

সমুদ্রের খিদে…
‘…গল্পটি যত এগোচ্ছিল, আমার এতদিনের সমস্ত সমুদ্র-বোধ ধীরে-ধীরে গলে যাচ্ছিল; ঘেমে উঠছিলাম নিমের ছায়ায়। গল্পটি পড়ার ‘আগের আমি’ ও ‘পরের আমি’ সম্পূর্ণ অন্যরকম হয়ে গিয়েছিলাম।’
‘…গল্পটি যত এগোচ্ছিল, আমার এতদিনের সমস্ত সমুদ্র-বোধ ধীরে-ধীরে গলে যাচ্ছিল; ঘেমে উঠছিলাম নিমের ছায়ায়। গল্পটি পড়ার ‘আগের আমি’ ও ‘পরের আমি’ সম্পূর্ণ অন্যরকম হয়ে গিয়েছিলাম।’
‘…তমালদা গাইছেন, ‘বর্ষণগীত হল মুখরিত মেঘমন্দ্রিত ছন্দে’, বাইরে অঝোরে বৃষ্টি। কালিকাপ্রসাদের কাছেই পরে শুনেছি, আদতে গান শেখার অছিলায় ওই মানুষটার সঙ্গে সময় কাটানো, তাঁর সাহচর্য আর আড্ডা দেওয়াই ছিল মূল।’
‘চারদিকে যে-সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাই প্রতিদিন, তাতে সতীনাথের গান বেমানান। সমস্যা হল তাঁদের নিয়ে, যাঁরা সিগনাল খুললেও তিরিশ সেকেন্ড ট্রাফিকে দাঁড়িয়ে যান, প্রিয় গানের সঞ্চারীটা শুনবেন বলে! সতীনাথ, সতীনাথের মতো দিকপালেরা তাঁদের মারেন আবার বাঁচানও!’
‘গড্ডলিকা’-র যে-সংস্করণ প্রথম যথার্থ বিপণন পায় এবং প্রচারিত হয়, তারই শতবর্ষ এ-বছর। আর তার বীজ মুনাফালোভীর বিরুদ্ধে জাতীয় আদর্শের লড়াইয়ে। ব্যাবসাবিমুখ বলে দাগা-খাওয়া বাঙালির সাহসী নিশান এই গল্পগ্রন্থ…
‘আধো-অন্ধকার একফালি জায়গা পেরিয়ে আলোজ্বলা বারান্দায় উঠেই আঁতকে উঠলাম। আমার পা বেয়ে রক্তের ধারা কেন? কোথাও তো আঘাত লাগেনি। থ্রি কোয়ার্টার্স আর স্নিকার্সের মাঝখানের জায়গাটা লাল হয়ে গেছে।’
নদীর গতিপথ পাল্টানোর ইতিহাস আজকের নয়, বহু দিনের। মানুষের মতোই নদীর জীবন। শোক, তাপ, রোগ-ভোগ, বিপর্যয় মানুষকে যেমন পাল্টে দেয়, ঠিক তেমনি বন্যা, ভাঙন, বড় বাঁধ, নদীর উপর মানুষের আক্রমণ— নদীর গতিপথকেও পাল্টে দেয়…
‘যে বেলগাছে আলিঙ্গন সুখ পেয়েছিলেন শিব, সেই বেলের ফুল কোনওভাবেই একমাত্রিক নারীরূপ নয়। বেলগাছের ফুল উভলিঙ্গ। পুংকেশর এবং গর্ভকেশর দুইয়ের অবস্থান সেখানে।’
সারা পৃথিবীর প্রায় সত্তর শতাংশের বেশি বাঘ ধারণ করে আমার-আপনার এই দেশ ভারতবর্ষ। ২০২৫ সালে এই মুহূর্তে দেশে মোট টাইগার রিজার্ভের সংখ্যা ৫৮। হাসি সংক্রামিত হয় ছাপ্পান্ন ইঞ্চির মুখে— ভেসে আসে সেই বজ্রনির্ঘোষ; ‘মিত্র, বাঘো মে বাহার হ্যায়!’
‘প্রাচীন ভারতে ‘নগরবধূ’ বা ‘গণিকা’-রা কেবল শরীরের নয়, সংস্কৃতি, সংগীত ও নৃত্যকলার ধারক ছিলেন। কামসূত্র-তে দেহ ও কামের যে সূক্ষ্ম জ্ঞান উঠে আসে, তা বোঝায় যে, প্রাচীন সমাজ যৌনতাকে অস্বীকার করত না, বরং শিল্পের স্তরে তুলে এনেছিল।’
‘আজও রূপান্তরকামীরা শিক্ষিত সমাজের কাছে কৌতুকের পাত্র। অথচ তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে-অসম লড়াই চালিয়ে যান, চিকিৎসক হিসেবে আমি তার প্রত্যক্ষদর্শী। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্বটুকু পালন করেছি মাত্র…’
‘খুব যে নির্দিষ্ট কোনও কিছু ভালবেসে বেরিয়েছিলাম সেটা বলা যাবে না। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল ঘোরা। আমি ঘুরে বেড়াতে প্রচণ্ড ভালবাসি! আগে তো এমনিই ট্রেকিংয়ে যেতাম, তারপর বেছে নিলাম সাইকেল। সাইকেলের মজাটা হচ্ছে, যখন-তখন, যেখানে-সেখানে থেমে— আকাশটা দেখা যায়।’
‘আজীবনকাল অ্যালেন তাঁর লক্ষাধিক কপি বিক্রি হওয়া কবিতার বইয়ের সিংহভাগ উপার্জনই ব্যয় করেছেন তাঁর বন্ধু, সহশিল্পী ও অনুরাগীদের জন্য। অ্যালেনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, কবি-সাহিত্যিকদের প্রাপ্যের ভাগ হওয়া উচিত ন্যূনতম। এই ন্যূনতম ভোগবাদের জীবন অ্যালেন বজায় রেখেছেন শেষ পর্যন্ত; নেননি সরকারি সাহায্য, বা চাকরি।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.