

রাষ্ট্রহীনের কবিতাগুচ্ছ
‘এখানে যামিনী বিল, এখানে সহস্রঘর কৈবর্তের বাস/ ঊর্ধ্বে চোখ রাখো, দ্যাখো কাঁটাতারে ঢেকেছে আকাশ/
পর্চা আছে? থাকলে ভাল। তা নাহলে খর্চা আছে জোর/ কী করে প্রমাণ করবি এই দেশ, এই মাটি তোর?’ নতুন কবিতা।
‘এখানে যামিনী বিল, এখানে সহস্রঘর কৈবর্তের বাস/ ঊর্ধ্বে চোখ রাখো, দ্যাখো কাঁটাতারে ঢেকেছে আকাশ/
পর্চা আছে? থাকলে ভাল। তা নাহলে খর্চা আছে জোর/ কী করে প্রমাণ করবি এই দেশ, এই মাটি তোর?’ নতুন কবিতা।
‘ঋতু কোনও প্রসাধন করতে দিত না ওর অভিনেত্রীদের। কিরণ নিয়ে এসেছিল ম্যাক-এর কম্প্যাক্ট। সকালে এসেই লুকিয়ে লাগিয়ে নিত প্রলেপ। ঋতুর চোখেও ধরা পড়েনি সেই আস্তরণ। অবশেষে বারুইপুরে রূপা গাঙ্গুলি ধরে ফেলে কিরণের কীর্তি।’ ‘বাড়িওয়ালি’র শুটিং-অভিজ্ঞতা।
‘মাদ্রাজে গুরুর সামনে বসে গল্প করতে করতে এই সব কথাগুলোই কেবল মনে পড়ত। ভাবতাম এ-মানুষটা যে হাসে, অভিনয় করে, গল্প করে এটাই তো একটা বিস্ময়! আর এ মানুষটা যে ঘুমোতে পারে না, এটাই তো স্বাভাবিক! যদি ঘুমোতে পারত তাহলেই আমি হয়তো বেশি অবাক হতাম।’ কেন গুরু বিনিদ্র।
কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।
জার্মান ভাষায় ‘উনহাইমলিখ’ শব্দটির মানে হল, আনক্যানি বা বিদঘুটে। তা বাসা বাঁধে অতি সাধারণ পরিস্থিতির বুকেই। যা কিছু মামুলি, তা নিজেকে পালটে হয়ে ওঠে অস্বাভাবিক। আর আমাদের মনের মধ্যে তৈরি হয় গা-ছমছম করা একটা অনুভূতি। সত্যজিৎ রায়ের গল্প পড়লে যা ফিরে-ফিরে আসে।
‘The term unheimlich was first used by German psychiatrist Ernst Jentsch in his essay ‘On the Psychology of the Uncanny’. ‘Unheimlich’, which literally means ‘un-homely’, is the German word for uncanny. Unheimlich suggests that the uncanny builds its nest in the most normal circumstances, such as the home, and at some point, something that feels recognisable becomes completely alien.’ The mundane extraordinary in Satyajit Ray’s short stories.
‘ব্যক্তির সামর্থ্যের সীমারেখা নিয়ে বারবার শাঁওলি মিত্র তাঁর জীবনে ভাবনাসঙ্কুল হয়ে থাকবেন। তাঁর অভিনীত প্রতিবাদী চরিত্ররা বারবার হেরে যাবে, আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে, আবার হেরে যাবে, কখনও-কখনও তাঁদের হারিয়ে দেবেন অভিনেতা বা নির্দেশক শাঁওলি মিত্র নিজেই।’
বিরজু মহারাজের মধ্যে ছিল আদির বীজ, তার সঙ্গে বর্তমানের সৃষ্টি ও বিশ্লেষেণের মিশ্রণে তিনি পরিণত হয়েছিলেন এক মহীরুহে। যে মহীরুহের মধ্যে গ্রথিত ছিল বহমান সৃষ্টির ইতিহাস। এক সম্পূর্ণ নৃত্যশিল্পী যিনি রচনা করেছিলেন নৃত্যের এক মহাবিশ্ব।
বিরজু মহারাজ জীবনকে উপভোগ করতে পারতেন তার সব রকম উপাদানের মধ্যে দিয়ে। কোনও বাঁধাগতে না রেখে মনকে, শিল্পকে অনেক বড় বৃত্তে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। এবং সেই কারণেই তাঁর শিল্প ছিল এতটা প্রসারিত। এমন পূর্ণাঙ্গ মানুষ, এমন ব্যক্তিত্ব এখন বিরলও নয় বোধহয়, অমিল।
‘শান্তিনিকেতনের প্রকৃতি, ঋতুর আবর্তন, তার রূপ, রস, গন্ধ, বর্ণ, স্পর্শকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই আমার। সেই সবই যেন হঠাৎ এক একটা ধাক্কা দিয়ে চলে যায় আমাদের। সম্বিত ফিরে এলে মনে হয়, তবে কি খুঁজে পেলাম একটা কবিতাই? কতবার যে এরকম মনে হয়েছে, তার ঠিক নেই।’ রোজকার জীবন থেকে পাওয়া কবিতা।
‘কোটি কোটি শুয়োরকে মেরে ফেলা হচ্ছে বেকন সসেজ হ্যামের লোভে, আর মাত্তর হাজারখানেক শুয়োরকে মারা হচ্ছে তাদের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ তুলে মানুষের দেহে বসিয়ে বাঁচাবার চেষ্টায়। শুয়োরকে যদি হৃৎপিণ্ডের জন্য মারা না হত, মাংসপিণ্ডের জন্য তো হতই, আজ নয় কাল।’ শুয়োর হত্যা ও কয়েকটা প্রশ্ন।
‘অপুর সংসার’ থেকে ‘বরুণবাবুর বন্ধু’– প্রায় ছয় দশকের পথচলায় সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ভাবে তিনি জড়ো করে চলেন অসংখ্য নুড়িপাথর যা ক্রমশ গড়ে তোলে বাঙালির এক অত্যাশ্চর্য সমান্তরাল উপকথা। উত্তমকুমারের থেকে বাঙালির প্রাপ্তি অপরিসীম, তবু যেন রয়ে গেছিল এক অপূর্ণতা—সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সত্যজিৎ সহযোগে সেই না পাওয়ার আক্ষেপ পূরণ করে দিলেন– তাঁর অনায়াস উপস্থিতিতে।’ জন্মদিন ১৯শে জানুয়ারি; সাংস্কৃতিক কৌলীন্য ও আভিজাত্যে চিরকালীন সৌমিত্র।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.