পত্রিকা

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৯

‘থিয়েটারের অলিখিত শর্ত: দর্শকের আসন আর মঞ্চের শিল্পীদের মিলিত আদান প্রদানে একটা সৃষ্টি হবে, সেটা বিদেশের থিয়েটারের দর্শক হয়ে বারবার অনুভব করলাম তীব্র ভাবে। আদান প্রদানটা আসলে সম্মান, শ্রদ্ধা, স্নেহের। হাততালি বা স্টান্ডিং ওভেশন ছাড়াও একটা অদৃশ্য শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দিয়ে আড়াই ঘণ্টা অডিটোরিয়াম ভরিয়ে রাখা! ভিন্ন ভাষার, প্রদেশের, চিন্তার ও বয়সের মানুষ এক বোধে আবদ্ধ হচ্ছেন! এখানেই তো নির্মাণের বৃত্ত পূর্ণ!’

পিনাকী ভট্টাচার্য

ঢাকাইয়া সুখাদ্যের ইতিবৃত্ত

‘ধোঁয়া-ওঠা ভাত, ইলিশের তেল, ইলিশের ল্যাজার ভর্তা, ভাজা ইলিশ, জিরে-কাঁচা লঙ্কা আর অল্প সর্ষের তেল ভাসিয়ে তেল-ঝোল আর সুস্মিতার রান্না করা পাঙ্গাস মাছ। রাতের তৃতীয় আর চতুর্থ প্রহরের সন্ধিক্ষণে কেউ ওইরকম গোগ্রাসে খেতে পারে, সেদিন আমি নিজেকে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। প্রত্যেকটা পদই রান্নার প্রতিযোগিতায় মেডেল পাওয়ার মতো, তবে আমি নিশ্চিত, ইলিশ-ল্যাজার ভর্তার মতো সুস্বাদু ভর্তা আমি আগে কোনওদিন খাইনি! ‘

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ৩

কলকাতা থেকে অ্যান্টনি এল বেঙ্গালুরু। ব্যাচেলর জীবন এমনিতে উড়ু-উড়ু হলেও, অ্যান্টনির সেই ‘নন্দলালের মন্দ কপাল’ মার্কা কেস! অতি কষ্টে ব্রোকার ধরে একটা বাড়ি জুটল ঠিকই সেখানে, কিন্তু তার হাল? দেখলে আপনাদেরও মায়া হবে। বেচারা অ্যান্টনি!

নীলার্ণব চক্রবর্তী

কয়েকটি কবিতা

‘নরম পোকা তার নাক দিয়ে মুখ দিয়ে ঢুকে গিয়েছে
পেটে, কমলিনীর কফিশপ থেকে অর্ডারিত কফি তার পেটে গিয়ে উষ্ণতা হারিয়ে ফেলেছে পোকাগুলিকে মারতে মারতে
পটিতে পোকার দেহগুচ্ছ দেখে সে বেশ মজাই পেয়েছে পর দিন প্রাতে’। নতুন কবিতা

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৬২

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

তৃণময় দাস

ব্যাটম্যান: ১৯৮৭ থেকে ২০২২

‘‘দ্য ব্যাটম্যান’ (২০২২) দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছিলাম। ঠিক যেন কমিক্সের পাতা থেকে উঠে এসেছে এই রুকি ব্যাটম্যান। সে এখনও গথামকে পুরোপুরি চেনেনি, শহরটাকে নিজের আয়ত্তে আনতে পারেনি। গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ভুল করেছে অনেক, আর তার জন্যে মাশুলও দিতে হয়েছে তাকে।’ ব্যাটম্যানের বিবর্তন।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

তখন প্রবাসে রবীন্দ্রনাথ:পর্ব ১

‘যে জনাকয়েক সুন্দরী বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল, তারা তাঁর গোঁফ-দাড়ি দেখে সকলেই চম্পট দিল। অনেকেই অনেককে করমর্দন করছে কিন্তু ‘বাংলার জমিদার’ রবীন্দ্রনাথের ত্রিসীমানায় আর কেউ ঘেঁষে না। রবীন্দ্রনাথ যারই কাছে যান সে-ই সরে পড়ে।’ প্রথম ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞতা।

ডাকবাংলা.কম

ছবিতে ডাকবৈশাখ

গত ৩০ এপ্রিল ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইন্সস্টিটিউট হল-এ অনুষ্ঠিত হল ডাকবাংলা.কম আয়োজিত ‘ডাকবৈশাখ-১৪২৯’। এ বছরে, প্রথমে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প ‘মশা’র নাট্যপাঠ করলেন। পরবর্তী পর্যায়ে অভিনীত হল চাকদহ নাট্যজন প্রযোজিত ‘বিল্বমঙ্গল কাব্য’। গিরিশ ঘোষ অনুপ্রাণিত এই নাটকের নতুন পাঠ ও নির্দেশনা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের। মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করলেন অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১৪

ব়্যাপানজেলের একঢাল চুল, কিন্তু অসুখ হয়ে তার টাক পড়ে যায়। আর সেই অসুখ নিয়ে ইয়ার্কি মারতেই, ডাইনিবুড়ি বিশাল থাপ্পড় খায় উইল স্মিথের কাছে। আর গানটায়, এক জাঁদরেল মিলিটারি ক্য়াপ্টেন ভিনগ্রহে গিয়ে ধাঁইধাঁই গুলি চালিয়ে এলিয়েন মারছে, তার ঘাড় অ্য়াকিউট অ্যাঙ্গলে কাত, ডিনার পাক্কা সাড়ে-সাত।

তথাগত

পঁচিশে বৈশাখের কবিতা

‘আমি ব্যঞ্জনের অধীন, ভুখাপেটে কলম নুয়ে পড়ে।/ রোদে কষ্ট পাই তার চেয়ে বেশি কষ্ট ওই দেহজ গন্ধ কেন হাওয়ায় উড়িয়ে যাও।/ ছিঁড়ে খাই, ততটা হিংস্র নই। রবীন্দ্রগান আমাকে মৃদুল ঢ্যামনা করেছে।’ নতুন কবিতা।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৫

‘আমার বাড়ি নামুক রুটি/ আমার পাতে পড়ুক স্যুপ/ আমার ছোট বাচ্চাদুটি/ সব বুঝেও থাকুক চুপ/ যুদ্ধ কত প্রয়োজনীয়/ না-ই বা ফেরে ক’জন লোক/ তাদের তুমি কবর দিও/ আমার গাছে আপেল হোক’ নতুন কবিতা।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৬১

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।