গল্প / কবিতা

সুনন্দর বাড়িঘর : পর্ব ১

‘সিমুই মুখ ফুটে বলেনি কিছু। অথচ সুনন্দ শুনতে পেত। সকলে ভাবে ছেলেরা মেয়েদের মনের কথা বোঝে না। কে বলেছে বোঝে না! ঘাসেরা দিব্যি বোঝে শিশিরের শব্দ। শিশির বোঝে শিউলির টুপটাপ। কখন কেন ঝরে পড়ে। সেইরকম সুনন্দ বুঝত।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২২

‘হিসি হওয়ার বদলে, সেখান দিয়ে এত রক্ত সমানে বেরিয়ে যেতে দেখে, ভয় এবং ঘেন্না দুই-ই হয়েছিল আমার; কিন্তু যখন লক্ষ করলাম যে, ‘নোংরা’ হয়েছ না বলে, শাশুড়িমা বললেন, ‘বড়’ হয়েছ, ঘেন্নাটা তখন যেন একটু কমে গেল।’

ওঝা

‘ছেলেরাও বাপকে বউয়ের ভাই সম্বোধন করতে করতে তেড়ে এসে ঝাপিয়ে পড়ে। অতঃপর বাপ-ছেলের হাতাহাতি, ঘুসোঘুসি এবং কুৎসিত গালাগালিতে পরিস্থিতি এমন কদর্য হয়ে ওঠে যে পাওনাদার প্রাণ নিয়ে পালাতে পথ পায় না।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২১

‘তা ছাড়াও তার পৈতৃক বাড়িটি একেবারে গঙ্গার পাড়ে না হলেও, ওই এলাকাতেই; পরিবারের পুরুষেরা সকলেই শিক্ষিতও বটে; বিরজার সঙ্গে যে আদ্যনাথের মনের মিল হবে এ-দিকটাই বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছিলেন হেমকাকিমা।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২০

‘কাছে এসে দাঁড়াতেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল শাফিকা; অভিমানে থরথর করে কাঁপতে লাগল সুর্মাবিবিও। আজ তার চোখেমুখে রাগ নেই। বড়বিবি আর তানি-বানির সামনে, শফিকার মান-ইজ্জত এখন যেন তার নিজেরও ইজ্জতের লড়াই।’

অনুপম রায়

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ১

বাঘাযতীন মোড়। এক সোমবারের সকালে অফিস যাওয়ার পথে নীলার দেখা হয় নীলাব্জর সঙ্গে। তবে শুধুই নীলাব্জ নয়, দেখা হয় জীবনের সেই গভীর দার্শনিক প্রশ্নটার সঙ্গেও, ইঁদুরদৌড় জীবনের শেষ কথা কি না।

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৯

‘একই সঙ্গে ভূতেশের বুক ফুলে উঠল এই ভেবে যে, এ হেন ইংরেজ সরকারের অধীনে সে একটা চাকরি পেয়ে গেল, একেবারে অ্যাকাউন্টস দপ্তরে! আর্মিদের প্রয়োজনে লাগে এমন সব জিনিসপত্র-জোগানের কেনা-বেচার হিসেব রাখতে হবে তাকে।’

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩৬

‘তুমি দত্তবাড়ির ছেলেকে/ পাঠিয়েছিলে শিকাগো/
ঠাকুরবাড়ির ছেলেকে শিলাইদহ/
গদাধর চাটুজ্যেকে/ তুমিই স্টার থিয়েটারে/ গিরিশের থ্যাটার দেখতে/
অথচ তোমার কোনও অহংকার নেই/ পাঁচিলে বসে/ এমনভাবে পা দোলাচ্ছ/ যেন বিপ্লব হবে…’

কয়েকটি কবিতা

‘এই তো জীবন,/ একটা বাঁকানো চাঁদের মতো/ চিৎ হয়ে বিছানায় শুয়ে-/ জোছনায় ঢেলে দিচ্ছে/দুগ্ধফেননিভসুধা,পরীদের সাবানের জল।/ আমি তারই দুই আঁজলা/ অকাতরে ছুঁড়ে দিচ্ছি/ গন্ধে মাতোয়ারা সব হতোদ্যম বন্ধুদের দিকে।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৮

‘বয়কট নীতিতে বাদ গেল না ইস্কুল-কলেজ ছেড়ে গুপ্ত সমিতিতে নাম লেখানো। কুস্তির আখড়া এবং সাধুসন্তদের আশ্রমগুলো হয়ে উঠতে লাগল এইসব কাজের আঁতুড়ঘর। ধরপাকড়ও চলল সেই হারে।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৭

‘ইতিমধ্যে কনের বাড়ি তত্ত্ব নামিয়ে, নিজের বাংলোয় ফিরেই মুখার্জি-সাহেব তনুকে জানিয়ে দিলেন যে, বিকেলবেলা তনুর এখান থেকে যে বেরনো, তা কিন্তু মোটেই ফুল-সাজানো মোটরে চড়ে, বরবেশে যাওয়া নয়; বিয়ের সাজ করে নেবে, ওই বাড়ি পৌঁছে।’

কয়েকটি কবিতা

‘ফসলি পট পোয়াতি হয় ফি বছর/ হাড়গোড় ভেদবমি করে/ শীতের ওমে থাকতে পারি না কজন/ আলগোছে ধুলো জমে/ ন্যাড়া আকাশে তারা গুনে শুয়ে পড়ে কজন/ মাংস ঘিলু নাড়িভুড়ি ছড়িয়ে/ কী চায় দেশলাইবাক্স মথ/ সূর্যস্নান করবে তথাগত’