ধারাবাহিক

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২১

‘তা ছাড়াও তার পৈতৃক বাড়িটি একেবারে গঙ্গার পাড়ে না হলেও, ওই এলাকাতেই; পরিবারের পুরুষেরা সকলেই শিক্ষিতও বটে; বিরজার সঙ্গে যে আদ্যনাথের মনের মিল হবে এ-দিকটাই বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছিলেন হেমকাকিমা।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২০

‘কাছে এসে দাঁড়াতেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল শাফিকা; অভিমানে থরথর করে কাঁপতে লাগল সুর্মাবিবিও। আজ তার চোখেমুখে রাগ নেই। বড়বিবি আর তানি-বানির সামনে, শফিকার মান-ইজ্জত এখন যেন তার নিজেরও ইজ্জতের লড়াই।’

অনুপম রায়

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ১

বাঘাযতীন মোড়। এক সোমবারের সকালে অফিস যাওয়ার পথে নীলার দেখা হয় নীলাব্জর সঙ্গে। তবে শুধুই নীলাব্জ নয়, দেখা হয় জীবনের সেই গভীর দার্শনিক প্রশ্নটার সঙ্গেও, ইঁদুরদৌড় জীবনের শেষ কথা কি না।

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৯

‘একই সঙ্গে ভূতেশের বুক ফুলে উঠল এই ভেবে যে, এ হেন ইংরেজ সরকারের অধীনে সে একটা চাকরি পেয়ে গেল, একেবারে অ্যাকাউন্টস দপ্তরে! আর্মিদের প্রয়োজনে লাগে এমন সব জিনিসপত্র-জোগানের কেনা-বেচার হিসেব রাখতে হবে তাকে।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৮

‘বয়কট নীতিতে বাদ গেল না ইস্কুল-কলেজ ছেড়ে গুপ্ত সমিতিতে নাম লেখানো। কুস্তির আখড়া এবং সাধুসন্তদের আশ্রমগুলো হয়ে উঠতে লাগল এইসব কাজের আঁতুড়ঘর। ধরপাকড়ও চলল সেই হারে।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৭

‘ইতিমধ্যে কনের বাড়ি তত্ত্ব নামিয়ে, নিজের বাংলোয় ফিরেই মুখার্জি-সাহেব তনুকে জানিয়ে দিলেন যে, বিকেলবেলা তনুর এখান থেকে যে বেরনো, তা কিন্তু মোটেই ফুল-সাজানো মোটরে চড়ে, বরবেশে যাওয়া নয়; বিয়ের সাজ করে নেবে, ওই বাড়ি পৌঁছে।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৬

‘বাবা আর কাকা মিলে বিছানা পেতে দিলেন রিজার্ভ বেঞ্চিতে। মাঝরাতে হিসি পেয়ে যাওয়ায় ঘুম থেকে উঠে তরু দেখল যে, মা, জেঠিমা আর কাকিমা অঘোরে ঘুমিয়ে পড়লেও, জ্যাঠা, কাকা আর তার বাবা, তিনজনেই একটা বেঞ্চিতে জেগে বসে আছেন।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৫

‘কার একটা ধুতি চেয়ে দু-ভাঁজে ফেরতা দিয়ে পরে, খালি গায়ে এমন করে খেতে বসে গেল, যেন এটা ওর নিজের বাড়ি! তনুর মাথা তখন রাগে দপদপ করছে। কোথায় সেই বুদ্ধিদীপ্ত হরু আর কোথায় এই ভোজন-সর্বস্ব সেজদা!’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৪

‘শাফিকা শুধু তাকিয়ে-তাকিয়ে পড়েছে তার মিঞার দু’চোখের ভাষা। মায়া আর মায়া— গভীর মমতায় উপচে আছে যেন! শাফিকা আন্দাজ করতে চেষ্টা করে, এই মায়াটাই কি প্রেম! শরীর ছাপিয়ে ভালবাসা?’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৩

‘হরুর মনে প্রতিবাদ জাগে সাহেবদের নতুন নতুন প্রশাসনিক আইন, কৃষকদের দুরবস্থা এবং জমিদার তোষণের আয়োজন দেখে। হরু ঠিক বুঝে উঠতে পারে না যে, কোন পথ ধরলে সে তার ভাবনাগুলোকে একটু গুছিয়ে ভাবতে পারবে!’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১২

‘বড় অভিভূত লাগছে ভূতেশের। মনে মনে প্রণাম জানিয়ে সে ভাবল, কৃপানাথ নয়! জয় ইংরেজ সরকারের, জয় ভাইসরয় সাহেবের— এমন আপিস! এমন দপ্তর! এটাকেই তো ঘরবাড়ি করে ফেলবে সে!’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১১

‘সঙ্গে করে আনা এই একমাত্র উপহারটুকুও আমার হাতে সরাসরি না দিয়ে, মেসোমশাই সেটাও দিয়ে গেছেন ছোটেলালের হাতে। একেই বোধহয় বলে ভিজিলেন্সকে আঙুল দেখানোর স্পর্ধা; একই সঙ্গে আপাত বিশ্বাস অর্জনের পথও।’