

মৃত্যু, মঞ্চ ও কেয়া
‘মার্চ মাসের এই দু’টি দিন বাংলার নটচঞ্চুদের হুট করে কেয়া চক্রবর্তীর কথা মনে পড়ে, ‘আহা, উনি কত মহান নাট্যশিল্পী ছিলেন’ বলে দু-লাইন লেখা হয় ফেসবুকের দেওয়ালে, আবার তারা গোটা ঘটনাটা ভুলে যায়।’
‘মার্চ মাসের এই দু’টি দিন বাংলার নটচঞ্চুদের হুট করে কেয়া চক্রবর্তীর কথা মনে পড়ে, ‘আহা, উনি কত মহান নাট্যশিল্পী ছিলেন’ বলে দু-লাইন লেখা হয় ফেসবুকের দেওয়ালে, আবার তারা গোটা ঘটনাটা ভুলে যায়।’
‘বিকেলের দিকে ওই এমার্জেন্সিতে সেদিনের জন্য রাউন্ড দিতে গেছি। হঠাৎই দেখি, মহিলাদের ওই ওয়ার্ডের দরজায় পর্দা সরিয়ে এক মাঝবয়সি লোক ওই মহিলার শয্যার দিকে তাকিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে। আমি ওই লোকের চোখের দৃষ্টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না-হতেই দেখি লোকটি গায়েব।’
একজন শিল্পীর কি আপস করা উচিত? না কি আপস শিল্পীসত্তাকে নষ্ট করে?
‘টেলিভিশনে কাজ করার একটা বিষয় আছে ঠিকই, যে, সেখানে দীর্ঘদিন একটিই চরিত্র, একটিই গল্পের মধ্যে বাস করতে হয়। কম বয়সে সত্যিই মনে হত, মনোটনিটা ঘিরে ধরছে, একটেরে হয়ে উঠছে জীবন।’
‘আমরা আহত, ক্ষতবিক্ষত প্রজন্ম। উত্তাল নৃত্যরত সময় আমাদের দুলিয়ে দুলিয়ে ছন্দিত করেছে, আবার আঁচড়ে-কামড়েও দিয়েছে, আগুনের ছ্যাঁকাও লেগেছে।’
‘রুথ হ্যান্ডলার তার মেয়ের পুতুলখেলার শখ পূরণ করতে বানালেন এক দীর্ঘদেহী, প্রাপ্তবয়স্কা নারীর অবয়ব। নাম দিলেন নিজেরই মেয়ের নামে; বারবারা মিলিসেন্ট রবার্টস— ডাকনামে, বার্বি।’
‘সোভিয়েত এয়ারফোর্সের প্রাক্তন সিনিয়র লেফটেন্যান্ট, কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ইউরি গ্যাগারিন ১০৮ মিনিট ধরে নীলগ্রহের চারপাশ ঘুরে এসে সগর্বে ঘোষণা করলেন— ‘আমি ভাল আছি।’’
‘প্রথমদিকে সুযোগ পেতাম রঞ্জনদার টেবিলের সামনে বসে আড্ডা দেওয়ার। বেশিক্ষণ বসা যেত না। প্রায়ই সংস্কৃতির পাতার লেখকেরা এসে ভিড় জমাতেন। একদিন অফিসে এলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে সেই সিঁড়িতে তুমুল আড্ডা।’
‘সুন্দরবনের লাহিড়িপুরের মেয়েটা বাপের বাড়ির দাওয়ায় বসে রাগ দেখিয়ে চোখ লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ বলে উঠেছিল, ‘কী লিখবেন আমাকে নিয়ে! এসব জানাজানি হলে আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে।’’
‘মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখার সেই অভিজ্ঞতা কোনওদিন ভুলব না। আমার প্রতিদ্বন্দ্বীই তো প্রকৃতি, তার কাছে তো নতজানুই হতে হয়। এখানে হাততালি কুড়োনোর কোনও জায়গা নেই।’
‘ইটভাটায় থাকলে তবু তো শুধু হাতে ব্যথা হয়। বাড়িতে থাকলে রাতবিরেতে মার খেয়ে সর্বাঙ্গে ব্যথা হয়। ব্যথা উপশমে ‘দবাই’ কেনা তাই অপচয়। মালিকের ঋণ শোধ করা ছাড়া বাকি সবই আসলে তাই।’
‘চ্যালেঞ্জিং মানে কি সবসময় যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে রিপোর্টিং? তা তো নয়। শুনতে নিরীহ মনে হলেও এক-একটা অ্যাসাইনমেন্ট ঘাম ঝরিয়ে দেয়।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.