পত্রিকা

শিকড়: পর্ব ২

‘রফিকের হাত থেকে চিঠি নিয়ে ও চালান করে দিচ্ছে বুকের ভিতরে ব্লাউজের ফাঁকে। চিঠি দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে রফিকের আঙুল ছুঁয়ে দিচ্ছে ওর আঙুলগুলো। রফিক হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে নিচ্ছে ওর হাতের তালু। ‘এ কী! একদম বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে আছে তোর হাতটা! পাগলি মেয়ে একটা। ভয় পেয়েছিস?’’ সম্পর্কের উত্তেজনা।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৩

‘কত মানুষ এসে দেখা করছেন তাঁর সঙ্গে, সকলের দিকে একই রকম হাসিমুখ নিয়ে তাকাচ্ছেন সুনীলদা। আর দোলের ওই চড়া রোদের তাপে তাঁর বয়স গলতে-গলতে কমে দাঁড়াচ্ছে সাতাশে। আমাদের চোখের সামনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রূপান্তরিত হচ্ছেন নীললোহিতে।’ দোলের শান্তিনিকেতন।

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৫৫

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

ডাকবাংলা.কম

কলকাতা লিটারারি মিট

যাঁরা বইপ্রেমী, ভালবাসেন সংস্কৃতির নানান দিক, তাঁদের কাছে টাটা স্টিল কলকাতা লিটারারি মিট (২২-২৭ মার্চ) এনে দেবে অনাবিল আনন্দ, প্রাণের আরাম আর ভাবনার সমৃদ্ধি। এই উৎসবে ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি রয়েছে একাধিক বাংলা অধিবেশন। আর ডাকবাংলা.কম যেহেতু এই সাহিত্য উৎসবের এক আত্মীয়ও বটে, তাই সে এই আত্মীয়তার সূত্রে জড়িয়ে নিতে চায় তার গ্রাহকদের।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৪

অমরত্ব বলতে আমরা বুঝি চিরযৌবন। মনে মনে যখন ভাবি, ইশ! যদি পঁচিশ বছর বয়সে ফিরে যেতে পারতাম ভারি ভাল হত। আসলে, আমরা চাই ৬২ বা ৭২ বছর বয়সের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা আর মস্তিষ্ক নিয়ে যৌবনে ফিরে যেতে। এক বারও ভাবি না যে পঁচিশে ফিরে গেলে, মস্তিষ্কও সেই বয়সের মতোই থাকবে এবং অভিজ্ঞতাও। এবং সারা জীবন ধরে যে ভুল ও ঠিক করে চলেছি, সেই সবই করে চলব। সুতরাং দ্বিতীয় সুযোগ হল প্রথম ভুল- ঠিকের পুনরাবৃত্তি মাত্র।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৪

ঈশ্বর গুপ্ত এমন এক জন কবি যাঁর ছোঁয়ায় বাংলা ভাষা বেঁচে উঠেছে, উজ্জীবিত হয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার বহমান স্রোতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শুরুর দিকের কবি তিনি, পরলোক গমন করেছেন ১৮৫৯ সালে, অথচ কী আধুনিক, কী উদার মন। তাঁর কবিতা পড়তে পড়তে মনে হয়, আমরা তখন কত এগিয়ে ছিলাম মানসিকতার দিক দিয়ে, সেই উদারমনস্কতা বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারব তো?

লোপা ঘোষ

আইটেম নম্বর হইতে সাবধান

বলিউডের কোটি ডলারের কাহিনিগুলো মহিলাদের জন্য এক ভয়ঙ্কর দুনিয়ার জন্ম দিচ্ছে। এতে নারীবিদ্বেষ এবং লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যকে সাংগঠনিক ভাবে মান্যতা দেওয়া হয়, মহিলাদের এবং মেয়েদের উপর নির্যাতনের সামাজিক রীতিকে পুষ্টি জোগানোয় এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বলিউড আইটেম নম্বর সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

দিনরাত্রির কঙ্কাল

‘কলকাতা থেকে পালামৌ-তে ছুটি কাটাতে আসা চারজন সমবয়সি ভিন্নধর্মী যুবককে সত্যজিৎ comédie humaine-এর ভঙ্গিতে নির্মোহ ভাবে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে রাখেন, তাঁর ক্লাসিকাল ক্যামেরা-চোখের সামনে তাদের কৃত্রিম মুখোশ নিজেদের অজান্তে আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করে, ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবির মতোই শহর থেকে বাইরে প্রকৃতির পশ্চাদ্‌পটে টেনে এনে আতসকাচের নীচে রেখে, কিন্তু আরও বেশি চলৎপ্রবাহে, রনোয়ার-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছবি ‘রুলস অফ দ্য গেম’-এর মতো।’ অরণ্য-কথা।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ১৩

‘রবীন্দ্রনাথের জীবনযাপন এবং তাঁর আদর্শ দুই ভিন্ন পথে হেঁটে যায়নি। তিনি নিজে যা বিশ্বাস করতেন, জীবন এবং অভ্যাসকে তিনি সেই পথে প্রবাহিত করবার চেষ্টা করতেন। সারাজীবন সহযোগের আদর্শে দীক্ষিত মানুষের সঙ্গে বিশ্বপ্রকৃতির মিলনক্ষেত্র হিসেবে তিনি পৃথিবীকে কল্পনা করে এসেছিলেন। এই একের সঙ্গে অপরকে মিলিয়ে দেওয়ার কাজে উৎসবের যে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে, তা তিনি বিশ্বাস করেছিলেন।’ শান্তিনিকেতনের উৎসব।

শিকড়: পর্ব ১

‘নয়নতারা আগে ডায়েরি লিখতেন নিয়মিত। এখন আর লেখেন না। শুধু ভাবেন। মনের মধ্যে ব্রেক কষে-কষে হাঁটতে থাকেন পিছন দিকে। স্মৃতি রোমন্থন করেন। জীবনে অনেকগুলো বছর নাকে-মুখে গুঁজে স্কুলে ছুটতেন। মধ্য কলকাতার স্কুলে চাকরি পেয়ে গেছিলেন এমএ-র পরই। স্কুলে চাকরির পর পরই বিয়ের সম্বন্ধটা এনেছিলেন তাঁর সম্পর্কে এক পিসি, যিনি আবার অমলজ্যোতির মাসিমা হতেন।’ নতুন গল্প।

জগন্নাথদেব মণ্ডল

নির্জন চৈত্রের লেখা

‘আমার কান বদলে গেছে অপরূপ যোনিতে।/ তোমার সমস্ত কথা পুরুষাঙ্গ হয়ে প্রবেশ করছে ভিতরে।/ ধীরে ধীরে রাঙা মেঘের ভিতর দিয়ে উঁকি দিল সন্ধ্যাতারা,/ উড়োজাহাজ চলে যাওয়ার চিহ্ন আকাশে।/ ভিতরে ভিতরে রমণ চলেছে আমাদের,/
আর খুলে খুলে যাচ্ছে মেরুদণ্ডে লুকানো গুপ্ত-সন্ধ্যা’ নতুন কবিতা।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৫৪

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।