা। এক দাদু-নাতনিকে একদিন দেখা গেল, দাদু হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন, পরনে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি, ধুলোয় মলিন। গলায় তুলসীর মালা। তাঁর নাতনির বয়স, বড়জোর ৮/৯ হবে। সে গলা ছেড়ে গাইছে, ‘বনমালী তুমি, পরজনমে হইও রাধা।’ কী সেই সুর! যেন স্বয়ং রাধা এসে কৃষ্ণর কাছে আকুতি জানাচ্ছেন।
পথ তো একটা মাধ্যম মাত্র। গান গেয়ে মানুষের কাছে পৌঁছনোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে প্রধান। সেখানে দমদম-বারাসাত লোকালে, প্রিয়াঙ্কা মাঝি গান গাইতে ওঠে, নিজের ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়, বারুইপুর লোকালে, অন্ধ গায়ক ‘গীতবিতান’ হাতে গেয়ে চলেন, ‘আমার হৃদয় তোমার আপন হাতে দোলে’
এই দৃশ্যর সামনে, ভিড় করে আসে অজস্র ভাবনা। প্রথমত, এই গানের যে দর্শন, তা কি ঐ বাচ্চা মেয়েটি জানে? না জানলে, গানে এই প্রাণ আসে কোত্থেকে! আমরা যদি ধরে নিই, যে মেয়েটি এই গানের মর্মার্থ জানে, অর্থাৎ ‘রাধা ভাব’ সম্পর্কে তাঁর ধারণা আছে — এখানেই ভিক্ষুকদের গান ও তার মধ্যে নিহিত দর্শনের এক ভিন্ন চিত্র উঠে আসবে।
লক্ষ্য করলে, দেখা যাবে। ভারতবর্ষর প্রতিটা প্রদেশে যে-সমস্ত গান, পথের ভিক্ষুক, বাউল, ফকির প্রমুখরা গেয়ে থাকেন, তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই, এক-একটা দর্শন দ্বারা চালিত। শুধুমাত্র যে পেটের টানে, তাঁরা গানগুলো বেছে নিয়েছেন, তা নয়। তাঁদের অধিকাংশই গানটা জানেন, এবং নিজেদের দর্শন ও বিশ্বাসের থেকে উঠে আসা গানই, তাঁরা রিপ্রেজেন্ট করছেন।
সব সময়ে কিন্তু, টাকাটা বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে না তাঁদের কাছে। এখন যেমন একটা ট্রেন্ড উঠেছে, ভিক্ষুককে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা না দিলে, তাঁরা সেই টাকা নেন না, ছুড়ে ফেলে দেন। কিন্তু যারা গান গেয়ে চলেন? বাজিয়ে চলেন বাঁশি, কখনও দোতারা, তাঁদের প্রত্যাশা থাকে না কিছুই। তাঁরা আপন মনে গেয়ে চলেন, বাজিয়ে চলেন। রফি থেকে মান্না, সলিল থেকে লতা।
ধরা যাক, ভগবান মালীর কথা, নিবাস মালদায়। আপন মনে বেহালা বাজান, অতিমারী পর্বে, কলকাতায় চলে এসেছেন পেটের টানে। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, জামাই। রয়েছে এক নাতিও। কলকাতায়, গিরিশ পার্ক অঞ্চলে, পথেই তাঁর বর্তমান আস্তানা। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে, করোনা পর্বেই— ২০২১ সাল নাগাদ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু তার পরে? ভগবানের বেহালা, রাস্তার সুরেই রয়ে গেল। প্রত্যাশিত পরিচিতি, যশ তাঁর হল না। কিন্তু তাতে, তাঁর কোনও গৌরবহানি হয়নি। বেহালাতে সুর ওঠে অবিরাম, পাশে বসে থাকেন তাঁর স্ত্রী…ভগবান বাজিয়ে চলেন, ‘দিওয়ানা হুয়া পাগল…’, সুরের বাঁক বদলায়, ভগবান বাজিয়ে চলেন, ‘আমায় প্রশ্ন করে, নীল ধ্রুবতারা, আর কত কাল আমি রব দিশাহারা…’


ঠিক এইখানে দাঁড়িয়ে, একটু ইতিহাস কিংবা সামাজিক প্রেক্ষাপটে ফেরা যাক। আমাদের দেশে ভিক্ষা করে, পথে-পথে গান গাওয়ার ইতিহাস বহুদিনের। সে-সময়ের কোনও সীমারেখা পাওয়া মুশকিল। পুরাণ, মহাকাব্যে— গান গেয়ে ভিক্ষা করার প্রসঙ্গ লিখলে, তা এই নিবন্ধের পরিধিই বাড়াবে শুধু।
ইউরোপ-আমেরিকার নানা প্রদেশে, যেভাবে স্ট্রিট মিউজিক, ‘পপ’, ‘জ্যাজ’ বা ‘ব্লুজ’— এই ঘরানাগুলোর ভিন্ন একটা সংস্কৃতি গড়ে উঠল, এদেশের এত উপাদান থাকা সত্ত্বেও, তা কোনও কেন্দ্রীভূত, সমান্তরাল সংস্কৃতি হিসেবে কেন উঠে এল না? আমরা যদি মোটা দাগে পার্থক্য খুঁজি, আপাত দৃষ্টিতে দেখব, এখানকার পথের গানের একটা অংশ, ভিন্ন সংস্কৃতি বহন করলেও, থেকে গেছে ‘ভিক্ষা’ পাওয়ার একটা অঙ্গ হিসেবেই।
হয়তো তৃতীয় বিশ্বর, নিম্ন অর্থনৈতিক অবস্থার পরিকাঠামোর জন্যই— বিশ্বায়নের পরও তাদের একটা বড় অংশ, হোমোজেনাস সংস্কৃতি ও পপুলেশনের অঙ্গ হিসেবে উঠে আসতে পারেনি, রয়ে গেছে আইসোলেটেড হয়েই, তাই হয়তো তাদের অনেকেরই গানে, বিশেষ কিছু বলিউডি ও বাংলা গানের সুরই, বারবার ফিরে আসে। উলটোদিকে, বিদেশের মাটিতে পথে-পথে গান গেয়েও, মানুষ ভিক্ষা করছে, কিন্তু সেখানে উঠে আসছে, বহমান সমাজ-অর্থনীতির কথা, কখনও খুব একান্ত ভাবে ব্যক্তি চেতনার কথাও। কিন্তু সেটা চেনা ছকের বাইরে, নতুন সুরে নতুন কথায়। আমাদের এখানে যারা নতুন গান লেখে, সুর তুলে আনে তাদের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো যথেষ্ট আলাদা। তাঁদের বেশিরভাগই প্রিভিলেজড।
পথ তো একটা মাধ্যম মাত্র। গান গেয়ে মানুষের কাছে পৌঁছনোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে প্রধান। সেখানে দমদম-বারাসাত লোকালে, প্রিয়াঙ্কা মাঝি গান গাইতে ওঠে, নিজের ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়, বারুইপুর লোকালে, অন্ধ গায়ক ‘গীতবিতান’ হাতে গেয়ে চলেন, ‘আমার হৃদয় তোমার আপন হাতে দোলে’— সেই মুহূর্তগুলো শ্রোতাদের যাত্রাপথে, স্বপ্ন রাজ্য নির্মাণ করলেও, (আহা রবীন্দ্রনাথের গান গাইছেন, একজন অন্ধ ভিক্ষুক — এই তো রবীন্দ্রনাথের চিরন্তন আবেদন) এধরনের ভাবনার বাইরে, যে বা যারা গাইছেন, তার কাছে কি যন্ত্রনার ভাবুন তো? তাঁকে হয়তো বাড়ি ফিরেই, মায়ের চিকিৎসার ওষুধ জোগাড় করতে হবে। বা পরিবারের মুখে সেদিনকার মতো দু’মুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে— তার কাছে কি গানের করুণ আবেদনের বাইরে আর-কিছু পড়ে থাকে? নাকি এসব মানুষের রাজনৈতিক গান গাওয়ার অবকাশ আছে? পথের প্রান্তে পড়ে থাকা, বিভিন্ন মানুষে কণ্ঠে চেনা গানের সুরে, এ-প্রশ্ন থেকেই যায়।