পত্রিকা

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

আক্রান্ত: পর্ব ৬

‘…এই আবেগ মিথ্যে হতে পারে না, মিঠির মন বলছে। কী অদ্ভুত এক ফুট দূরত্বে বসে এই যুবকের কান্না। এ কথা সত্যি যে, অভিমন্যুকে অপছন্দ করে না ও। কিন্তু তিলক আসার পর মিঠির জগৎটাও বদলে গেছে চিরদিনের মতো। অভিমন্যুকে কি ও ভালবাসতে পারত? মিঠি বুঝতে পারছে না।’ দুই নায়ক, এক নায়িকার গল্প।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৫

‘শহরের সমস্ত মহাসড়ক মৃত অজগরের মতো নিঃসাড়। মাঝে মাঝে অনিচ্ছুক বৃষ্টি হয়, তাতে কর্পোরেশনের ব্যর্থ ড্রেন থেকে উপচে পড়া জল থইথই করে। সকলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখে, কেউ পার হয় না। ক্লান্ত চোখে সকলে মৃত্যুর খোঁজ নেয়।’ নিস্তব্ধ ঢাকা শহর।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ২০

‘…আমি গুরুর দিকে চেয়ে দেখলাম, গীতার দিকেও চেয়ে দেখলাম। দেখে মনে হল দুজনের সব মনোমালিন্য দূর হয়ে গেছে। আবার যেন দুজনে একাকার হয়ে গেছে। খুব আনন্দ হল দুজনের এই পরিবর্তন দেখে।’ সুখের ভ্রান্তি।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ২১

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

Helpless, hyper-masculine Hindu gods

‘…While American superheroes are busy saving the planet from super villains who seek world domination, Hindu gods – including Hanuman– are teachers, who uplift (uddhar) us not from problems but from our limited understanding that makes everything around us a problem.’ The case of the modern day, hyper-masculine Hindu deity.

অনুষা বিশ্বনাথন (Anusha Vishwanathan)

Bindaasini: Part 8

‘…I’ve grown up to love animals a tad bit more than humans. Their very distinctive quirks that often become the reason for the names they acquire is a daily conversation in our home.’ Love for our four-legged friends.

বিক্রম আয়েঙ্গার (Vikram Iyengar)

ব্রাত্যজনের পালা

‘…বুধন থিয়েটারের লক্ষ্যই হল বিমুক্ত জনজাতি সম্প্রদায়গুলি বা ডিনোটিফাইড ট্রাইবাল কমিউনিটিজ থেকে এমন কিছু মানুষ তুলে আনা, যাঁরা একদিন তাদের সমাজে রাজনৈতিক ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবেন। গুজরাতে বাস করে চল্লিশটি বিমুক্ত জনজাতি। বুধন চায়, সেখান থেকে অন্তত চারশো নেতা উঠে আসুক।’ প্রান্তিক মানুষের নাটক।

শংকর

ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো

‘একদিন সত্যজিৎ রায়ের ফোন, ‘মণিশংকর রায়ের সঙ্গে কথা বলছি?’ বললুম, ‘আমি রায় নই, মুখার্জি।’ ওপার থেকে ভারী গলায় চলচ্চিত্রের অধীশ্বর জানালেন, ‘শারদীয় সংখ্যায় আপনার ‘সীমাবদ্ধ’টা আমার বেশ ভাল লেগেছে, কাউকে এখন কিছু বলবেন না।’ সেই হল যোগাযোগের শুরু।’ সত্যজিৎ-স্মৃতি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১০

‘মঞ্চে বসে দু’কানকাটা কোশাকুশিতে গঙ্গোদকের ছিটে ছিটকে দিব্যি প্রেস-মিট উতরে যায়। ঝামেলা মুখপাত্রদেরও, স্টুডিওতে ঢুকেছেন সাড়ে সাতটায়, নিজের লোককে প্রশস্তি মাখিয়ে ও বিরোধী লোকের কাপড় খুলে দিয়ে সাতটা চল্লিশে বেরিয়ে দেখেন, দল পাল্টাপাল্টি হয়ে গেছে।’ বঙ্গ-রাজনীতির সার্কাস।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ৫

অনুভূতি কী জিনিস আমরা আগেই বুঝেছি কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে তা খুব একটা কাজের কিছু নয় তাই আমরা এগিয়ে গিয়েছি। অনুভূতি একটা আশ্চর্য ব্যাপার শুধুমাত্র মানুষের কাছে। আমাদের কাছে নয়।আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভবিষ্যতের এমপ্যাথি।

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ৫

‘সবাই হাসছে। আমিও! হঠাৎ মান্নাদার খেয়াল হল, আমি মহিলা। জিভ কেটে বললেন, ‘ইস! তুই যে রয়েছিস ভুলে গেছিলাম, খারাপ কথা বলে ফেললাম।’ উত্তরে আমি ওঁকে আশ্বস্ত করলাম, বললাম, মহিলা হলেও আমি কোনও পুরুষের থেকে কম নই।’ মান্না দে-র স্মৃতি।

পৃথ্বী বসু

ওয়ার্ডটুন

‘অবাক লাগলেও একথা না মেনে উপায় নেই, যে কোনও শব্দকে তারই অনুষঙ্গে ছবিতে বদলে ফেলতে চিত্রশিল্পী শুভেন্দু সরকারের সময় লাগে গড়ে পাঁচ মিনিট থেকে সাত মিনিট। আর এ এমনই এক পদ্ধতি, যা শুভেন্দুরই মস্তিষ্কপ্রসূত। ছবি আঁকার এই পদ্ধতির নাম তিনি রেখেছেন ‘ওয়ার্ডটুন’।’ ছবির ম্যাজিক।