কবিতা

বিপ্লব চৌধুরী

কয়েকটি কবিতা

‘… মাতাল হয়ে তুমি বুকে জড়িয়ে ধরতে আমাকে।/ ভাত খাইয়ে দিতে মাছের সমুদ্র দিয়ে।/ কিন্তু তুমি আর নেই সে তুমি।/ তাই মল্লভূম থেকে উড়ে চলে গেছি ধলভূমগড়।/ আমি ঘুরে বেড়াই নানা দেশ, কিন্তু জগতের রহস্য কিছু বুঝতে পারি না।’

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩৪

‘বৃষ্টি নয়।/ মেঘ করলে বোমা পড়ে সিরিয়া, ইরাকে।/ প্রতি পূর্ণিমায় বুদ্ধ বামিয়ানে ভেঙে যেতে থাকে।/ পাথরের গুঁড়ো আর পোশাকের টুকরো ওড়ে গরম হাওয়ায় –/
কেউ কেউ এরই মধ্যে আকাশের দিকেও তাকায়।’

সব্যসাচী সান্যাল

কয়েকটি কবিতা

‘নৃপতি তো সাধারণ নয়।/ নৃপতির দেয়াল থাকে না।/ যতদূর শরীরের ছায়া, রাজত্ব ততই।/ পেছনে দেয়াল নেই।/ সূর্যের যাত্রা রয়েছে।/ সূর্যাস্ত ঘনিয়ে এলে রাজ্য হয় সুদূরপ্রসারী,/ যত দীর্ঘ সারস উড়েছে।’

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩৩

‘পশ্চিমে খোলে না,/
এমন জানলা আমার কপাল জুড়ে ভাঁজ করা/
হে দোস্ত, আমাকে চিনতে পারলে/
ওদের পাল্লা খুলে দিও।’

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩২

‘আমি পানশালা থেকে বেরিয়ে,/ হাসপাতাল থেকে মুখ ঘুরিয়ে/
কী এক অলীক কৌশলে নেমে পড়ছি সেখানে
আর ভুলে যাচ্ছি,/
বিস্মৃতি ও ছলনা ছাড়া নতুন সভ্যতা হয় না।’

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩১

‘মলিনতা ফিরে আসে। যেন-বা দেজাভু।/ যেরকম লিখেছেন শ্রীশরৎবাবু,/ তেমন অতীত পেলে ভালবাসা হত/ সহজিয়া, অনাবিল, বাঁধুনিতে ছোট। অথচ ভেতরে কেউ কথা বলে। কাঁদে।/ নিজেকে পড়েছি আমি ভুল অনুবাদে।’

অনির্বাণ ভট্টাচার্য

কয়েকটি কবিতা

‘যে পুরুষ অস্থিচর্মসার,/
তাকে ছুঁলে রমণের ভয়, লোকাচার,/
কী ভীষণ প্রলয়ে বিষণ্ণ হাড়ের শব্দ,/
নিরন্তর এক নারী,/
হেঁটে যায় কোমল বাস্তবে।’

চিন্ময় গুহ

এক পশলা হাইকু

হাইকু কবিতা যেন এক-একটি দীপমালা, যা ফুটিয়ে তোলে দার্শনিকের বিস্ময়! অসীম সম্ভাবনাময় এই তিনটি করে পংক্তি যেন অমোঘ তুলিটানে আমাদের সীমাবদ্ধ জীবনকে প্রসারিত করে! এতে ফুটে ওঠে কতগুলি অপরূপ ছবি, যা রঙিন ও বাঙ্ময়।

মহাশ্বেতা আচার্য

কয়েকটি কবিতা

‘একটা সোনার তাঁবু বসে আছে দূর মাঠজুড়ে/
আমাদের অন্তরীণ নেই/
আশ্চর্য আশ্রয়ের টোপে/
একটা সোনার হরিণ ঘুরে-ঘুরে গেছে/ বধূটির গায়ে-গায়ে’

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩০

‘বিরহের কারখানা, আদরের ক্ষেত/
তোমার শরীর, যেন চিরসোভিয়েত।/
আমি দূরাগতপ্রাণ, রুটিপ্রিয়পাখি/
অলীকের প্রত্যাশায় বুঁদ হয়ে থাকি।’

হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

কয়েকটি কবিতা

‘আমাদের সাড়ার দিকে নামমাত্র কান না দিয়েও/
মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রেনটি আকাশের দিকে তাকিয়েছিল/
আর আমরা ভীষণ তৃষ্ণার মতো শুকিয়ে যাচ্ছিলাম/
একটি মজা নদীর পাড়ে বসে বসে’

ইমরান পারভেজ

কয়েকটি কবিতা

‘একটা আস্ত জিওল মাছ/
আমার পোশাকের ভিতর খলবল করছে।/
এক সেন্টর আঁকাবাঁকা দৌড়ে চলেছে/
আমার শৈশব পেরোনো নদীর দিকে।’