
কয়েকটি কবিতা
‘যেমন কাছিমমাংস খেতে গিয়ে খুব বাল্যকালে/ তীব্র বাজে গন্ধ পেয়ে কাছিম খাবার সাধ গেছে।/ তেমনই তোমাকে চেয়ে আমার হালত গেছে ভেসে/ বন্যার উদোম জলে যেন গোসাবার ঘরবাড়ি।’
‘যেমন কাছিমমাংস খেতে গিয়ে খুব বাল্যকালে/ তীব্র বাজে গন্ধ পেয়ে কাছিম খাবার সাধ গেছে।/ তেমনই তোমাকে চেয়ে আমার হালত গেছে ভেসে/ বন্যার উদোম জলে যেন গোসাবার ঘরবাড়ি।’
‘মনে রাখতে হবে, এ সেই দেশ, যেখানে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ চিল্লায়, ‘উফ, একটা ডিক্টেটর চাই, চাবকে সিধে করে দেবে!’ তার মনে থাকে না, চাবুকটা তার নিতম্বকেও রেয়াত করবে না।’
‘হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়ির নীচে তেইশের এক প্রেম-তরুণীকে দাঁড় করিয়ে রেখে সটকে পড়েছে জলজ্যান্ত প্রেমিকটি। আর, অধীর আগ্রহে, অকথ্য বিশ্বাসে ভর করে সেই তরুণী সময় গোনে। গুনেই চলে। কেউ আসে না।’
‘নাটক তো শুধু পড়ার জন্য লেখা নয়, নাটক মঞ্চস্থ হতে চায়, নাটকের ভাষা যে-কারণে একইসঙ্গে বৌদ্ধিক এবং শরীরী। নাটকের টেক্সটের মধ্যেই অন্তর্লীন তার মঞ্চায়নের ‘কোড’— অভিনেতার অঙ্গভঙ্গি, ইঙ্গিত, সংলাপ, মঞ্চ বা স্পেস ব্যবহার, আবহ, ইত্যাদি।’
সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষ। কথা হল তাঁর নতুন বই ‘স্মোক অ্যান্ড অ্যাশেস’ নিয়ে। ডাকবাংলা-র পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে কথোপকথনে লেখক রজত চৌধুরী।
‘যেমন ‘তারিণী মাঝি’-র খরস্রোতা ময়ূরাক্ষী আর নেই। ময়ূরাক্ষীর গর্ভজুড়ে শুধু ইটভাঁটার পর ইটভাঁটা। নদীর গর্ভজুড়ে কোথাও শস্যক্ষেত, ধানের ক্ষেত। মজে গেছে নদীর বুক। কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে গনুটিয়ার ঘাট!’
মানুষ প্রায়শই বলে থাকে, ‘আমাদের সময়’। এই ‘আমাদের সময়’ আসলে কী? অল্প বয়সের ভালো লাগা মনের ভেতর জমতে-জমতেই কি একদিন হয়ে ওঠে না ‘আমাদের সময়’! দেবাশিস-ও সেরকমই একজন চরিত্র, যার জীবনও আটকে আছে তার নিজস্ব ‘আমাদের সময়’-এ!
‘তখন চারপাশে এত বেশি আলো ছিল না বলেই হয়তো সন্ধেবেলার ছাদকে বড্ড মোহময় আর আন্তরিক মনে হত। তার ওপর লোডশেডিং হলে তো কথাই নেই। অন্ধকার একটা পাড়াকে চারপাশে বিছিয়ে নিয়ে হালকা ঠান্ডা হাওয়ায় গা ভাসিয়ে আড্ডা।’
‘সবই তাহলে অন্যের দোষ, থুড়ি টেকনোলজির দোষ? যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা বর্ণবিদ্বেষ, জাতিবিদ্বেষ, নারীর অবমূল্যায়ন— এসব তো আমাদেরই আবিষ্কার, এই পলিটিকাল ও মিডিয়া কারেক্টনেস-এর যুগেও যা সযত্নে লালিত-পালিত।’
কবিতার প্রকাশভঙ্গিমাতেও যেমন, জীবনেও তিনি ছিলেন সবার থেকে আলাদা। যদিও দুর্বোধ্যতার অভিযোগ তাঁর কবিতার প্রতি বারংবার উঠেছে। উপেক্ষিত হয়েছে তাঁর কবিতার অন্তর্দর্শন। এই পর্বে বিনয় মজুমদারের কবিতা।
রোমে এক গানের জলসায় ফ্যানরা এমন লাফালাফি করলেন, মৃদু ভূমিকম্প হল। এ জিনিস প্রায়ই ঘটছে। এমন দিন দূরে নয়, যখন গায়কদের মাপা হবে, তাঁদের ফ্যানরা কটা ভূমিকম্পের জন্ম দিয়েছে সেই হিসেবে। তাতে ছাদ ভেঙে মানুষ মরব, কিন্তু টিআরপি বাড়বে।
‘সেই একটা আলো বেয়ে উঠে যাচ্ছে মানুষের পোকা/ ল্যাঙচাতে ল্যাঙচাতে যাচ্ছে কাছাখোলা সুন্দরী মানুষ,/ হলুদ স্বপ্নের মধ্যে উঁকি দিচ্ছে মেমেদের খোকা/ উঠোনের মধ্যিখানে সর্দি টানছে ক্ষুদ্র অলম্বুষ।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.