
সংবাদ মূলত কাব্য: পর্ব ২৩
‘আমাদের সময়ের কবি, সে-সময়ে সুপরিচিত ছিলেন; তিনি ছিলেন ওই নাবিক সংগঠনে। তবে তিনি নাবিক ছিলেন না। ওই সময়ে খিদিরপুর বন্দরে থামা একটি গ্রিক জাহাজ ঘুরে-ঘুরে দেখেছিলাম। দীপক ছবি তুলেছিলেন।’

‘আমাদের সময়ের কবি, সে-সময়ে সুপরিচিত ছিলেন; তিনি ছিলেন ওই নাবিক সংগঠনে। তবে তিনি নাবিক ছিলেন না। ওই সময়ে খিদিরপুর বন্দরে থামা একটি গ্রিক জাহাজ ঘুরে-ঘুরে দেখেছিলাম। দীপক ছবি তুলেছিলেন।’

বাবা ফরিদের শ্লোকে একদিকে যেমন চরম বৈরাগ্য, জীবনের সব আকর্ষণ তুচ্ছ করে সংযমের কথা আছে, বারবার আছে মৃত্যুর অনিবার্যতার কথা, তেমনই এসবের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করেছে পরম সত্তার সঙ্গে মোলাকাতের জন্য অস্থিরতা। ‘সিন্ধুপারের সুফি’ পর্ব ২-এ পড়ুন ‘বাবা ফরিদউদ্দিন মাসুদ শকর্গঞ্জ’ সংক্রান্ত লেখার দ্বিতীয় কিস্তি…

ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের কোনও এক রাস্তায় একটি গাড়িতে সে বসে রয়েছে, সেই গাড়িতে তার বাকি আত্মজনদের রক্তাক্ত লাশ। একটি পরিবার সেই গাড়িতে ছিল। গাড়িতে ছিল ছ’বছর বয়সি হানুদ রাজাব হামাদ, বা হিন্দ রাজাব, সঙ্গে তার কিছু আত্মীয়। সেই নিরস্ত্র, পারিবারিক গাড়িটির ওপর ইজরায়েলি সেনা ৩৫৫টি, হ্যাঁ, ঠিক এতগুলোই বুলেট খরচ করেছে।

নারী-পুরুষের নগ্নতা অশ্লীলতা পেরিয়ে যেভাবে কোনও নান্দনিক মুহূর্তকে ছুঁয়ে ফেলে, তা সৃষ্টি করা রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কারও পক্ষে বোধহয় অসম্ভব। নগ্নতার মধ্যে কোনও যৌন উত্তেজনা নেই, আছে শুধু জ্যামিতিক বিমূর্ততার মধ্যে দিয়ে এক তীব্র প্যাশনের বার্তা।

‘আমরা যদি আজকের শিশুদের দিকে তাকাই, তাহলে অদ্ভুত এক জটিল প্রহেলিকার সামনে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। জন্মের কিছু পর থেকেই, মানবশিশু বড় হতে থাকে দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে, সঙ্গে থাকে নানারকম শব্দ বা আওয়াজ। এই দু’য়ের সমন্বয়ও সে করে ফেলে, অল্প সময়ের মধ্যেই।’

“অগুন্তি মানুষ সাহারার ওপাশ থেকে এসে, তিউনিশিয়ায় প্রবেশ করেছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। তবে অনেকেই আর বের হতে পারেনি। নানা গোলকধাঁধায় সূক্ষ সুতোয় ঝুলে রয়েছে। এই সূক্ষ সুতোয় ঝুলে থাকা কয়েকজনের গল্প বলে এরিজে সেহিরির ‘প্রমিসড স্কাই’ (‘Promis le ciel’) ছবিটি।”

“নাসা চত্বরে আরও দুর্ধর্ষ সব দেখার জিনিস রয়েছে। এয়ারপোর্টে যেমন প্লেনের হ্যাঙার থাকে, এখানেও তেমন আছে। সেখানে স্পেস শাটল থেকে রকেট সব দেখতে পাবেন। যত ইচ্ছে ছবি তুলুন, নিজেকে মহাকাশচারী কল্পনা করে পোজ দিন। এমনকী একসময়ে সত্যি মহাকাশযাত্রা করেছে, ‘অ্যাপোলো’ ১৭-র মতো যানও রাখা আছে।”

‘নবনীতা দেবসেন তার মায়ের গল্পগুলি পাঠ করতে গিয়ে বলেছেন যে, সবক্ষেত্রেই মেয়েরা এখানে পর্যুদস্ত, অবহেলিত এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার শিকার। তাদের ক্ষোভে ফেটে পড়তে বা প্রতিবাদ করতে দেখা যায়না, বরং কোনও এক গভীর আত্মত্যাগ ও সংযমে তারা আত্মবিশ্বাস খুঁজে পায়।’

ব্রিলিয়ান্তে মেন্দোজা-র ছবি সাধারণত নীরব পর্যবেক্ষণের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি ক্যামেরাকে চরিত্রের জীবনের খুব কাছাকাছি নিয়ে যান, যেন দর্শক কোনও নাটক নয়, বাস্তব জীবন দেখছে। সংলাপ কম, দৃশ্য ও পরিবেশ বেশি কথা বলে।

‘‘ঘটক তাঁর নিজের সৃষ্টিতে নিয়ে এলেন এক বিপ্রতীপ ঝোঁক। গৌতম বুদ্ধের দেশে বিশ্বচরাচরকে গতিময় পরিবর্তনশীল রূপে দেখাই সহজাত। বস্তুকে ‘as it is’-এর পরিবর্তে ‘in becoming’-এ দেখতে পাওয়াই প্রাচ্যের বাস্তব।’’

দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলেই সমকামিতা ক্রমশ স্বীকৃতি পাচ্ছে মূলস্রোতে…

“‘রামকিঙ্কর’ তিনি নিজে শেষ করে যেতে পারেননি, কিন্তু ফুটেজগুলির থেকে যে-কাঠামোটা আজ দাঁড়িয়েছে, সেটা দেখে বোঝা যায় যে, তিনি তথাকথিত তথ্যচিত্রের এ-দেশে অনুশীলিত চেনা ফরম্যাট ও আঙ্গিকগুলোর বাইরে বেরিয়ে, রামকিঙ্করের শিল্পীসত্তার ব্যক্তিগত অনুসন্ধান করতে চেয়েছিলেন।”
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.