যুক্তি তক্কো আর ঋত্বিক

Scene of Titas Ekti Nodir Naam
সাত্তিক শঙ্খ

ঋত্বিক ঘটকের দৃশ্যপট

‘‘ঘটক তাঁর নিজের সৃষ্টিতে নিয়ে এলেন এক বিপ্রতীপ ঝোঁক। গৌতম বুদ্ধের দেশে বিশ্বচরাচরকে গতিময় পরিবর্তনশীল রূপে দেখাই সহজাত। বস্তুকে ‘as it is’-এর পরিবর্তে ‘in becoming’-এ দেখতে পাওয়াই প্রাচ্যের বাস্তব।’’

Ritwik Ghatak
অর্ঘ্যকমল মিত্র

নতুন বাড়ির সন্ধান

‘ধরা যাক, কোনও শটে ক্যামেরার ফোরগ্রাউন্ড-এ একটা মুখ আছে, কিন্তু সেটুকুই ফ্রেমটার বৈশিষ্ট্য নয়; দেখা যাবে, দূরে ব্যাকগ্রাউন্ড-এও কোনও একজন চরিত্র, কোনও কাজে লিপ্ত। একইসঙ্গে ফোরগ্রাউন্ড-ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করে, ফ্রেমে গতিময়তা আনতেন ঋত্বিক।’

রাজীব চৌধুরী

ঋত্বিক ঘটকের এক্সট্যাসি

‘হয় তাঁর গল্পে কাহিনি গৌণ হয়ে জ্বলজ্বল করছে কোনও একটা আবেগ বা প্রতীতি; নয় এমন এক সামাজিক ক্ষত বা প্রতিরোধের গল্প শানানো হচ্ছে, যার সম্ভাব্যতা অতিনাটকের কাঁচা চেহারার প্রোমোশনের সমগোত্রীয় কিছু হতে বসে।’

Representative Image
ঊর্ণনাভ তন্তু ঘোষ

ঋত্বিক ও বিনির্মাণ

‘ঋত্বিক এখানে পুনর্জন্মবাদকে স্বীকৃতি না দিলেও, জীবনের যে-প্রবহমান নীতি, তা একপ্রকার অবিকৃতই রেখেছেন। কারণ তার উৎপত্তি কোনও ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র পৃথক কণা থেকে নয়, এ এক পারমার্থিক সত্য, যা অদ্বৈত মতে নাম, রূপ, স্থান ও কালের অতীত।’

Scene from 'Jukti Takko ar Gappo'
উজ্জ্বল নন্দী

নীলকণ্ঠ

‘প্রথমদিনের কাজে যখন আলাপ হল, আমার কাজ দেখে খুব আপন করে নিলেন। আমাকে ডাকতেন ‘ম্যাজিশিয়ান’ বলে। সব সময়ে লক্ষ করতাম কাজের সময়ে কী আশ্চর্য তাঁর মনোযোগ। অন্য সময়ে বেহিসেবি জীবন, মদ্যপান এইসমস্ত দিক থাকলেও, কাজের সময়ে সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ! কিন্তু কাজে যদি একবার মন বিগড়ে যায়, তখন আবার অন্য রূপ।’

Representative Image
সুশোভন অধিকারী

ঋত্বিক ও রামকিঙ্কর

“ধীরে-ধীরে উভয়েই ঈষৎ টলোমলো পায়ে এগিয়ে এলেন ‘কলের বাঁশি’র দিকে। অন্য রিক্সায়, সেই মুভিক্যামেরাতে তখন তোয়ালের সাদা আবরণ খসিয়ে দিয়ে, ছবি নেওয়ার প্রস্তুতি চলেছে।”

গিরিশ কাসরাভাল্লি

আবহমান দেশ

ঋত্বিকের ক্ষেত্রে প্রথম আমাকে যা আকৃষ্ট করেছিল, তা ঋত্বিকের ফর্ম। চলচ্চিত্র নির্মাণে ঋত্বিক একেবারেই বাঁধা নিয়মের বাইরে। ঋত্বিক চলচ্চিত্রজুড়ে আখ্যান নির্মাণ করেন না চেনা ছকে। সত্যজিৎ রায়ের মন্তব্য এক্ষেত্রে স্মৃতিধার্য। সত্যজিৎ বলেছিলেন, ঋত্বিক মুহূর্ত নির্মাণে অনবদ্য, মহৎ।

আদুর গোপালকৃষ্ণন

ক্লাসরুমের ঋত্বিক

‘‘পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রিন্সিপাল এবং ‘ডিরেকশন’ অর্থাৎ, নির্দেশনা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে তাঁর ভূমিকা ভোলার নয়। আমার মনে পড়ে না, কখনও ক্লাসে তিনি তাত্ত্বিকভাবে চলচ্চিত্রকে দেখতে শিখিয়েছেন বলে। ফিল্ম থিওরির চেয়ে সবসময়েই ঋত্বিক জোর দিয়েছিলেন হাতে-কলমে চলচ্চিত্রশিক্ষার ওপর।’’

Ritwik Ghatak
মৈত্রীশ ঘটক

বিদ্যুৎচাবুকের আঘাত

ঋত্বিক ঘটকের মৃত্যুর ঠিক পরে লেখা একটি কবিতায় শক্তি চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘… আর কেউ নেই যে কড়কাবে/বিদ্যুচ্চাবুকে এই মধ্যবিত্তি, সম্পদ, সন্তোষ/মানুষের, তুমি গেছ, র্স্পধা গেছে,