পত্রিকা

শান্তনু চক্রবর্তী

বসন্তের মিতালি

‘দোলের দিনে হস্টেলের ঘরে স্বাধীন মেয়েদের নিজেদের একান্ত বসন্তোৎসব, একে-অন্যকে আবির মাখিয়ে মিষ্টিমুখ করানোর মতো এমন আধুনিক দৃশ্য এই ছবিটার আগে বাংলা সিনেমায় কখনও দেখা গেছে বলে মনে পড়ে না।’ ছবির মূল্যায়ন।

আত্রেয় মুখোপাধ্যায়

মহিলা ক্রিকেটের নবযুগ

‘রাতারাতি মহিলা ক্রিকেটাররা সাংঘাতিক জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন এমন না হলেও, সংবাদমাধ্যম এবং মানুষের মনে জায়গা করে নেবেন ভাবা যেতে পারে। এখনই উপচে পড়বে না মাঠ এঁদের দেখতে, কিন্তু ধীরেসুস্থে কদর বাড়বে।’ নতুন আশা।

অনুপম রায়

ঢপবাজ : পর্ব ২

‘একবার প্ল্যান হয়, সোশাল মিডিয়ায় লিখবে। লেখাও হয় কিন্তু সেখানে বাবুদা ওদের পাত্তাই দেয় না। গিটার ঝেড়ে দিয়েছে এই নিয়ে বাবুদার নামে কেউ স্টোরিও করতে চায় না কাগজে। কোথায় যে কলকাঠি বাঁধা আছে সৌমিত্র কিছু বুঝতে পারে না।’ রহস্যময় চরিত্র।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক : পর্ব ৩২

নারী দিবস পালন করা মানেই কি নারীদের জীবন স্বাভাবিক হয়ে যাওয়া? একেবারেই নয়। ইরান-আফগানিস্থানের দিকে তাকালেই সে-কথা বোঝা যায়। আমাদের সমাজ এমনই, দেবীদের পুজো করি আর মহিলাদের নিগ্রহ। লিঙ্গসাম্য তাহলে কি একটা অবাস্তব ধারণা?

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৫

‘সীমা এই অধিকার। তাকে পার করা হল দোষ।/ কতটুকু যাব আর কতটুকু থেমে থাকব জেনে/ ভেসে আছি এ বাতাসে। যেরকম দ্বিধা ও সাহস/ আমাকে দু’ভাগ করে। মেলা থেকে অভিমান কেনে…’ নতুন কবিতা।

সব্যসাচী সান্যাল

পরশকালের শূন্যতারা

‘রাঙিয়ে দিয়ে যাই গো, যাই গো এবার যাওয়ার আগে বলে অপভ্রষ্ট রবীন্দ্রনাথে সেলাম ঠুকিয়ে নিমজ্জনে যাবে? হয় নাকি! শমিত বলবে, যাওয়া উচিত— তোর কাছে চাহিদা অন্য! মাইরি! কী জ্বালা!’ নতুন কবিতা।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

4B: বাস নয়, আন্দোলন

4B হল চারটে কোরিয়ান শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ, প্রতিটি শব্দই ‘না’ দিয়ে শুরু: প্রথম না, ‘বিহোন’: বিষমকামী বিবাহের প্রত্যাখ্যান৷ ‘বিকুলসান’: প্রসবে প্রত্যাখ্যান। ‘বিয়োনাই’: ডেটিংকে প্রত্যাখ্যান। ‘বিসেকসু’: বিষমকামী যৌন সম্পর্ককে প্রত্যাখ্যান। নতুন আন্দোলন।

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ১২

‘কিশিমোতোও একটু অন্যমনস্ক হয়ে কীসব চিন্তা করছিলেন। হয়তো তাঁর বাবার নিরাপত্তার কথাই তাঁর কাছে এখন মুখ্য হয়ে উঠছিল। ড: ব্রহ্ম ঠাকুরকে নিয়ে রস দ্বীপের গবেষণাগারে আসাটা বিলি গিলচার কী চোখে দেখবেন? এটা হঠকারী একটা সিদ্ধান্ত হয়ে গেল নাকি?’

অনুপম রায়

ঢপবাজ : পর্ব ১

‘বাইরে যেখানে সৌমিত্র দাঁড়িয়ে সেখানে ফ্যান নেই, আলোও নেই। চারিদিকে অস্বাভাবিক ধুলো। একজন সঙ্গীতকারের বাড়ি বলে মনে হয় না। একটা বাদ্যযন্ত্রও ওর চোখে পড়েনি এখনও। এত নোংরার মধ্যে মানুষ থাকে কী করে?’ রহস্যময় আস্তানা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৪০

আত্মহত্যা বেঁচে থাকার ও বাঁচতে চাওয়ার অনন্ত স্রোতের মধ্যে এক দগদগে ব্যত্যয়, সে যখন একাধিক লোক মিলে হয়— তা বিশালতর ধাঁধা, কিন্তু গোটা পরিবার মিলে স্বেচ্ছায় মারা যাওয়ার মধ্যে গুরুজনদের তরফে বিশ্রী দায়-অস্বীকার আছে। অন্যের চরম ক্ষতির প্রতি কুচ্ছিত অবহেলা আছে।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২৪

বাংলা কবিতার জগতে ভাস্কর চক্রবর্তী এক বহতা নদী। যে নদীতে ডুব দেওয়া যায়, আঁজলা করে ছিটিয়ে আত্মা ভেজানো যায়, আবার আনমনে বসে থাকা যায় পাড়ে, কিন্তু সে নদী নিচু স্বরে অথচ তীব্র অভিঘাত নিয়ে বয়ে চলে ঋদ্ধ করে তোলে দুই কিনারা।

শুভময় মিত্র

সুস্থ বায়ুর সন্ধানে

‘খবর পেয়ে গিয়েছিলাম স্রেফ এক ধরনের পাখির সন্ধানে। বড়সড়, মাটিতে চরা পাখি। দুর্লভ বললে কম বলা হয়। অপূর্ব রঙিন শরীর তার। থাকে হিমালয়ের অন্দরমহলে, রোডোডেন্ড্রনের জঙ্গলে। আমি দেখেছি তাদের, বহু দূর থেকে। ছবি তুলতে পারিনি।’ আলোকচিত্রীর জবানবন্দি।