পত্রিকা

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৩

‘আলোবদলের খেলা/ বিকেল শেখার নিচু ক্লাস/ গ্রামীণ বিষাদ বিক্রি, এইসব ধুলোহাট নিয়ে/ এসেছি তোমার কাছে, গরিবের প্রজাপতিমাস ‘– কয়েকটি নতুন কবিতা

অরুণ কর

ভুলভুলাইয়া

‘আর প্রতিবাদ করার সাহস হল না। আমি মুগ্ধ হয়ে ভদ্রমহিলার কথা শুনতে লাগলাম। তিনি অমায়িক হেসে আবার শুরু করলেন, ‘হ্যাঁরে প্যালা, তোর মায়ের বাতের ব্যথাটা কি একটু কমেছে?’

ছায়াবাজি: পর্ব ৯

‘একটা জীবনের এদিক সেদিক পাশাপাশি তাসের প্যাকেটের মতো ফেলে রাখা হয়, কোনও ব্যাপারকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে অনেকক্ষণ টেনে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও নেই।’

শ্রীজাত

দূরপাল্লা: পর্ব ৬

লস এঞ্জেলস-এ কাটানো একটি রাত সারা জীবন আমায় জাগিয়ে রাখবে। যে বাড়িতে ছিলাম, সেটাকে আর্ট মিউজিয়াম বললে ক্ষতি হবে না। বাড়িটি একজন বাঙালির। সেখানে একই সঙ্গে বিরাজ করছে রবীন্দ্রনাথ আর ক্ল্যঁদ মনে-র অরিজিনাল ছবি। রঁদ্যার ভাস্কর্য আর রামকিঙ্করের জলরং।

গামা বেড়াল : পর্ব ১

‘বারুইপুর স্টেশনে দেখতে পাওয়া লোকটা কে ছিল? সেই জিঘাংসায় অনেক রাত বিনিদ্র কেটেছে। অথচ অশিক্ষিত-রূপসী বুগলি দিনকে দিন নিজের জেল্লা বাড়িয়েছে।’

নলেন গুড়ের সালতামামি

‘খেজুর গুড়কে কেন্দ্র করে বাংলায় যে যজ্ঞ বসে শীতকালে, তার সলতে পাকানো শুরু হয় হেমন্তের শেষ থেকেই। খেজুরের রস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গাছ কাটায় পারদর্শী শ্রমজীবী মানুষ, যাদের ‘শিউলি’ বলা হয়, তারা হেমন্তের মাঝামাঝি থেকেই লেগে পড়েন খেজুরগাছের পরিচর্যায়।’

সেই বোধের আনাচ-কানাচ

‘রাজীবের নাটকে সত্য আড়ালে ছিলেন। মেঘের আড়ালে শূন্যের মতো। সুমন তাঁকে মঞ্চে নিয়ে এলেন। রিয়্যালিস্টিক ড্রামার মোড়ক ছাড়িয়ে একটু ফ্যান্টাসি এলিমেন্ট জুড়ে দিলেন। কোনো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নের খেই ধরে নেই, এমনিই।’

মিহি মন্তাজ : পর্ব ১৯

‘আমার কাউন্টার পার্ট এসেই ফোন খুলে ফেলেছেন। বললেন, ‘পাকিস্তান ইজ ফিনিশ্ড।’ আমিও বললাম, ‘সিভিল ওঅর?’ উনি বললেন, ‘শ্রীজাতর সিনেমাটা দেখা উচিত।”

রত্নাবলী রায়

ফিরব বললে ফেরা যায় না কি

ফেরাটা তাই আর ফেরা থাকে না। নতুন একটা গন্তব্য, নতুন সব মানুষ। আর তাদের পুরনো স্মৃতিগুলো, যেগুলো আর জ্যান্ত নেই। বরং অনেক বেশি জ্যান্ত হাসপাতালের বিছানাটুকুতে পাতা সংসারটা। মানসিক রোগীরা সুস্থ হওয়ার পর ফিরতে পারে কি?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৮

কিছু মানুষ বারবার ফিরে যায় অপমানের স্মৃতির কাছে। এই ফেরার জ্বলুনি প্রচুর, তার চোটে এরা বিড়বিড় করতে করতে হাঁটে, বাথরুমে ১৫ বছর আগেকার অপমানের মোক্ষম উত্তর দেয়, আর একটা সময় এই বেদনার হাত থেকে বাঁচতে মোবাইলে বা ওটিটি-তে নিজেকে ডুবিয়ে দেয়।

অভীক মজুমদার

পরবাসী, চলে এসো ঘরে

‘তাঁর মহাকাব্যিক প্রতিভা অনশ্বর। অবিস্মরণীয়। তিনিই প্রথম বাংলার ‘আধুনিক’ কবি। বাংলা সাহিত্যিক মহাকাব্যের একমাত্র স্রষ্টা। প্রবাসে নয়, স্বভাবেই তাঁর মহাকায় সত্তা। প্রত্যাবর্তনেই তাঁর নিয়তি। যাত্রা নয়, ফেরা।’ মধুসূদনের মাতৃভাষায় ফেরা।

শ্রীজাত

অনিবার্য, অনপনেয়, অনন্য

সে তবে এমনই লেখা, তাকে ছাড়া আমার জীবনের নানা মোড়, নানা মুহূর্ত, নানা অভিঘাত বা নানা অনুভূতি অচল। আনন্দে বা অসুবিধেয় তবে বন্ধুর মতো তাকেই আমি জড়িয়ে ধরতে চাই। সে-লেখা তবে অনিবার্য, অনপনেয়, অনন্য। অতএব তার কাছে ফিরতেই হবে।