
আমার উমাদি
‘তাঁর কাজের প্রদর্শনী দেখে অভিভূত হয়ে যান রামকিঙ্কর; সরকারি উদ্যোগে রাস্তার ওপর রাখাও হয় তাঁর একটি কাজ। আবার মেট্রো স্টেশন তৈরির সময়ে সরকারি উদ্যোগেই সরিয়েও দেওয়া হয় সেই কাজটি। তখনও কোনও সোচ্চার প্রতিবাদ বা লবিবাজি করেননি তিনি।’

‘তাঁর কাজের প্রদর্শনী দেখে অভিভূত হয়ে যান রামকিঙ্কর; সরকারি উদ্যোগে রাস্তার ওপর রাখাও হয় তাঁর একটি কাজ। আবার মেট্রো স্টেশন তৈরির সময়ে সরকারি উদ্যোগেই সরিয়েও দেওয়া হয় সেই কাজটি। তখনও কোনও সোচ্চার প্রতিবাদ বা লবিবাজি করেননি তিনি।’

সুকুমার রায় কি শুধুই আগডুম-বাগডুম লিখেছেন সারাজীবন? তাঁর লেখার এক-একটা চরিত্র আসলে কতটা বাস্তব? কোনও বৃহত্তর দর্শনের আভাস কি তাঁর লেখার ভেতর থেকে উঠে আসে? সুকুমার রায়ের লেখার জগৎ নিয়ে অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী জানালেন তাঁর ভাবনার কথা।

‘আমিও ঢাকের কাঠি থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছি অনেকদিন হল। মনে-মনে কত কী বিসর্জন দিতে হল এই ক’বছরে, আর কানে-কানে শুনতে পেলাম সেই ম্লান ঢাকের বাদ্যি, সে আর বলার না। বিষণ্ণতা আসলে এক শেষ-না-হতে-চাওয়া পূজা পর্যায়, আর দূর থেকে ভেসে আসা ঢাকের আওয়াজ আসলে হেমন্তকালের ডাক।’

‘তা-ই হয়, আমাদের শত সংসারে আমাদের শিশুকন্যার নিগ্রহ আমরা ‘চুপ চুপ’ রবে চাপা দিতে উন্মুখ হই, আত্মীয়টির (বা অনাত্মীয় শিক্ষকটির) মুখোমুখি হই না, কী দরকার বাবা শান্তি বিঘ্নিত করে, হইচই বাগালে সকলেরই ঝঞ্ঝাট। স্মৃতির অনেকগুলো স্তর এতদিন চাপা পড়েছিল, নায়িকার চেষ্টায় তারা পর পর খুলে যেতে থাকে এবং নায়িকা বোঝে, সেই পুরুষ (এখন প্রবল বিখ্যাত কোচ) আসলে এক অপরাধী, নারী-শিকারী, অনেকের সঙ্গেই এমন করেছে।’

‘তাঁর কাজকর্মের কথা তবুও কিছুটা মনে রেখেছি আমরা, যেহেতু সেসব কাজের ফল আমাদের স্বার্থপুষ্ট কাজে কর্মে লাগে, যেহেতু সেগুলোর সুফল আজও আমরা ব্যবহার করি। কিন্তু তাঁর চিন্তা? তাঁর মননের দান? তাঁর অনন্যসাধারণ গ্রন্থগুলি? সেগুলো কি আমাদের মনোযোগ পেয়েছে সেভাবে আজও?’
বাঙালি রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে নাচের সম্মিলন দেখেছে, দেখেছে নজরুল-এর গানের সঙ্গেও। ‘মান্না দে-র গানের সঙ্গে নাচ!’— প্রাথমিকভাবে শুনে বিস্ময়কর মনে হলেও, সম্প্রতি কলকাতা শহর সাক্ষী থাকল এক বিরল শিল্পভাবনার।

‘বইটির প্রচ্ছদে (শিল্পী: সেঁজুতি বন্দ্যোপাধ্যায়) ভারতের একটি মানচিত্রর মধ্যে একটি ভোগের হাঁড়ি দৃশ্যমান। অর্থাৎ, ভারতজুড়ে ভোগের একটি স্বতন্ত্র মানচিত্র খুঁজে বের করার একটা প্রয়াস এই বইয়ের মধ্যে রয়েছে, তার আভাস প্রচ্ছদপট থেকেই স্পষ্ট। সূচি-তে কয়েকটি ভাগ রয়েছে, ফলমিষ্টির ভোগ, ভোগরাগ, লোকদেবতার ভোগ, কুটোভোগ, সেবাভোগ ও রান্নাবান্না। প্রতিটি বিভাগই নানাবিধ বিস্ময়ে ভরা।’

‘নায়কের বন্ধুর চরিত্র তো চিরকালই বাংলা ছবিতে আছে, সময়ানুযায়ী কেবল বদলে গিয়েছে তার ধরন। কিন্তু তরুণকুমার যখন নায়কের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেন, তখন তা জীবনের অনেকটা কাছাকাছি চলে আসে।’

‘তৃপ্তি মিত্রর নাটক, প্রবন্ধ, ছোটগল্পগুলি নানা বইয়ে ছড়িয়ে ছিল। এবার দু’মলাটে ধরা রইল। ছোটগল্প আর নাটক ছাড়া নানা বিষয়ে নিবন্ধও লিখেছিলেন তৃপ্তি মিত্র। সেসবে কখনও স্মৃতি, কখনও সাম্প্রতিকের সত্তা, কখনও বা ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ।’

‘যেমন ভাবা তেমনই কাজ। এরপর থেকে দুর্গের এদিকে ওদিকে ছোটবড় পাথরে নানা ঠাকুরের নাম লেখা হতে লাগল। মেহের আলি দূর থেকে দেখল, তেড়ে খিস্তি পর্যন্ত করল। কিন্তু যারা লিখছে তাদের হাতে দু-একবার চড়থাপ্পড় খাওয়ার পর গুটিয়ে গেল। দুর্গে লোকসমাগম বেড়ে গেল আরও।’

“একবার বলেছিলেন, ‘আমি সবসময়ে যে কোনও বিজ্ঞাপনের চিন্তা মাথায় এলে প্রথমেই সেটা শোনাই আমার বাড়ির কাজের আর রান্নার লোককে। তাঁদের ভাল লাগলে, অনুমোদন পেলে, তবেই সেটা নিয়ে এগনোর কথা ভাবি।’”
সম্পাদক-অভিনেত্রী অপর্ণা সেন নিয়ে যত-না কথা হয়েছে এতকাল, আড়ালে থেকে গেছে তাঁর পরিচালক-সত্তা। এই সাক্ষাৎকার আলো ফেলবে তাঁর সৃষ্টিশীলতার এই দিকটিতে।
অপর্ণা সেন-এর সঙ্গে কথা বললেন সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.