পত্রিকা

অনুপম রায়

সং স্টোরি শর্ট : পর্ব ২০

‘দশম অবতার’ ছবিতে অরিজিৎ সিং এবং শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠে প্রথম শোনা যায় এই গান। প্রেমের যে বিচিত্র গতায়াত, তার একটা ধারণা যেমন এই গানের মধ্যে ফুটে ওঠে— তেমনই ফুটে ওঠে প্রেমিকমনের চাপা বিষণ্ণতা, যা উদাসীনতার হাত ধরাধরি করে চলে।

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৫০

‘এক জীবনে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন পর্বের ঝিনিদের, তাই সে সরিয়ে রাখল দূরে। তার মনে পড়ল ছোটবেলায় পড়া একটা বইয়ের কথা। সে-বইটার গল্পের সঙ্গে ছাপা ছবিগুলো তার বাবারই আঁকা। একটা ছোট ছেলে; তার কাকা তাকে শেখাতে লাগল চাষবাস…’

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা : পর্ব ৪৪

বাংলা কবিতার জগতে ভাস্কর চক্রবর্তী এক বহতা নদী। যে নদীতে ডুব দেওয়া যায়, আঁজলা করে ছিটিয়ে আত্মা ভেজানো যায়, আবার আনমনে বসে থাকা যায় পাড়ে, কিন্তু সে নদী নীচু স্বরে অথচ তীব্র অভিঘাত নিয়ে বয়ে চলে ঋদ্ধ করে তোলে দুই কিনারা।

ঋভু চট্টোপাধ্যায়

হাওয়া-বাতাস অথবা কিছুই না

‘এখন আবার সব ডাক্তার বসছে না, বসলেও পা থেকে মাথা পর্যন্ত এমন সব ঢাকা পোশাক পরে থাকছে যে, রুগী দেখতে দেখতেই ডাক্তারের জাঙ্গিয়া ভিজে টসটস করে পড়ছে, অবশ্য এর মাঝে ডাক্তার প্যান্টে মুতে ফেললেও কিছু বলতে পারা যাবে না।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক : পর্ব ৭৫

মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প জিতে যাওয়ায় পণ্ডিতেরা হতচকিত, তারপর নানা নতুন বিশ্লেষণে মাথা চুলকোচ্ছেন। কেউ বলছেন, অর্থনীতিই আসল, কেউ বলছেন শরণার্থী সমস্যাই খেলা ঘুরিয়েছে। কিন্তু আসল নির্ণায়ক বোধহয় ট্রাম্পের বেলাগাম কথাবার্তা।

অরুণ কর

প্রেম কিংবা অপ্রেমের গল্প

‘ফক্কা শেষ পর্যন্ত আসবে কি না, সে ব্যাপারে হয়তো ওর মনে সন্দেহ ছিল। মা বেঁচে থাকতে তাঁর হাজার অনুনয়েও যে ছেলে একবারের জন্যেও এল না, তাঁর মৃত্যুতে সে যে আসবে, এমনটা কে-ই বা আশা করে!’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৪৮

‘তার মিয়াঁ একবার বলেছিল, সব আগুনই যে বাতাস পেয়ে জ্বলে, তা নয়; বুকের মধ্যে যে তোলপাড় সেই ধড়ফড়ানিতেও নাকি জ্বলে ওঠে; তার মনে হল, এই আগুনটাও সেরকমই কিছু ; এখনও যে আলোয় হয়ে আছে বাইরেটা, সে কি তার মনের মধ্যে জেগে ওঠা ওই ভয়ানক তোলপাড়ে”

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৪৯

‘শহুরে একটা ফ্ল্যাটের, একতলার ঘরে ঝিনি যেন ছুটে-ছুটে ছবি আঁকছে; ছোটবেলায় যেমন সে ছবি আঁকত কখনও মেঝেতে, কখনও দেওয়ালে, কখনও-বা বাবার বিছানায় রাখা তাকিয়ায়, কখনও আবার খালি গায়ে বসে থাকা বাবার লম্বা পিঠে।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি : পর্ব ৩২

‘এই ছবিতে দেখানো হচ্ছে, ভ্যাম্পায়ারের বয়স বাড়ছে, সে ছোট থেকে বড় হচ্ছে, তবে বয়স বাড়ার গতিটা কম, মানে, যে-মেয়েকে দেখে আমাদের মনে হচ্ছে ১৬ বছর বয়স, আসলে হয়তো তার ৬৮।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৯

‘খুব পুরনো গির্জা পেরিয়ে ডানদিকে একটা গলি। চিনতে অসুবিধা হবে না, মুখেই পাঁচিলের গায়ে লেখা— হ্যাম্পস্টেড স্কোয়্যার এন ডব্লিউ থ্রি। বুকের ধুকপুক বেড়ে গেছে। শেষপর্যন্ত তাহলে আমরা পৌঁছতে পারলাম সেই তীর্থে!’

রোদ্দুর মিত্র

চিরকুট

‘ছোট তো ওরা। চিরকুটকে নিয়ে খিল্লি করে যারা। পাড়ার মোড়ে সিগারেট ধরায়। সময় হলে পেটায়। কুত্তার মতো পিটিয়ে-পিটিয়ে থেঁতলে দেয়। রক্ত বেরোয়। কখনও বেরোয় না। মানুষ মরে। বেড়ালও। গাছও। গাছের কাছে গিয়ে দাঁড়াও, দেখবে কত ছোট।’ নতুন গল্প।

শিমূল সেন

অন্ধকারময়ী

‘রানিগঞ্জ বা ভিলাইয়ের মতো মধ্য ভারতের যাবতীয় খনি-অধ্যুষিত প্রদেশেই এই দেবী নিয়মিত পূজিতা। সমস্ত কোলিয়ারিতেই তাঁর ছবিটুকু টাঙানো থাকে। ওইসব জায়গার কোথাও-কোথাও তাঁর ডাকনাম ‘শক্তিদেবী’, কেউ ডাকেন ‘নিলোদি মা’ বলে।’ আঞ্চলিক দেবীর আখ্যান।