

বারীনকাকুর বউ-আন্টি
‘আমি আর দাদা চোরকাঁটা ভরা একটা শর্টকাট ধরেছি, খেয়াল নেই বারীনকাকুর দোতলার কোয়ার্টারের পাশ দিয়ে যাচ্ছি। যদিও আন্টিকে পুলিশে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বারীনকাকু চাকরি ছেড়ে চলে গেছে। কোয়ার্টার বন্ধ থাকে।’
‘আমি আর দাদা চোরকাঁটা ভরা একটা শর্টকাট ধরেছি, খেয়াল নেই বারীনকাকুর দোতলার কোয়ার্টারের পাশ দিয়ে যাচ্ছি। যদিও আন্টিকে পুলিশে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বারীনকাকু চাকরি ছেড়ে চলে গেছে। কোয়ার্টার বন্ধ থাকে।’
‘সান ফ্রান্সিসকোর দামি রেস্তোরাঁ। মেয়েকে দেখলেন কোথায়? পেলেন কখন? জানুয়ারির প্রথমেই মেয়ে বাবার কাছে ফ্লোরিডা চলে গেল। কেন সে-সময়ে বাড়িতে থাকা মেয়েটার মুখ একদম মনে পড়ছে না? শুধু পেছন ফিরে মেয়ের চলে যাওয়াটা…’
‘দুপুরের ট্রেনে ফিরছিলাম, হাবড়া স্টেশন থেকে কলকল করতে করতে এক দঙ্গল কলেজ-ফেরতা ছেলেমেয়ে উঠল। তাকিয়ে দেখি, তাদের মধ্যে পেঁচোদার মেয়েটিও আছে। ভেতরে ঢুকতে গিয়েও আমাকে দেখে সে যেন ইচ্ছে করে গেটের কাছে চলে গেল।’
‘মুখে বললেও বাইরের ভোলের সঙ্গে-সঙ্গে ভেতরেও যে তার একটা সূক্ষ্ম পরিবর্তন হচ্ছে, অনাদিবাবু টের পাচ্ছেন। আগে যেটা তিনি ডাহা কুসংস্কার বলে জানতেন, আজকাল তা বিশ্বাস করতে ভীষণ ইচ্ছা করে।’
‘এখন আবার সব ডাক্তার বসছে না, বসলেও পা থেকে মাথা পর্যন্ত এমন সব ঢাকা পোশাক পরে থাকছে যে, রুগী দেখতে দেখতেই ডাক্তারের জাঙ্গিয়া ভিজে টসটস করে পড়ছে, অবশ্য এর মাঝে ডাক্তার প্যান্টে মুতে ফেললেও কিছু বলতে পারা যাবে না।’
‘ফক্কা শেষ পর্যন্ত আসবে কি না, সে ব্যাপারে হয়তো ওর মনে সন্দেহ ছিল। মা বেঁচে থাকতে তাঁর হাজার অনুনয়েও যে ছেলে একবারের জন্যেও এল না, তাঁর মৃত্যুতে সে যে আসবে, এমনটা কে-ই বা আশা করে!’
‘ছোট তো ওরা। চিরকুটকে নিয়ে খিল্লি করে যারা। পাড়ার মোড়ে সিগারেট ধরায়। সময় হলে পেটায়। কুত্তার মতো পিটিয়ে-পিটিয়ে থেঁতলে দেয়। রক্ত বেরোয়। কখনও বেরোয় না। মানুষ মরে। বেড়ালও। গাছও। গাছের কাছে গিয়ে দাঁড়াও, দেখবে কত ছোট।’ নতুন গল্প।
‘আজ কিন্তু এক্কেবারে আলাদা, বেশ বুঝতে পারলাম আমার হাত চায়ের কাপ পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না, তার আগেই ছোট হয়ে এক্কেবারে গর্তে ঢুকে যাচ্ছে। আচ্ছা গর্ত মানে কি পকেট হতে পারে, মানে বলতে পারি আমি গর্ত থেকে টাকা বের করলাম, অথবা এক প্যাকেট সিগারেট কিনে গর্তে ঢুকিয়ে নিলাম!’
‘পাড়ার দোকানপাট বন্ধ। সোমবার। আরেকটু এগিয়ে পৌঁছতে হবে চার মাথার মোড়ে। তারার ডানদিকে অন্ধকার একটা গলি। গলিতে নানা বয়সি প্রেম। নানা ছুতোয় হাতধরা। নানা রকমের যৌনতা। যে-গলির বাইরে দাঁড়িয়ে, একা, তার হৃদয় ঝরছে। নক্ষত্রের মতো।’
‘মানুষদের সীমিত খাবারে মূষিকরাও লুকিয়ে-চুরিয়ে, কখনও-বা সগর্বে প্রকাশ্যে ভাগ বসানোর সংগ্রাম শুরু করে দেওয়ার ফলাফল হিসেবে স্বাভাবিক ভাবেই নিম্নবিত্তরা বিষাদগ্রস্ত ও ক্ষিপ্ত হতে আরম্ভ করেছে।’
‘সারারাত বিছানায় শুয়ে ছটফট করেছে সে। তারপর ভোরের শুকতারাকে সাক্ষী রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে— এই শেষ, কালকের ধর্মঘটই তার রাজনৈতিক জীবনের শেষ অনুষ্ঠান, রাজনীতি আর নয়!’
‘সুহাস তখন নিছক একটা ডেডবডি। পুলিশ মেরেছে, পুলিশই তুলবে। পুলিশ মেরে চলে যেত, বা পুলিশের হয়ে অন্য কেউ। রটে যেত অন্য কোনও গল্প। পাড়া থমথম করত। দু-চারদিন সব চুপচাপ। ফিসফাস। আবার সব স্বাভাবিক। যেন কোথাও হয়নি কিছু।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.