

আমার ‘ওয়ান্ডারল্যান্ড’
‘বাবার একটা পুরনো ডায়েরি আছে; সেখানে দেখেছি, অনেক বই-পত্রপত্রিকার নাম লেখা, যেগুলো বাইরে থেকে আনাতে হত। মূলত ব্রিটিশরা ছিলেন সেসব বইয়ের ক্রেতা।’
‘বাবার একটা পুরনো ডায়েরি আছে; সেখানে দেখেছি, অনেক বই-পত্রপত্রিকার নাম লেখা, যেগুলো বাইরে থেকে আনাতে হত। মূলত ব্রিটিশরা ছিলেন সেসব বইয়ের ক্রেতা।’
‘অচিরেই বাজারটি তখনকার সাহেব-মেমদের প্রিয় হয়ে ওঠে। পরে উচ্চবিত্ত বাঙালিদেরও। যত দিন যেতে লাগল, বাজারটি আয়তনে আর স্টলের সংখ্যায় বেড়ে শুধু দরকারি জিনিসপত্র নয়, পৃথিবীর সবরকম জিনিসের সুপারমার্কেটে পরিণত হয়।’
‘বিনোদিনী যে থিয়েটার ছেড়ে দিয়েছিলেন, তার মূল কারণ তাঁকে ক্রমশ প্রধান চরিত্র থেকে সরিয়ে এনে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করানো হচ্ছিল। ১ জানুয়ারি যে শেষ অভিনয় বিনোদিনী করেন, সেখানে প্রায় কোরাসে অভিনয় করেন তিনি।’
‘ভাগ্যিস মাতিস তাঁর বাবার মতো শস্যদানা ও বাড়িঘরের রঙের ব্যবসায়ী হননি! ভাগ্যিস তিনি ল-অফিসের কর্মী হয়েই থাকেননি! পিকাসো মাতিসকে মনে করতেন, রঙের জাদুকর।’
প্রচুর সংস্থা নিজেকে অভিজাত প্রমাণ করার জন্য উদ্ভট নিয়ম বানায়। জিনস পরে দাবা খেলা যাবে না, পাজামা পরে কলকাতার ক্লাবে ঢোকা যাবে না, টাই না বেঁধে অফিসে এলে চাকরি যাবে। ধর্ম থেকে বিনোদন, সর্বত্র এই প্রবণতা আসলে কেরানিগিরি আর দাদাগিরির মিশেল।
‘দুরন্ত মেধার সঙ্গে কৌতুক মিশে গেলে যা হয়, অচিরেই তিনি প্রিয় হয়ে ওঠেন সকলের। নিজেকে দেখিয়ে বলতেন, ‘আমি ফরসা নই- অ্যালবিনোস, যাকে সবাই সাদা খরগোশ বলে।’
বেঙ্গল বিয়েনালের এক অমূল্য সম্পদ দেখার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে দরবার হলে। অবনীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ, সুনয়নী দেবী। তৃতীয় শিল্পী প্রথম দু’জনের বোন। । যে শিল্পীরা আধুনিক ভারতীয় চিত্রকলাকে দিশা দেখিয়েছিলেন, উনি তাঁদের অন্যতম।
‘‘অভিমান’ ছবিটা করার জন্য হৃষীকেশ মুখার্জি ছ-বছর আমার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। আমি করিনি। কেননা মা বারণ করেছিলেন। ওই রোলটা অমিতাভ বচ্চন করেন। নায়কের নাম সুবীর। গায়ক। ওইটাই আমি…’
অনুভূতির এই সূক্ষ্ম লেখচিত্র , এই স্পর্শকাতর স্পন্দন থেকেই রিলকের কবিতা জেগে ওঠে। পর্যবেক্ষণ, অনুভূতি, মেধা, স্বপ্ন আর ঘোর দিয়ে তার অবয়ব নির্মিত।
‘লিটল মাস্টার টপকে গেলেন স্যর ডনকে। সুনীল কেরিয়ারের সর্বোচ্চ রান করলেন। ২৩৬। সে কোনও আক্রমণের পথে নয়। নিজের কক্ষপথ থেকে চ্যুত হয়ে নয়। ফিরে এলেন নিজের চেনা ছন্দে। হয়তো তার অহং এর থেকে বড় হয়ে দাঁড়াল অনুশীলনের শ্রদ্ধাবোধ।’
‘কেউ চলে যাওয়ার পর, অবিচুয়ারি লেখার সময়ে আমরা সেই রক্তমাংসের মানুষকে মহান করে তুলি। তবে মনমোহন সিংকে যদি মনে করতে হয়, তবে ভারতের মানুষ তাঁকে মনে রাখবে তাঁর অর্থনীতির সংস্কারের জন্য।’
‘অনেক সময়ে সম্পাদক রমাপদ চৌধুরী অপ্রিয় হয়েছেন তাঁর অনুজ সাহিত্যিকদের কাছে। ক্ষুরধার মেধাসম্পন্ন মানুষটি তবুও লেখার ভাল-মন্দ বিচার করতে কোনওদিন কারও সঙ্গে অন্যায় সমঝোতা করেননি।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.