

কয়েকটি কবিতা
‘এ হল টুকরো কথা, কাহিনি না, অগাধ বাস্তব/ একার গাইড বুক, ভ্রমণের, তাতেও ছাপার কত/ রয়ে গেছে ভুল/ সযতনে তাও পড়ো, শুনো তো আড়ালে নিয়ে/ একেলার এই কলরব/ ধিকি ধিকি ধিকি ধিকি, ছিটকে বেরোবে তবে/ বিবিধ মৃদুল’ নতুন কবিতা।
‘এ হল টুকরো কথা, কাহিনি না, অগাধ বাস্তব/ একার গাইড বুক, ভ্রমণের, তাতেও ছাপার কত/ রয়ে গেছে ভুল/ সযতনে তাও পড়ো, শুনো তো আড়ালে নিয়ে/ একেলার এই কলরব/ ধিকি ধিকি ধিকি ধিকি, ছিটকে বেরোবে তবে/ বিবিধ মৃদুল’ নতুন কবিতা।
নাটক মানে ধরেই নেওয়া হয় একটা মিথ্যের উপস্থাপনা। সেই মিথ্যে কে যে যত মুন্সিয়ানার সঙ্গে দর্শক-মনে গেঁথে দিতে পারে, ,সে-ই দর অভিনেতা। কিন্তু আদতে নাটকের চেয়ে সত্যি কিছু হয় না, সেই মুহূর্তে যা অভিনীত হচ্ছে তাকে আত্মা দিয়ে, সত্তা দিয়ে সত্যি করে তুলতে হয়। নাটকের সত্য।
‘‘সেদিন রাতে আমরাই ছিলাম পৃথিবীর সবচাইতে নিঃসঙ্গ ছেলেমেয়ে। পাশের ঘরেই যে আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ চলছে তা আমরা জানতুম। এও জানতুম যে তাতে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। শুধু জানতুম যে, আমাদের জীবন আর আগের মতো রইল না।’ বিবাহবিচ্ছেদের এত সহজ অথচ এত সংবেদনশীল বিবরণ আমরা পড়িনি। এর পরেও তিরিশ বছর ধরে ইব্রাহিমের সব নাটকের পরিচ্ছদ পরিকল্পনা করেছেন রোশন।’ অনন্যসাধারণ নাট্য-পরিবারের কথা।
‘হতে যে নিকট চাই, সে তুমি দূরের থেকে বোঝো।/ গলার রুশতী মালা খুলে রাখো হাটের বন্দরে/ এখানে পণ্যের দাম বাতাসিয়া। বিরহ সহজও।/ কলমগাছের নীচে চিঠি লেখানোর কথা ঝরে…’ নতুন কবিতা।
‘কিছুতেই কারও মন নেই। শুধু ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলে। একটু ফেসবুকটা দেখি, একটু ইনস্টাগ্রামটা চেক করি। ক’টা লাইক পড়ল, ক’টা কমেন্ট। আরে! প্রবলেম কেয়া হ্যায় ভাই? মানুষগুলোর এমন অবস্থা হয়েছে, টানা পাঁচ মিনিট গানও শুনতে পারে না আজকাল।’ ধৈর্যের অভাব।
‘Using an adage from Rajbangshi, the language of a people that the Bangla establishment is committed to proving as a dialect, Debesh Roy is doing two things very subtly: giving an oral tradition space in the written (proverbs are largely oral in origin), and showing where his political commitment lies.’ Of writing against the flow.
‘ক্রিসমাসের রাতে ওকে দেখতে পেলাম সেন্ট পলসের পাশের অন্ধকার রাস্তাটায়। দৌড়ে গিয়ে বললাম, ‘এই তো, কোথায় ছিলেন এতদিন?’ লোকটা বলল, ‘জানুয়ারির ফার্স্ট উইকে যাচ্ছি। যাবেন?’ হ্যাঁ বলে দিলাম। পাহাড়ের ব্যাপারটা তখনই শুনলাম। তারপর এই রাতের ট্রেন।’ উদ্ভট অ্যাডভেঞ্চারের পূর্বাভাস।
‘মহাবলীপুরম্’ নাম শোনা ছিল জায়গাটার। এককালে ছিল পহ্লবীদের একটা বিখ্যাত বন্দর। তারপর আছে লাইট-হাউস তারপর পক্ষীতীর্থ। আমরা দেশ-ভ্রমণ করতে আসিনি। একটা নিরিবিলি জায়গা শুধু খুঁজছিলাম, যেখানে দুজন মুখোমুখি বসে গল্প করা যায়। গল্প মানে সিনেমার গল্প।’ শহর ছেড়ে শান্তির খোঁজে।
কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।
পৃথিবীতে সংযোগ যত বাড়ছে, ততই কি আমরা নিজেদের হারিয়ে ফেলছি, অস্তিত্ব খুঁজে বেড়াতে তৈরি করে চলেছি একের পর এক মেকি অস্তিত্ব? স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘ডিসকানেকটেড’, কথোপকথনে পরিচালক সুহেল তাতারি।
‘পথের পাঁচালী’ থেকে ‘আগন্তুক’ অবধি সত্যজিতের লম্বা সিনে-সফরে খিদে, খাবার আর খাবারের রাজনীতিটা নানা ভাবে এ-কোণ সে-কোণ দিয়ে বারবারই ঢুকে পড়েছে। সত্যজিৎ জানতেন, রান্নার ধরন, কী রান্না হচ্ছে, সেই রান্না করা খাবার কীভাবে পরিবেশন হচ্ছে, এবং বিভিন্ন চরিত্র সে খাবার কীভাবে খাচ্ছে, এ-ব্যাপারগুলো একটা গোটা অঞ্চল, সেই অঞ্চলের জীবন-যাপন-সংস্কৃতির পরিষ্কার ছবি তুলে ধরে।’ সত্যজিতের ছবিতে খাদ্য রাজনীতি ও সমাজ।
‘কোনও বারেই আমার ডায়েরি-লেখা তাই বেশি দূর এগোতে পারেনি। মাসকাবার হয়তো হয়েছে, কিন্তু বছর ফুরোয়নি। ফের ডিসেম্বর এসেছে, ফের জানুয়ারি। আরেকটা নতুন ডায়েরির আকাঙ্ক্ষায় মন উদ্বেল হয়েছে। বিনয় মজুমদার না পড়েই বুঝে গিয়েছি, ‘দিনপঞ্জী মানুষের মনের নিকটতম লেখা’। কিন্তু নতুন বছর ঈষৎ পুরনো হতেই যে-কে-সেই!’ ‘সত্যিকার’ বন্ধু, ডায়েরি।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.