

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৩৬
‘পাটনা পৌঁছে জানা গেল যে, সাহেবদের জন্য কোয়ার্টার অকুলান হওয়ায় তরঙ্গনাথকে তখন থাকতে বলা হয়েছে বাঁকিপুরে; পরিবারের কেউ সঙ্গে থাকে না; ফলে তরঙ্গনাথ একা মানুষ।’
‘পাটনা পৌঁছে জানা গেল যে, সাহেবদের জন্য কোয়ার্টার অকুলান হওয়ায় তরঙ্গনাথকে তখন থাকতে বলা হয়েছে বাঁকিপুরে; পরিবারের কেউ সঙ্গে থাকে না; ফলে তরঙ্গনাথ একা মানুষ।’
‘পরিচালক এই সিনেমাটা সম্পর্কে বলেছেন, এখানে দুটো সিনেমা আছে, একটা দৃশ্যের, আরেকটা ধ্বনির। সত্যিই, গোটা ছবিতে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের একটা নিষ্ঠুর ঘটনাও একবারও দেখানো হয় না। কিন্তু শুধু আওয়াজের মধ্যে দিয়ে একটা সমান্তরাল বাস্তব তৈরি করা হয়।’
‘মানচিত্র প্রকাশ করার পর হ্যালি উৎসাহী মানুষজনকে বলেছিলেন ইংল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই গ্রহণের সময় এবং স্থায়িত্ব কতক্ষণ তার তথ্য নথিবদ্ধ করতে। গ্রহণ শেষে সেসব মিলিয়ে দেখা গেল, হ্যালির মানচিত্রের থেকে সূর্যগ্রহণের প্রকৃত গতিপথ সরে গেছে প্রায় কুড়ি মাইল।’
‘আসলে ইংরেজি ভাল না-জানা প্রভাকরণের অনুবাদকের কাজ করেন ইনি। তাই বিদেশি সাংবাদিক সাক্ষাৎকার চাইলে বেশির ভাগ সময়ে জর্জ মাস্টার তাদের মুখোমুখি হন। ভাবছিলাম, যে-কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনের নেটওয়ার্ক কি এরকমই জোরালো হয়?’
‘…ভালবাসা একটা আকর্ষণ, সেটাই বললে না? কারোর জন্য উন্মাদ হয়ে যাওয়া। সবাই হয়তো বারণ করছে, করিস না,করিস না বোকা কিন্তু তবু বারবার তার কাছেই ছুটে যাওয়া। একটা অদৃশ্য টান। একটা মায়া। এটা ভালবাসা নয়?’
‘কুন্দেরার হাসিকে তামাশা না বলে বোধহয় ‘খিল্লি’ বলা অনেক বেশি যুক্তিসঙ্গত হবে। বিখ্যাত মার্ক্সবাদী সমালোচক টেরি ইগেল্টন তাঁর এক প্রবন্ধে অনবদ্য বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন, কীভাবে স্বৈরতন্ত্রী রাষ্ট্রে কুন্দেরার এই হাসি অর্থের উৎপাত সৃষ্টি করে।’ মিলান কুন্দেরার সাহিত্যে হাসির তাৎপর্য।
‘বাবাকে চিনতাম বটে, কিন্তু বড্ড দূরের মানুষ। লম্বা, ছিপছিপে, অতিশয় সুপুরুষ একটা লোক মাঝে মাঝে আসে যায়, কখনও আমাকে একটু কোলেও নেয়, কিন্তু ওই এসোজন-বোসোজনের মতোই একজন মাত্র।’ ফেলে আসা জীবনের কথা।
প্যারিস অলিম্পিকের আঙিনায় এবারের উদ্বোধন অনুষ্ঠান থেকে খেলোয়াড়দের অনায়াস আত্মবিশ্বাস, সবই আমাদের আতশকাচের তলায়। জীবনের সব ক্ষেত্রে এখন অযথা বিতর্ক বিদ্যমান; খেলার মঞ্চই বা বাদ থাকে কেন!
‘এসব দিনে অপেক্ষারও বয়স বাড়ে।/ তোমাকে চিনি শাড়ি তোলার ব্যস্ততায়।/ কী অহমিকার রৌদ্র নাও আঙুলে বেঁধে…/ শরীর থেকে অতীত নাম ছিটকে যায়।/ আমার পাড়া অন্যদিকে।/ জীবনও ছোট।/ সানাই থেকে ডানদিকের রাস্তা ভাগ। …’
‘দরজাটা আবার ভেজিয়ে দিয়ে, ঘরের দিকে আসতেই ভূতেশ দেখল যে, এক গ্লাস চিনির-পানা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রভা। খুব অল্প সময়ের জন্য আদর বিনিময় হল পরস্পরের চোখে; ভূতেশের হাতে গ্লাসটা ধরিয়ে দিয়েই প্রভা চলে গেল। কে বলবে যে এখন সে দুই সন্তানের মা!’
‘দীর্ঘদিন কৃত্রিম হাসতে-হাসতে, মানুষ এক সময়ে হাসির ওজন ভুলে যায়। তাঁর অনুভূতিতে জং পড়ে। ভেতরে রিনরিন করে বেজে চলে যে-করুণ রাগ, তাকে ঢাকার জন্যই এই ‘অট্টহাসি’। অথচ তা কি কোনও আনন্দ থেকে উৎসারিত? নয় যেহেতু, তা-ই ‘মায়াময়’।’
‘১৯১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় পাক্ষিক Forbes পত্রিকার প্রথম সংখ্যা। এর কেন্দ্রে ছিল এক হাজার ডলার পুরস্কারমূল্যের একটি প্রতিযোগিতা। ‘আমেরিকার শ্রেষ্ঠ নিয়োগকর্তা কে?’— এই বিষয়ে আহ্বান করা হয় প্রতিবেদন।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.