নিবন্ধ

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

এসো তবে, মারো

‘কতটা অমানুষ হলে হিংসা আর নৃশংসতাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেকথা ভেবেই কেঁপে উঠেছিল বহু নারীর অন্তরাত্মা। সেইসব মেয়েদের মধ্যে ১২ জন সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।’ নারীর প্রতিবাদ।

জয় গোস্বামী

‘চাঁদের কাস্তে’

সুভাষ মুখোপাধ্যায় থেকে শ্রীজাত। বাংলা কবিতার এই দীর্ঘ সময়পর্বে, অনেক কবির কবিতাতেই ধরা পড়েছে প্রতিবাদী চেতনার স্বর। প্রেমের কবিতার উল্টোদিকে, শ্লেষে-ব্যঙ্গে ধারালো এইসব তির্যক কবিতায় পাঠক পেয়েছেন কবির ক্রোধ ও সমবেদনা।

কুণাল কামরা (Kunal Kamra)

সব জাতির দরকার— রাগিয়ে দেওয়ার লোক

‘রসিকতা এমন ভাবে প্রতিবাদ আর মতানৈক্যকে হাজির করে, ক্ষমতা তার অস্তিত্বটা নিয়েই ধন্দে পড়ে যায়। ক্ষমতা নিজেকেই তখন জিজ্ঞেস করে, ‘আমি আমাকে যতখানি ভাবছি, আমি ততখানিই তো?’ আর, আমরা সকলেই জানি, ক্ষমতা প্রশ্ন ব্যাপারটাকেই ঘেন্না করে।’ কৌতুকে প্রতিবাদ।

স্যমন্তক দাস

বিক্ষোভ ও তারুণ্য

‘ক্ষমতার সামনাসামনি দাঁড়িয়ে ছাত্ররা যেভাবে সত্যের কথা বলতে পারে, সেভাবে অনেকেই পারে না, বা পারলেও চায় না। যে কোনও আন্দোলনে যে আবেগ এবং উদ্দীপনা তাদের হাত ধরে আসে, তা দেখে, যত বয়স বাড়ে তত হিংসেই হয়।’ ছাত্র-আন্দোলনের ভূমিকা।

জয়া মিত্র

আজি ঝড়ের রাতে

‘সদ্যস্বাধীন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদভাণ্ডার, আর সেই সম্পদকে ব্যবহার করার যে বিপুল জ্ঞান ও অভ্যস্ততা এই দেশের লোকসাধারণের ছিল— সেই দুই সম্পদকে অবহেলা করে শুরু হল আমদানি করা এক অলীক ‘উন্নয়ন’ যাত্রা।’ পরিবেশ বনাম উন্নয়ন।

প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

হোজা নাসিরুদ্দিন এবং প্রতিবাদের গল্প

‘বোকামি আর চালাকির টানা-পড়েনের ফলে নাসিরুদ্দিনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক অদ্ভুত ধোঁয়াশা যা পশ্চিমি দুনিয়ার পাঞ্চ-লাইন প্রিয় মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। নাসিরুদ্দিনের আপাতসারল্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক অভিনব প্রতিবাদী সত্তা।’ প্রতিবাদী চরিত্রের গল্প।

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

মাথা নিচু, হাত মুঠো

‘প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার মাইকেল হোল্ডিং ক্যামেরার সামনেই ভেঙে পড়েছিলেন, কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যেও যে-বর্ণবৈষম্য চলে, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে। ওই মুহূর্তটা বুঝিয়ে দিয়েছিল, কেন খেলার জগতের কিংবদন্তিরা প্রতিবাদ করাটাকে জরুরি মনে করেন।’ খেলার মাঠে প্রতিবাদ।

সম্বুদ্ধ বিশী

টিন্ডার বাম্বল

‘ছেলেদের যদি সপ্তাহে দুটো ম্যাচ হয় সে-ই অনেক। মেয়েদের দিনে ত্রিশটা ম্যাচ, তার মধ্যে আঠাশ জন প্রিডেটর, তাদের ফেলে বাকি দুজনকে ছেঁকে তোলা, এসব অনেক খাটনি, গোস্টিং ছাড়া ম্যানেজ করা যায় না।’ ডেটিং অ্যাপে সম্পর্ক তৈরির চড়াই-উতরাই।

ক্ষতের স্মৃতিরক্ষক

‘১৯৪৩-এ তিনি যখন মন্বন্তরের ছবি আঁকতে ব্যস্ত সে-সময়ে কলকাতায় সুভো ঠাকুরের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ক্যালকাটা গ্রুপ’। শিল্পী-সদস্যরা একত্রিত ভাবে এক ছাদের তলায় আসার কথা ভেবেছিলেন এমন একটা সময়ে, যখন বাংলা অন্নাভাবে কাতর।’ শিল্পে সময়ের ছাপ।

চেয়েছিলেন শূন্যতার দাম

‘ছাপা ছবি দেখে সোমনাথদার মুখটা লাল হয়ে গেল। আমাকে বসতে বলে চা আনালেন। একটা কথাও বললেন না। তাঁর চোখে-মুখে ভয়ঙ্কর একটা অস্থিরতা। আমার একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। এক সময় বললেন, আমি ইচ্ছে করেই ছবির মাথায় ফাঁকা জায়গাটা ছেড়েছিলাম।’ স্মৃতিচারণা।

অপেশাদারি স্বতঃস্ফূর্ততা

‘আমার রিয়েলাইজেশন হচ্ছে, যেহেতু সোমনাথদা স্কাল্পটার নন, ওঁর দুটো-তিনটে কাজ দেখলে জার্কিং মনে হয় ঠিকই, কিন্তু কুড়িটা কাজ একসঙ্গে দেখলে রিপিটেশন লাগে। আর উনি তো সাবজেক্টের বাইরেও যাননি। শুরু থেকে সেই জীবনের কথাই বলে গেছেন।’ ভাস্কর্যের মূল্যায়ন।

সাধারণ, অসাধারণ

‘ছাত্ররা সব সময়েই জানত সোমনাথদা পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ এচিং-এর হুইলটা টানতে পারছে না, উনি পিছন থেকে ধরে টেনে দিতেন। আমার মনে হয়, শিক্ষক হিসাবে সোমনাথদার মতো এত প্রভাব আর কেউ ফেলে যেতে পারেনি।’ আদর্শ শিক্ষকের কথা।