

মেডিসিনারি : পর্ব ১৩
মেয়েদের শরীর, মেয়েদের ব্যথা, মেয়েদের চিকিৎসার এককণাও মেয়েদের হাতে নেই। পুতুলনাচ হয় জানেন? সেইভাবে সুতো দিয়ে ঝোলে মানুষগুলো, তাদের বাঁধা হাত, বাঁধা শরীর, নাচে অঙ্গুলিহেলনে। বাড়ির ঠিকানা জানে না অনেকেই। জন্মতারিখ জানে না।
মেয়েদের শরীর, মেয়েদের ব্যথা, মেয়েদের চিকিৎসার এককণাও মেয়েদের হাতে নেই। পুতুলনাচ হয় জানেন? সেইভাবে সুতো দিয়ে ঝোলে মানুষগুলো, তাদের বাঁধা হাত, বাঁধা শরীর, নাচে অঙ্গুলিহেলনে। বাড়ির ঠিকানা জানে না অনেকেই। জন্মতারিখ জানে না।
‘আত্মমর্যাদাজ্ঞান প্রখর ছিল প্রমথনাথের। প্রায় বদলে-যাওয়া নাটকের নবতর রূপটি ভাল করে পড়লেন প্রথমে, তারপর স্পষ্ট জানালেন, নিজের নামে এ-লেখা তিনি ছাপতে পাঠাতে পারবেন না। কারণ এতে আর তাঁর ‘নিজস্ব কিছু নেই’।’
‘একদিন তিনি মেডিক্যাল কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে, ট্রাকবোঝাই মৃতদেহ নামানো হচ্ছে, চোখে পড়ে যায় অপূর্ব সুন্দরী মধ্যবয়সি এক মহিলার নগ্ন মৃতদেহ ভূমিতে শোয়ানো। বুকের ওপর অস্ত্রের আঘাতে রক্তের দাগ তখনও জ্বলজ্বল করছে। গণেশ পাইন পরে বলেছিলেন, এ-নৃশংস বাস্তবতা ছবিতে আঁকা যায় না।’
‘সে-যুগের সিনেমায় ছবি বিশ্বাস, অন্তত তাঁর জীবনের একটু প্রৌঢ় সময়ে ছিলেন আভিজাত্যের অমোঘ প্রতীক— এ-কথা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন। তিনি অভিজাত পরিবারেরই সন্তান, কিন্তু সেটা তো তখন অজস্র! বাঙালির আর্থিক সমৃদ্ধির যুগের শেষ আলোটুকু তখনও বেশ জোরালো।’
‘ইতিহাস বইতে, মানবসভ্যতায় রোববারের ভূমিকা জাতীয় কোনও অধ্যায়— থেকে থাকলেও, তা আমার অন্তত পড়া হয়নি। জানি না। কিন্তু এটা জানি যে, তারও আগে রোববার ছিল না! না মানে, রোববার ছিল অবশ্যই, কিন্তু সেটার সঙ্গে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর বিশেষ ফারাক ছিল না।’
‘‘মৃত্যুকে ক্ষতিপূরণের চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়, যেখানে আমাদের ভালবাসা ও শোক এখন পণ্যের বিক্রি বাড়ায়। গেটের সামনে মৃত্যু, পুঁজির নিরিখে নেহাত একটি ‘ভাইরাল ঘটনা’। এই ঘটনা সংক্রান্ত সমস্ত লেখাপত্র, ভিডিও, নিউজ বাইটের ফাঁকফোকর দিয়ে প্রকট হয়ে উঠবে ভিরুষ্কার মিউচুয়াল ফান্ডের বিজ্ঞাপন।’’
‘একটা আর্কাইভ কেবলমাত্র কিছু কাগজপত্রের সমষ্টি নয়, সেখানে এসে যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই কাগজপত্রগুলি নিয়ে কেউ গবেষণা করছেন, ততক্ষণ সেই আর্কাইভ মৃতবৎ।’
‘বর্তমান সময়ে ডোনাল্ড চরিত্রটি উচ্চারিত হচ্ছে কিছুটা রাজনীতির মোড়কে। আমেরিকার তিনবারের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ডোনাল্ড ডাকের মিল ও অমিল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও মিমের দুনিয়া সরগরম। রসিক আমেরিকানদের মতে, দু’জনেই উৎপত্তিগতভাবে ‘কার্টুন’।’
‘‘‘ঝিন্দের বন্দী’ সিনেমার শক্তি কেবল গল্প বলার ভঙ্গিতেই নয়, বরং তার চরিত্র নির্মাণে, দৃষ্টিভঙ্গির নাটকীয়তায়, এবং সর্বোপরি দুই তারকার অভিনয়-দ্বৈরথে নিহিত। উত্তমের ব্যক্তিত্ব ছিল নিঃসন্দেহে রাজকীয়— তাঁর গলার স্বর, শারীরিক ভঙ্গি, চোখের ভাষা, সবই যেন ক্যামেরার জন্য জন্ম নেওয়া।’’
‘সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে এদেশে এলেও তাঁর ভাষাবিদ ও অনুবাদক সত্তা ধর্মীয় কার্যকলাপকে অচিরেই ছাপিয়ে যায়। যে-‘বিধর্মী’দের উদ্ধারের জন্য তাঁর স্বদেশ ত্যাগ, সেই ‘হিদেন’দের সঙ্গে দীর্ঘ সহবাসের ফলে তাদের ভাষা-সংস্কৃতি সম্পর্কে কেরির মুগ্ধতা ও মমত্ব আমাদের চমকিত করে।’
‘‘নির্জন সৈকতে’ দেখে প্রথমবারই অবাক হয়েছিলাম। ১৯৬৩-তে এমন একটি ছবি তপন সিংহ বানিয়েছিলেন, যার কেন্দ্রে চার বিধবা মেয়ের নিজেরা নিজেরা তীর্থে বেরিয়ে পড়া।’
‘সুরের মধ্যে একটা পুনরাবৃত্তি আছে, যেমন মনখারাপের বাতাসে থাকে। সে বারে বারে একই পথে ফিরে এসে হানা দেয়, এ-গানের সুরও তাই। আর যখন বলা হচ্ছে, ‘আমাকেও সাথে নিও, নেবে তো আমায়…’, এইটুকুর মধ্যে আকুতি, অনুরোধ, আশঙ্কা আর অনির্দেশ একসঙ্গে ফুটে উঠছে, এমনই আশ্চর্য আর অব্যর্থ শব্দ-সুরের প্রয়োগ!’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.