

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ২
‘চাঁদনি থেকে এসপ্ল্যানেডের দিকে চলেছে মেট্রোটা। পরের স্টপেই নামতে হবে নীলাকে। দরদর করে ঘামছে। এই ভিড় থেকে বেরতে পারলে বাঁচে। স্টেশনে নেমে ঊর্ধ্বশ্বাসে হাঁটতে থাকে। কলকাতার এই ধাক্কাধাক্কিতে এখন অবশ্য সম্পূর্ণ অভ্যস্ত নীলা।’
‘চাঁদনি থেকে এসপ্ল্যানেডের দিকে চলেছে মেট্রোটা। পরের স্টপেই নামতে হবে নীলাকে। দরদর করে ঘামছে। এই ভিড় থেকে বেরতে পারলে বাঁচে। স্টেশনে নেমে ঊর্ধ্বশ্বাসে হাঁটতে থাকে। কলকাতার এই ধাক্কাধাক্কিতে এখন অবশ্য সম্পূর্ণ অভ্যস্ত নীলা।’
মধ্যবিত্ত মানেই কি ছিঁচকাঁদুনে, ঘ্যানঘ্যানে একটা শ্রেণি? নাকি এর বাইরেও তার আলাদা কোনও দর্শন আছে? এই আলোচনায় সেসব প্রসঙ্গই বিশ্লেষণ করলেন লেখক-সাংবাদিক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, লেখক প্রচেত গুপ্ত এবং অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। সঞ্চালনায় শিশির রায়।
আমাদের ধারণায় যে মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে, তার সঙ্গে এখনকার মধ্যবিত্তের পার্থক্য কী? বাইরের জীবনযাপনে ফারাক তৈরি হলেও, মানসিকতায় কি কোনও বদল এসেছে? মধ্যবিত্ত-মননের সেই সব খুঁটিনাটি নিয়েই এই বক্তৃতা ‘শ্লেষ্মা পিত্ত মধ্যবিত্ত’।
‘সুহাস তখন নিছক একটা ডেডবডি। পুলিশ মেরেছে, পুলিশই তুলবে। পুলিশ মেরে চলে যেত, বা পুলিশের হয়ে অন্য কেউ। রটে যেত অন্য কোনও গল্প। পাড়া থমথম করত। দু-চারদিন সব চুপচাপ। ফিসফাস। আবার সব স্বাভাবিক। যেন কোথাও হয়নি কিছু।’
৭ মে, মঙ্গলবার, প্রয়াত হলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো-চেয়ারপার্সন, সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির গভর্নিং বডির সদস্য, আজকাল পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর, আজকাল ডট ইন পোর্টালের প্রধান সম্পাদক মৌ রায়চৌধুরী। বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
একজন যত অসামান্য শিল্পই রচুক, তার শিল্প জনতার মধ্যে স্পন্দমান বেশিদিন থাকে না, কিন্তু দীক্ষিতদের মধ্যে থাকে বহুযুগ। সত্যজিৎ বারংবার দেখে চলবে চলচ্চিত্র-রসিকরা, যাদের সংখ্যা হয়তো একশো বা চুয়াল্লিশ, কিন্তু ভিড় তাঁকে নিয়ে আদিখ্যেতা করবে না।
‘ঘরে-ঘরে সব পুরুষ ছবির প্রশান্তর মতো গায়ে হাত না তুললেও, বিরক্তি-শ্লেষ-শীতল চাহনি ইত্যাদির শিকার হওয়াটা মেয়েদের অভিজ্ঞতার মধ্যেই পড়ে। সুখী দাম্পত্যেও তার অন্যথা হয় না।’
‘আজ বুধবার,/
তুমি দেখতে এসেছিলে থিয়েটার,/ এক তরুণীর প্রেম ও দুঃসময়ের বিপ্লবের গাথা।/
কে তোমাকে বলে দেবে,/
চারপাশে চলমান এই শহরই/
আসলে সেই থিয়েটার নয়?’
‘একে অন্যের আয়নায়/ ছবি এঁকে রেখেছি সারা রবিবার/
ক্লান্তির দেবদূত এসেছেন কাল পরশু প্রতিদিন/
আর খুব কড়া ঘুমের ওষুধের মতন/
এসে গেছে প্রেম’
‘রক্তাক্ত শ্রেয়া তার গোপন বন্ধুকে মোবাইলে আক্ষেপ করে জানায়, তার বোধহয় শরীরের চাহিদা একটু বেশিই। আমাদের মনে অনুরণিত হয়, এই খিদে মেয়েদের থাকতে নেই। কোনও বয়সেই থাকতে নেই। যৌবনেও নয়, মাঝবয়সে তো নয়ই।’
‘সিমুই মুখ ফুটে বলেনি কিছু। অথচ সুনন্দ শুনতে পেত। সকলে ভাবে ছেলেরা মেয়েদের মনের কথা বোঝে না। কে বলেছে বোঝে না! ঘাসেরা দিব্যি বোঝে শিশিরের শব্দ। শিশির বোঝে শিউলির টুপটাপ। কখন কেন ঝরে পড়ে। সেইরকম সুনন্দ বুঝত।’
‘হিসি হওয়ার বদলে, সেখান দিয়ে এত রক্ত সমানে বেরিয়ে যেতে দেখে, ভয় এবং ঘেন্না দুই-ই হয়েছিল আমার; কিন্তু যখন লক্ষ করলাম যে, ‘নোংরা’ হয়েছ না বলে, শাশুড়িমা বললেন, ‘বড়’ হয়েছ, ঘেন্নাটা তখন যেন একটু কমে গেল।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.