

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৮
‘বয়কট নীতিতে বাদ গেল না ইস্কুল-কলেজ ছেড়ে গুপ্ত সমিতিতে নাম লেখানো। কুস্তির আখড়া এবং সাধুসন্তদের আশ্রমগুলো হয়ে উঠতে লাগল এইসব কাজের আঁতুড়ঘর। ধরপাকড়ও চলল সেই হারে।’
‘বয়কট নীতিতে বাদ গেল না ইস্কুল-কলেজ ছেড়ে গুপ্ত সমিতিতে নাম লেখানো। কুস্তির আখড়া এবং সাধুসন্তদের আশ্রমগুলো হয়ে উঠতে লাগল এইসব কাজের আঁতুড়ঘর। ধরপাকড়ও চলল সেই হারে।’
‘ইতিমধ্যে কনের বাড়ি তত্ত্ব নামিয়ে, নিজের বাংলোয় ফিরেই মুখার্জি-সাহেব তনুকে জানিয়ে দিলেন যে, বিকেলবেলা তনুর এখান থেকে যে বেরনো, তা কিন্তু মোটেই ফুল-সাজানো মোটরে চড়ে, বরবেশে যাওয়া নয়; বিয়ের সাজ করে নেবে, ওই বাড়ি পৌঁছে।’
প্যারিস একদিকে শিল্প-সাহিত্য-ফ্যাশনের মক্কা, প্রেমের শহর; আবার অন্যদিকে ইতিহাসের আবরণে সজ্জিত আধুনিক এক আড্ডার ঠেক। সে এক চিরনতুন মায়ানগরী। এবারের ‘দূরপাল্লা’য় রইল প্রথম দেখায় প্যারিস-এর প্রেমে পড়ার গল্প।
‘পুলকেশবাবু এই বইয়ের সিংহভাগ জুড়ে পাঠককে জানান দিয়েছেন দুটো বিষয়। এক, বিদ্যাসাগরের বইয়ের সংগ্রহ কতটা বৈচিত্রময় ছিল। দুই, তিনি কীভাবে বই পড়ার পাশাপাশি তাতে কোনও পাঠচিহ্ন রাখতেন।’
‘ছবির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, বারে বারে প্রত্যাশার তোয়াক্কা না করে অন্য দিকে চলে যাওয়ার প্রবণতা। প্রথমে ভাবা হল ওয়েস্টার্ন, বর্বরদের বিষাক্ত তিরধনুকের সঙ্গে মাত্র তিনজন আলোকপ্রাপ্তের লড়াই, দেখা গেল তা নয়।’
‘চিনের কিছু পথের ধারে-বাঁকে গনগনে আঁচে ইদানীং নুড়িপাথরের ঝাল রাঁধা শুরু হয়েছে। রাঁধা হচ্ছে সেখানের রেস্তরাঁতেও। সে দেশে এর নাম ‘সুওদিউ’। নদী থেকে আনা নুড়ি দিয়ে রাঁধা এই ঝোলে বা ঝালে থাকে চড়া তেলমশলায় কষানো সবজি আর শাকপাতা।’
‘ফসলি পট পোয়াতি হয় ফি বছর/ হাড়গোড় ভেদবমি করে/ শীতের ওমে থাকতে পারি না কজন/ আলগোছে ধুলো জমে/ ন্যাড়া আকাশে তারা গুনে শুয়ে পড়ে কজন/ মাংস ঘিলু নাড়িভুড়ি ছড়িয়ে/ কী চায় দেশলাইবাক্স মথ/ সূর্যস্নান করবে তথাগত’
মানুষ ছাড়া এ পৃথিবীর অন্য প্রাণীদেরও কি মৃত্যুবোধ থাকে? জঙ্গলে বাস করা প্রাণীদের আংশিক বোধ থাকা অসম্ভব নয়; কিন্তু জন্মিলে মরিতে হবে… এই অবধারিত অবসানের চিত্রনাট্য কি তাদের চেতনায় ছাপ রেখে যায়?
অনুবাদের জন্য শরণকুমার লিম্বালের ‘দলিত নন্দনতত্ত্ব’ এ-বছর সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছে। বাংলায় দলিতচর্চা এবং দলিত সাহিত্যের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে অনুবাদক মৃন্ময় প্রামাণিকের সঙ্গে কথা বললেন বিজলীরাজ পাত্র।
‘… মাতাল হয়ে তুমি বুকে জড়িয়ে ধরতে আমাকে।/ ভাত খাইয়ে দিতে মাছের সমুদ্র দিয়ে।/ কিন্তু তুমি আর নেই সে তুমি।/ তাই মল্লভূম থেকে উড়ে চলে গেছি ধলভূমগড়।/ আমি ঘুরে বেড়াই নানা দেশ, কিন্তু জগতের রহস্য কিছু বুঝতে পারি না।’
‘কেবল আমি একটু থতমত ভাবে তাকিয়ে আছি দেখে সুনীলদা জিগ্যেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, তুমি যাবে না?’ উত্তরে বলতেই হল, থাকব কোথায়, এই নিয়েই ভাবছি। কেননা দোলে তো লজ বা হোটেল সব আগে থেকে ঠিক করতে হয়, এত দেরিতে কি কিছু আর পাওয়া যাবে?’
‘বাবা আর কাকা মিলে বিছানা পেতে দিলেন রিজার্ভ বেঞ্চিতে। মাঝরাতে হিসি পেয়ে যাওয়ায় ঘুম থেকে উঠে তরু দেখল যে, মা, জেঠিমা আর কাকিমা অঘোরে ঘুমিয়ে পড়লেও, জ্যাঠা, কাকা আর তার বাবা, তিনজনেই একটা বেঞ্চিতে জেগে বসে আছেন।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.