পত্রিকা

অর্ক দাশ (Arka Das)

খুচরো খাবার: পর্ব ৭

খুচরো হলেও, রাস্তার কচুরি কিন্তু মুড়ির মতো সমাজের সর্বস্তরভেদী খাবার নয়— এক পিস হরে দরে পাঁচ থেকে দশ টাকা দাম হতে পারে, দাম নির্ভর করছে শহরের কোন প্রান্তে, কোন পাড়ায় খাচ্ছেন তার উপর। তা-সত্ত্বেও, অফিস-ব্যস্ত স্বল্পপুঁজী কর্মীর পক্ষে আজকের যুগে দাঁড়িয়েও যে ৩০-৪০ টাকায় খাওয়াটা সারা যায়, এটা ভাবা যায় না, এবং এটা সত্যিই কলকাতা ছাড়া ভারতবর্ষের আর কোনো শহরে ভাবা যায় না।

সুদীপ দত্ত

কাল্টিভেট করতে হচ্ছে

‘তাঁর ছবিতে তিনি অজ্ঞেয়বাদী, প্রগতিশীল, অথচ জন্মান্তরবাদী। আপাতভাবে অনেকটা চন্দ্রবিন্দুর চ, রুমালের মা আর বিড়ালের তালব্য শ-এর মতো ঘেঁটে-যাওয়া। হয়তো তাঁর নিজস্ব যুক্তিতে পুনর্জন্মকে মান্যতা দিয়েও তিনি তার সঙ্গে কর্মফল বা তার অনুসারী শোষণের সূক্ষ্ম প্রভেদ টেনেছিলেন।’ জন্মান্তরবাদের ধারণা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৭

রাজনীতিকদের গৎবাঁধা তর্কের নামতা-বাজি যে সাধারণ লোক বুঝতে পারে না তা নয়, তাদের উত্তেজিত হয়ে ওঠার ভড়ং যে পাবলিকের মগজ এড়িয়ে যায় তা নয়, এবং নিজের মুঠো থেকে দায় অন্যের কোলে চালান করার আপ্রাণ চেষ্টায় ইতিহাসের চ্যাপটারের সুবিধেজনক ন্যাজ ধরে টান মারার তুড়ুক-লাফে নেতাদের ত্যানাও প্রায়ই সরে যায় এবং টিভি থেকে জনগণের ড্রয়িংরুমে খসে পড়ে স্লো মোশনে, কিন্তু তা সত্ত্বেও উগ্র তীব্র তপ্ত গোলমালে দর্শকের বিচার প্রায়ই ঝনঝনিয়ে ওঠে।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৫৫

গুরুর মনের খবর বোধহয় ভগবান ছাড়া কারুর পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না। এর দুদিন পরেই আমি কলকাতায় ফিরে আসি। কথা হয়েছিল পুজোর পরে গুরু আবার আমায় বোম্বেতে ডাকবে। কিন্তু হায়, তখন বুঝিনি এই আমাদের শেষ দেখা, এরপরে আমাদের আর জীবনে কোনোদিন দেখা হবে না।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৫

পাঙ্ক রক্‌ কাকে বলে? আগাপাশতলা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজিক যাকে বলা হয়, তার শুরু কি পাঙ্ক রক্‌ থেকে? মূলশ্রোতের জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাওয়া একটা ব্যান্ড কি তার পাঙ্ক রক্‌ মূল্যবোধকে পেছনে ফেলে আসে, দামাল যৌবনের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর মতো? অথ গ্রিন ডে কথা।

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

শিকড়: পর্ব ২

‘রফিকের হাত থেকে চিঠি নিয়ে ও চালান করে দিচ্ছে বুকের ভিতরে ব্লাউজের ফাঁকে। চিঠি দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে রফিকের আঙুল ছুঁয়ে দিচ্ছে ওর আঙুলগুলো। রফিক হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে নিচ্ছে ওর হাতের তালু। ‘এ কী! একদম বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে আছে তোর হাতটা! পাগলি মেয়ে একটা। ভয় পেয়েছিস?’’ সম্পর্কের উত্তেজনা।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৩

‘কত মানুষ এসে দেখা করছেন তাঁর সঙ্গে, সকলের দিকে একই রকম হাসিমুখ নিয়ে তাকাচ্ছেন সুনীলদা। আর দোলের ওই চড়া রোদের তাপে তাঁর বয়স গলতে-গলতে কমে দাঁড়াচ্ছে সাতাশে। আমাদের চোখের সামনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রূপান্তরিত হচ্ছেন নীললোহিতে।’ দোলের শান্তিনিকেতন।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৫৫

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

ডাকবাংলা.কম

কলকাতা লিটারারি মিট

যাঁরা বইপ্রেমী, ভালবাসেন সংস্কৃতির নানান দিক, তাঁদের কাছে টাটা স্টিল কলকাতা লিটারারি মিট (২২-২৭ মার্চ) এনে দেবে অনাবিল আনন্দ, প্রাণের আরাম আর ভাবনার সমৃদ্ধি। এই উৎসবে ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি রয়েছে একাধিক বাংলা অধিবেশন। আর ডাকবাংলা.কম যেহেতু এই সাহিত্য উৎসবের এক আত্মীয়ও বটে, তাই সে এই আত্মীয়তার সূত্রে জড়িয়ে নিতে চায় তার গ্রাহকদের।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৪

অমরত্ব বলতে আমরা বুঝি চিরযৌবন। মনে মনে যখন ভাবি, ইশ! যদি পঁচিশ বছর বয়সে ফিরে যেতে পারতাম ভারি ভাল হত। আসলে, আমরা চাই ৬২ বা ৭২ বছর বয়সের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা আর মস্তিষ্ক নিয়ে যৌবনে ফিরে যেতে। এক বারও ভাবি না যে পঁচিশে ফিরে গেলে, মস্তিষ্কও সেই বয়সের মতোই থাকবে এবং অভিজ্ঞতাও। এবং সারা জীবন ধরে যে ভুল ও ঠিক করে চলেছি, সেই সবই করে চলব। সুতরাং দ্বিতীয় সুযোগ হল প্রথম ভুল- ঠিকের পুনরাবৃত্তি মাত্র।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৪

ঈশ্বর গুপ্ত এমন এক জন কবি যাঁর ছোঁয়ায় বাংলা ভাষা বেঁচে উঠেছে, উজ্জীবিত হয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার বহমান স্রোতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শুরুর দিকের কবি তিনি, পরলোক গমন করেছেন ১৮৫৯ সালে, অথচ কী আধুনিক, কী উদার মন। তাঁর কবিতা পড়তে পড়তে মনে হয়, আমরা তখন কত এগিয়ে ছিলাম মানসিকতার দিক দিয়ে, সেই উদারমনস্কতা বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারব তো?

লোপা ঘোষ

আইটেম নম্বর হইতে সাবধান

বলিউডের কোটি ডলারের কাহিনিগুলো মহিলাদের জন্য এক ভয়ঙ্কর দুনিয়ার জন্ম দিচ্ছে। এতে নারীবিদ্বেষ এবং লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যকে সাংগঠনিক ভাবে মান্যতা দেওয়া হয়, মহিলাদের এবং মেয়েদের উপর নির্যাতনের সামাজিক রীতিকে পুষ্টি জোগানোয় এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বলিউড আইটেম নম্বর সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।