

ধর্মঘট
‘সারারাত বিছানায় শুয়ে ছটফট করেছে সে। তারপর ভোরের শুকতারাকে সাক্ষী রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে— এই শেষ, কালকের ধর্মঘটই তার রাজনৈতিক জীবনের শেষ অনুষ্ঠান, রাজনীতি আর নয়!’
‘সারারাত বিছানায় শুয়ে ছটফট করেছে সে। তারপর ভোরের শুকতারাকে সাক্ষী রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে— এই শেষ, কালকের ধর্মঘটই তার রাজনৈতিক জীবনের শেষ অনুষ্ঠান, রাজনীতি আর নয়!’
‘পেশায় যে-শিবপদ একজন বাতিবাবু, যাঁর কাজ খনিশ্রমিকদের আলো দেখানো, পিকনিকযাত্রার মধ্যে দিয়ে তিনি যেন সেই আলোই নিজের এবং পরিবারের সবার জীবনে ফেললেন। আমরা আনন্দে-উত্তেজনায় আলোকিত হয়ে উঠতে দেখলাম প্রত্যেককে।’
শিল্পীর কলম থেকে শ্রোতার হৃদয় পর্যন্ত যে যাত্রাপথ, সে পথ সোজা নয়; বিশেষ করে সেই সৃষ্টি যদি হয় সিনেমার জন্য ফরমায়েশি গান। ‘প্রাক্তন’ ছবির জনপ্রিয় গান ‘কলকাতা’ লেখা ও সুর দেওয়ার পর্বে এরকমই অভিজ্ঞতা অনুপম রায়ের।
‘কলকাতা থেকে বদলি করে এখানে আনা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট ডগলাস কিংসফোর্ড সাহেবকে। তাঁর এজলাসের বিচারাধীন মামলায় তাঁর দেওয়া বিভিন্ন রায়ে খেপে উঠেছে বাংলার বিপ্লবীরা। তবে সমস্ত গোপন খবর কি আর দপ্তরে আসে?’
‘আজকের বিশ্ব-রাজনীতিতে ডাইনে বাঁয়ে ঘেঁটে যাওয়া পরিস্থিতিতে কেন লোচের মতো পরিচালকের সগর্বে ছবি করে যাওয়া এক অতি আশ্চর্য ঘটনা বলে মনে হয়। কোনও বিরাট কিছুর সঙ্গে যোগ তৈরি হওয়ার আশা জোগায়। বিশ্বাস জোগায়।’
‘বৌদ্ধ নারী-সংঘের প্রথম ভিক্ষুণী— গোতমী। বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে যাঁর নাম— মহাপোজাপতি গোতমী। বুদ্ধের বার্তা কণ্ঠস্থ করে বাকিদের আলোকিত করার গুরুদায়িত্ব তথাগত যে সীমিত কয়েকজনকে দিতে ভরসা করেছিলেন, মহাপোজাপতি তাঁদের অন্যতম।’
‘সে খুন করে কেন? কারণ এভাবে সে দেশের পাপ দূর করতে চায়। যারা এত অপবিত্র যে, মেয়ে হয়ে বহু পুরুষের সঙ্গ করে, তাদের খুন করে সে শিক্ষা দিতে চায়। সে পুণ্যের কারবারি। ঈশ্বরের সহকারী। সংস্কারের কান্ডারি।’
‘গোটা ছবিতে রহিমসাহেব সারাক্ষণ একটা বিছিন্ন দ্বীপের মতো একলা জেগে রইলেন। একা-একাই ভাবলেন, একা-একাই সইলেন! কখনওই টিমের সঙ্গে তাঁর আত্মার যোগটা খুঁজে পাওয়া গেল না।’
পরিবর্তনটা দেখা দিল গত শতকের সাতের দশকে। ধুঁকতে থাকা ‘গ্রান্টা’ এই সময়ে এসে প্রায় অস্তিত্বহীন একটি জায়গায় পৌঁছে যায়। আর ঠিক তখনই আদ্যন্ত ভোল বদলের শুরু! বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্রিকার দীর্ঘকালীন পরিচিতি ত্যাগ করে আন্তর্জাতিক ও আধুনিক লেখার মঞ্চ হয়ে উঠল ‘গ্রান্টা’।
‘আজ বুঝি, শিল্পের চেয়েও চর্চা কখনও বড় হয়ে ওঠে। ওই ফিরিওয়ালা মানুষটির গলায় শিল্প ছিল না। ছিল চর্চা, অভ্যেস, অধ্যবসায়। তাই শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা একই ভাবে ডেকে উঠতে পারতেন, সওদার টানে, রোজগারের আশায়।’
বাঙালি মধ্যবিত্তের যে অবয়ব সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিজনের রক্তমাংস’ গল্পে দেখা যায়, পাঠকমহলে আজ তা কাল্ট স্টেটাস লাভ করেছে। কেসিসি বৈঠকখানা-য় অনির্বাণ ভট্টাচার্য পাঠ করলেন সেই বহুচর্চিত গল্প।
‘নিজের ইংরেজি জ্ঞানের ওপর ভাল দখল থাকার কারণেই এমন একটা ইচ্ছে তার হয়েছিল। হরশঙ্কর ব্যাকুল হয়ে উঠল মাকে একখানা চিঠি লিখে সব ব্যাপারটা খোলসা করে দেবার। বুঝিয়ে বলা যে, উদ্বেগের কারণ নেই। শান্তিতে জীবন কাটানোর জন্যই সে একটা বিকল্প পথ খুঁজছে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.