পত্রিকা

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ১

‘তামিল ভাষা, তাই বোঝার প্রশ্ন নেই। কিন্তু চোখ আটকে গেল একটা ছবিতে। বাজে নিউজপ্রিন্টে ততোধিক বাজে ছাপা, কিন্তু এই ছবি তো ভুল হওয়ার নয়, অন্তত কোনও ভারতীয়ের চোখে। সৌরভ গাঙ্গুলির মুখ এলটিটিইর মুখপত্রে কেন?’

শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য

ভোলেবাবা, দলিত, মরণফাঁদ

‘অসহায় মানুষ যে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে, ধরতে চায় সহযোগিতার হাত, তা ভোলেবাবারা হাড়ে-হাড়ে বোঝেন। কিন্ত বিকৃত আর্থ-সামাজিক সম্পর্কে গডম্যানদের কাছে প্রকৃত জীবনের সন্ধানের পরিণাম সুখের হয় না।’

অনুপম রায়

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ৪

‘…কলকাতা ইজ অ্যাভারেজ! মেনে নাও। দিল্লি হল রাজধানী। মুম্বই হল ফিল্ম, ফিন্যান্সের রাজধানী, বেঙ্গালুরু আই টি-র রাজধানী। আমরা নেই কোথাও এসবে। আমরা একটা পাতি শহর। তুমি এই পাতি শহরের একটা পাতি আই টি কর্মচারী।’

কবির সঙ্গে দেখা : পর্ব ৪০

কবি শুধু কবি নন, তিনি দ্রষ্টা; যিনি অনুভব করেন সময়ের হাতছানি, দেখতে পান সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। ভাস্কর চক্রবর্তী-র শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘জিরাফের ভাষা’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্যসাধারণ সংযোজন, বছর কুড়ি পরেও যা একই রকম মুগ্ধতার আবেশ রেখে যায়।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি : পর্ব ২৮

‘পাঁচজনের মধ্যে কোনও সমীকরণ, প্রণয় বা বিচ্ছেদ বা যৌন আকর্ষণ, বা একটা মেয়ের প্রেমে দুজন, দুটো মেয়ের প্রেমে একজন— যার বিভিন্ন কম্বিনেশন প্রায় যে-কোনও চিত্রনাট্যকার আবশ্যিক মনে করতেন ছবিটা লিখতে গেলে— তার ধারই মাড়ানো হয় না।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৩১

‘নিজের স্বাধীনতা না হারিয়ে, পরিকল্পনা মাফিক এমন একটা ব্যবস্থা ফেঁদে ফেলায় বেশ আত্মপ্রসাদ অনুভব করল ভূতেশ। মনে মনে সে এটাও ধরে নিল যে, তার জীবন বারে বারেই বদলে যাবে; তবে সবটাই হবে তার বাস্তববুদ্ধির নিয়ম মেনে।’

শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য

ফ্রানজ কাফকার পূর্বাপর

‘একটা অফিসের জনৈক কর্মচারী যেভাবে ভয়ের পরিবেশে বাস করতে করতে নিজের কর্মক্ষেত্রে এক অর্থহীন নৈরাজ্যে ঢুকে পড়ে, তার ভয়াবহতা জন্মই নিত না যদি না একশো বছর আগে কাফকা ‘দ্য ট্রায়াল’ লিখে যেতেন।’

এক শালিক: পর্ব ৬৫

সময় বদলায়, সঙ্গে সঙ্গে মানবসভ্যতাও উন্নত থেকে উন্নততর হয়- এই ধারণা কি ঠিক? গণপিটুনির সাম্প্রতিক ঘটনাবলি কিন্তু এই ইঙ্গিত দেয় যে, সময় আদৌ বদলায় না; বাস্তবে সে একরৈখিক নয়। মানুষের হিংস্র প্রবৃত্তির কোনও ইতি নেই বলেই হয়তো ইতিহাস বার বার ফিরে ফিরে আসে।

সুস্নাত চৌধুরী

মেগা ম্যাগাজিন : পর্ব ৮

‘কখনও ১৯৩৭-এর ফ্রিডা কাহলো-র দাপুটে উপস্থিতি দিয়েছে স্বাধীনতার সন্ধান, কখনও ১৯৭৪-এর জেরি হল তাঁর রঙিন ওষ্ঠের পাউটে জাগিয়েছেন যৌনতার বোধ। পাঠকের স্মৃতি একাকার হয়ে গিয়েছে পত্রিকার ইতিহাসের সঙ্গে।’

লুইজি পিরানদেল্লো

গত ২৮ জুন জন্মদিন গেল তাঁর― লুইজি পিরানদেল্লো। ডাকবাংলা.কম-এ নোবেলজয়ী নাট্যকারের জীবন, মতাদর্শ, সাহিত্যকে ফিরে দেখলেন সুমন মুখোপাধ্যায়।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩৯

‘তুমি হাঁটো ব’লে/ জীবন গল্প বলে।/
পথিকেরা চেনে,/ দুঃখের আলাপন।/
মনে করে দ্যাখো,/ কান্না রয়েছে পাশে।/
কোনও ছবিতেই/ চ্যাপলিন একা নন।/
এ-শহর/ বাজি হেরে যেতে বলে রোজ/
কাগজে হেডিং/ রুটি মুড়ে আনে রাতে/
ঠান্ডা খাবার/ খেতে খেতে মেনে নাও,/
তুমি যে পারোনি/ কিচ্ছুটি বদলাতে।/’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৩০

‘পাকা রাস্তার ওপারে মিলিয়ে গেল রাণীর স্বামী এবং সংসার; সেজোমাসিমার কোলে মাথা রেখে, ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়তে লাগল রাণী। কিন্তু সেই মুহূর্ত থেকেই যেন ঘুম চলে গেল তরঙ্গনাথের। বুঝলেন যে, রাণী ফিরে এল চিরদিনের মতো এবং সর্বস্ব খুইয়েই।’