

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩১
‘মলিনতা ফিরে আসে। যেন-বা দেজাভু।/ যেরকম লিখেছেন শ্রীশরৎবাবু,/ তেমন অতীত পেলে ভালবাসা হত/ সহজিয়া, অনাবিল, বাঁধুনিতে ছোট। অথচ ভেতরে কেউ কথা বলে। কাঁদে।/ নিজেকে পড়েছি আমি ভুল অনুবাদে।’
‘মলিনতা ফিরে আসে। যেন-বা দেজাভু।/ যেরকম লিখেছেন শ্রীশরৎবাবু,/ তেমন অতীত পেলে ভালবাসা হত/ সহজিয়া, অনাবিল, বাঁধুনিতে ছোট। অথচ ভেতরে কেউ কথা বলে। কাঁদে।/ নিজেকে পড়েছি আমি ভুল অনুবাদে।’
‘তার মধ্যে দেখলাম এই বছর কোন এক প্যান্ডেলে ঢোকার মুখে, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি মাখা খালি গায়ে, সাদা চাদর দিয়ে সানগ্লাস পরে দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের ‘ওহ্ লাভলি’। স্ট্যাচুটার সাইজ মা দুর্গার সমান না হলেও অসুরের সমান তো হবেই।’
‘রাস্তায় খসে পড়া লোকটার মাথাফাটা খুলির রক্তে মাখামাখি দৃশ্যটা দেখতে যারা দাঁড়িয়ে পড়েছিল, তাদের কারও কারও মাথায় হাসপাতালের কথা এলেও, পরে ঝামেলা হতে পারে ভেবে কেউ-ই শেষ পর্যন্ত কাজটা করে উঠতে পারেনি।’
‘পল, রিংগোর মাথা থেকে এটা বেরিয়ে যায়নি। কিছু একটা যে করার তালে আছেন, সে খবর লিক হয়েছে একাধিক বার। পল নাকি অসমাপ্ত ‘Now and Then’-এর সঙ্গে নিজেও কয়েক ছত্র লিখেছিলেন; আর একটা লেনন-ম্যাকার্টনি হবে সেই আশায়। রিংগোর উস্কানি ছিল পুরোদমে।’
‘চ্যান্ডলারের চরিত্রে কিন্তু পেরি এই স্টিরিওটাইপটি ভেঙে দিয়েছিলেন। তাঁর কমিক হিরো অনেকটা বেশি ব্রিটিশ ধারার; এই হিরো রসিকতা বা ঠাট্টার ব্যবহার করে সব কিছু জিততে পারে না, বরং বার বার হেরে যাওয়াটাকেই হালকাভাবে নিয়ে এগিয়ে চলার রসদ সংগ্রহ করে।’
আজকের পৃথিবীতে মাল্টি-টাস্কিং এক বাধ্যতামূলক চারিত্রিক উপকরণ। যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে— এই মন্ত্র খেলার মাঠকেও ছাড়েনি। ব্যক্তি বনাম সমষ্টি-র এই ইঁদুরদৌড় কি খেলার মাঠের অনায়াস, অনাবিল আনন্দকে শিকলবন্দি করে তুলছে?
ইকবালকে কিছুতেই সহ্য হচ্ছে না অ্যান্টনির। এদিকে শায়েরি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, হয় শায়েরি + ইকবাল, নয়তো নো শায়েরি অ্যাট অল। বিরক্ত অ্যান্টনি টমকে এ-কথা জানাতে গেলে টম পাত্তা দেয় না। এই যখন অবস্থা, তখনই আন্টো-র জীবনে দেখা দেয় নতুন দুই ‘মাকড়া’!
‘বিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকে যে ইজরায়েল সংক্রমণের মতো বাড়তে বাড়তে প্যালেস্টাইনকে প্রায় গ্রাস করে ফেলেছে, তা আশ্চর্যের নয়, কারণ সামরিক এবং অর্থনৈতিক শক্তিতে ইজরায়েলের পাশেই আছে আমেরিকার মত দানবিক শক্তি।’
‘সত্যি কথা বলতে কী, তিথির সঙ্গে যে নূরজেলের কোনও দিন সম্পর্ক হতে পারে আমরা ভাবতেই পারিনি। এই দুজনের কোনও কিছুই যে মেলে না। তবুও… সম্পর্ক আসলে এক মায়াসুতো— না আছে তার গঠন না আছে আকার; না আছে তার ধর্ম, না আছে তার বর্ণ।’
‘পুরো ছবিটাই আসলে আমাদের সুশীল সমাজের রূপক, যেখানে মেয়েদের পাশে থাকা, তাঁদের সমানাধিকার নিয়ে গলা ফাটানো ছেলেটারও (সুযোগ বুঝলে) উৎসুক আঙুলগুলো রাতের অন্ধকারে মেয়েটার প্যান্টের বোতাম হাতড়ায়— ‘না’ শোনা সত্ত্বেও।’
‘যে পুরুষ অস্থিচর্মসার,/
তাকে ছুঁলে রমণের ভয়, লোকাচার,/
কী ভীষণ প্রলয়ে বিষণ্ণ হাড়ের শব্দ,/
নিরন্তর এক নারী,/
হেঁটে যায় কোমল বাস্তবে।’
‘শুধু দৃশ্য-ভাষা বা ভিস্যুয়াল ল্যাঙ্গোয়েজ-ই নয়, আজকের হিন্দি ছবির সংলাপেও ব্যবহৃত ‘জান-এ-মন’ অথবা ‘লক্ত-এ-জিগর’ গোত্রের উর্দু শব্দের উৎসও লখনউ আর সেখানকার থিয়েটার সংস্কৃতি। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ওয়াজিদ আলির প্রত্যক্ষ ভূমিকা।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.