জনতার ক্রমহ্রাসমান মনোযোগ অনুযায়ী একজন শিল্পীকে নিজেকে গড়ে পিঠে নিতে হবে?
‘প্রশ্ন জাগে, প্রদর্শনীর মূল বিষয় যেখানে পঞ্চানন কর্মকার, সেখানে তাঁর ব্যবহৃত কোনও কিছুই নেই কেন? যে-যন্ত্রপাতি তুলে আনা হয়েছে, তার একটিও তো পঞ্চানন কর্মকারের নয়। পঞ্চানন কর্মকারের সাথে সম্পৃক্ত এই ইতিহাসকে আরও দক্ষতার সাথে উল্লেখ করা প্রয়োজন ছিল।’
‘মুখে বললেও বাইরের ভোলের সঙ্গে-সঙ্গে ভেতরেও যে তার একটা সূক্ষ্ম পরিবর্তন হচ্ছে, অনাদিবাবু টের পাচ্ছেন। আগে যেটা তিনি ডাহা কুসংস্কার বলে জানতেন, আজকাল তা বিশ্বাস করতে ভীষণ ইচ্ছা করে।’
‘দেওয়াল অথবা টিফো— মুছে অথবা ছিঁড়ে দিলে, অস্বীকার করা হয় সময়। ইতিহাস। আর ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চায় রাষ্ট্রনায়করা।’
‘নীতিহীনতা নিয়েও তুমি ভাবিত নও যা বুঝছি। ঠিক আছে ধরো, একজন সফল ডাক্তার। বিশাল নামডাক কিন্তু মদারু। বউয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় আর ছেলেটাও একদম বিশ্ব-বখাটে। এই ব্যক্তিকে তুমি কি একজন সফল মানুষ বলে চিহ্নিত করবে?’
‘বাঙালিকে আর পায় কে! ক্রেডিট কার্ডে জিনিস কেনো, দেয় পরিমাণ খুব বেড়ে গেলে গহনা বন্ধক দিয়ে টাকা নিয়ে ক্রেডিট কার্ড বিল মিটিয়ে আবার ক্রেডিট কার্ডে জিনিস কেনো। ভাঁড় মে যায়ে ‘যত্র আয়,তত্র ব্যয়’!’
‘এই আয়োজন কি ছবির সঠিক তথ্য না-জেনেবুঝেই নিতান্ত সরলচিত্তেই করা হয়েছে? না কি এর আড়ালে ওঁত পেতে আছে জালছবির বিরাট চক্র– যা প্রদর্শনীর শেষে বিপুল বাণিজ্যের চেহারা নেবে?’
‘লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এবং উইলিয়ম শেক্সপিয়র জন্মেছেন এই বৈশাখেই। লিওনার্দো তো দেখেশুনে পয়লা বৈশাখ, কেননা পৃথিবীর পয়লা নম্বর শিল্পী জন্মানোর জন্য আর কোন তারিখই বা বেছে নিতেন!’
‘একে-একে প্রায় ১৮ জন পাক খেলেন! বছর ঘুরছে, মহাবিষুব পেরচ্ছে সূর্য রশ্মি! সন্ন্যাসীরা পাক খেতে-খেতে ফল, বাতাসা বিলোচ্ছে অকাতরে! হুড়োহুড়ি করে সেসব কুড়নোর কী ধুম মানুষের!’
‘সোমবার শুরুর আগে এখন আর বোরোলিনের সংসার শুনি না, চিত্রহার-ও দেখি না। কোকিলের সুরে আর ঘুম ভাঙে না। বরং ভোররাতের ঘুম কোলবালিশে সকাল পেরিয়ে যায়। শোনার জায়গা দখল করে নেয় কখনও শংকর, কখনও প্রফুল্ল রায়।’
‘হুতোম যদি ব্রাজিল বা ত্রিনিদাদের কার্নিভাল দেখতেন, কী আমোদই না পেতেন! কলকেতার রাজপথে চড়ক সংক্রান্তিতে জেলেপাড়ার সং-এর যে বর্ণনা আছে ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’-য়, তাকে হাজার দিয়ে গুণ করলেও বোধহয় এর ধারেপাশে পৌঁছনো যাবে না।’
‘এত সবের মধ্যে যা সবার চোখ এড়িয়ে গেছে, তা হল ‘এমপুরান’ ছায়াছবির হিংসাশ্রয়ী আঙ্গিক। এখানে প্রতিটি চরিত্রের একটি হিংস্র অতীত আছে, যা তাদের ফিরে তাড়া করে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.