পত্রিকা

সব্যসাচী সান্যাল

ভ্রমণকাহিনি; চ্যাপ্টার রামগড় (উত্তরাখণ্ড)

‘ঐ যে পাহাড়। আর ত্যারছা ঢাল তার। ঢাল বেয়ে পাথর গড়িয়ে পড়ে, গাড়ির হর্ন, আফশোস, স্নেহ, কৃতজ্ঞতার মতো বিশাল চাঙড়, খুচরো থ্যাংকিউ, সন্ধ্যা নামতে থাকলে ব্লেন্ডারস প্রাইড। গ্লেন খোঁজা বারণ।’

ঋভু চট্টোপাধ্যায়

এই আমি অথবা আমি

‘অম্লান আসলে কে? আমি, না কি আপনারা সবাই? না কি কেউ না, ওই আয়নাটা কিছু জানে, বোঝে? আমি নাচলে নাচে, কাঁদলে কাঁদে। কিন্তু বাকি কিছু? অম্লান মানে আমি, মানে আপনারা, এভাবেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।’

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২০

অরুণ মিত্র, এমন একজন কবি, যিনি আমাদের আয়ু চেনান, নক্ষত্র চেনান, বিস্তার চেনান। তাঁর কবিতায় উত্তাল নাগরিকতার সঙ্গে সহাবস্থানে থাকে শান্ত প্রকৃতি। আর নিভু স্বরে থাকে অনুচ্চকিত প্রতিবাদ। তিনি হঠাৎ শেষ করে দিতে পারেন তাঁর কবিতা, কোনও মার্জনা না চেয়েই।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৩

পরিবেশকর্মীরা এখন অভিনব আন্দোলন করছেন, মিউজিয়ামে গিয়ে বিখ্যাত ছবির কাচে ছুড়ে মারছেন টম্যাটো স্য়ুপ বা আলুভাতে, তারপর নিজেদের ফ্রেমে বা দেওয়ালে আটকে বলতে শুরু করছেন, পৃথিবী লুপ্ত হলে শিল্পের কোনও মানে থাকবে না।

ম্যাকি: পর্ব ২১

‘দাদুর জেনারেশন বাবাদের জেনারেশন নিয়ে বিরক্ত, বাবা এদিকে ছেলেমেয়ের জেনারেশন নিয়ে বিরক্ত। আগেই ভাল ছিল। তাহলে ডিফাইন ‘আগে’, কত আগে? কার আগে? আগে করতে-করতে তো ডাইনোসরের সময়ে চলে যাবি তোরা!’

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৮৫

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

বোড়ে দিয়ে কিস্তিমাত

‘নিজেকে জাহির না করে নিজের প্রগাঢ় নাট্যপ্রেম আর পাক-ধরতে-শুরু-করা চলচ্চিত্রবোধ দিয়ে ঘুঁটি সাজাতে পারলে রাজা-উজির নয়, বোড়ে দিয়েও যে কিস্তিমাত করা যায়, ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ তার বিজ্ঞাপন হয়ে থাকল। ফের মনে করিয়ে দিল যে বাংলা থিয়েটারের কাছে বাংলা সিনেমার ঋণ কখনই চুকবার নয়।’

রূপক চক্রবর্তী

কয়েকটি কবিতা

‘শ্রীখোল খঞ্জনি নাই, বেলা যায় সাঁঝের গলিতে।/ দীপ জ্বালো কলিকাতা, সুতানুটিগুছির পলিতে/ ঊরুতে পাকাও বসি, দেখ দীন গোবিন্দপুরের/ গৌর ধূলির পথে নিত্যানন্দে হাওয়া ওঠে ফের…’ নতুন কবিতা।

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ৩

‘লতিকা এক-এক করে সবার দিকে তাকালেন। তারপর নিজের চশমাটা একবার মুছে নিয়ে তীক্ষ্ণস্বরে বললেন— আমার করা প্রশ্নগুলো বোধহয় আমার নতুন বন্ধুদের কাছে একটু কঠিনই হয়ে গেছে!’

অপ্রত্যাশিত

জীবনে একটা জিনিস বুঝেছি, আত্মবিশ্বাস জিনিসটা কেবল পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেলেই বাড়ে না, প্রথম আলাপে অচেনা কোনও মহিলার ফোন নম্বর পেলেও বাড়ে। সে-আত্মবিশ্বাসে ভর করেই শুরু করেছিলাম ফোনালাপ।

বইঠেক: পর্ব ৩

‘গ্যাংটকের ‘রচনা’-তে একতলা থেকে দোতলায় উঠবার জন্য তেমনই একটা কাঠের সিঁড়ি এক লহমায় আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল অক্সফোর্ডের সেই দুপুরগুলোতে। এ যেন অন্য এক জগতের সিংদরজা, নয় পূর্ণ পৌনে এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম, যা পৌঁছে দেবে বইয়ের দোকান নামক জাদুর দুনিয়ায়।’

ডাকবাংলা.কম

সাক্ষাৎকার : শাশ্বত মুখোপাধ্যায়

অ্যানিমেশনের দুনিয়ায় সম্প্রতি সাড়া ফেলে দিয়েছেন দুই যমজ ভাই। শাশ্বত মুখোপাধ্যায় এবং সুশ্রুত মুখোপাধ্যায়। নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে তাঁরা অ্যানিমেশনচর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। বিশ্ব অ্যানিমেশন দিবসে শাশ্বত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেন পৃথ্বী বসু।