

বাতিল ন্যাতার গপ্পো
‘২০২০-র মার্চে, যখন লকডউন হব-হব এবং ট্রেন চলছে না বলে অনেক কাজের লোকই আসতে পারছে না, তখন এই ‘মপ’, বা লাঠির ডগায় ন্যাতা, একেবারে হইহই করে ভারতীয় ঘরকন্নায় ঢুকে পড়ল।’ করোনাকালীন জীবনে ‘মপ’-এর ভূমিকা।
‘২০২০-র মার্চে, যখন লকডউন হব-হব এবং ট্রেন চলছে না বলে অনেক কাজের লোকই আসতে পারছে না, তখন এই ‘মপ’, বা লাঠির ডগায় ন্যাতা, একেবারে হইহই করে ভারতীয় ঘরকন্নায় ঢুকে পড়ল।’ করোনাকালীন জীবনে ‘মপ’-এর ভূমিকা।
‘যে পাঠকেরা তাঁর জ্ঞাতি নয় বরং অজ্ঞাত, সেই অচেনা এবং অপরিচিত পাঠকের সঙ্গে তিনি এক রকমের আঁতাঁত করছেন, যাতে সমস্যাগুলোকে সঙ্গে রেখে একটা অন্য রকমের ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করা যায়।’ মার্কেস-পাঠের অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি।
গার্সিয়া মার্কেসের লেখা কেন পড়ব, কীভাবে পড়ব সে বিষয়ে ফিরে দেখা। এই লেখায় উঠে এসেছে মার্কেসের সাহিত্যে ট্র্যাজেডি, স্মৃতি, ইতিহাস ও সক্রিয়তার ভূমিকার কথা। লাতিন আমেরিকার সাহিত্যে মার্কেসের অবস্থান।
‘বাবার সঙ্গে মান্টোর এই আজব সাদৃশ্য এখানেই শেষ নয়— দু’জনেই হট্টগোলের মাঝে দিব্যি কাজ করতে পারেন (এবং সম্ভবত পছন্দও করেন), রান্না ভালবাসেন, গভীর ভাবে যত্নবান… এবং দু’জনেই স্নেহশীল পিতা।’ আদর্শবান বাবা ও আদর্শ পুরুষের কথা।
‘অ্যাসটেরিক্স জীবনে আসার আগে অবধি আমি ঠিক করেছিলাম, বিয়ে করলে বাবার মতো লম্বা কাউকেই করব। অ্যাসটেরিক্স আমার জীবনের প্রথম এবং শেষ ক্ষুদ্র পুরুষ। অ্যাসটেরিক্স ইতিহাস, ভূগোল, সমাজতত্ত্ব ও সেই সঙ্গে কূটনীতিও আমাকে শেখাতে শুরু করে।’
‘ব্যাকব্রাশ করা চুল, তন্ময় মুখের ভাব, সাধু-সরস-দিব্যকরোজ্জ্বল চোখ হাসির জলে সদাই ভেজা। আড়চোখে দেখতাম, তার সুন্দর হাত-পায়ের পাতা, পরিষ্কার নখ সযত্নে কাটা, বিশখানা আঙুলের কোথাও ছন্দপতন হয়নি।’ নানার কথা।
‘জন্মাষ্টমীর লুচি-তালের বড়ার শৈশব পেরিয়ে যখন আসল কৃষ্ণের সঙ্গে মোলাকাত হল, তখন ভাবলাম, এই তো পাওয়া গিয়েছে, ঠিক যেন আমার মতো। বেপরোয়া, নির্লজ্জ, চার্মিং, লীলাময়, ছলনার রাজা, এমনকী রুথলেস।’ পুরাণে পাওয়া মনের মানুষ।
‘এই পৃথিবী বহুবার ওলট-পালট হয়েছে, বদলেছে, কিন্তু ফেডেরার থেকে গেছেন ধ্রুব, স্থির— এক রুচিমান, আশ্বাসময় প্রেরণা। তাঁকে দেখে কোনও কোনও মধ্যবয়সি নিজেকে তরুণ বলে ভাবার সাহস পান।’ রজার ফেডেরারের প্রতি মুগ্ধতা।
‘ভাষা দিবসে ফুল দিয়ে সাজানোর চল ছিল সব জায়গায়। সেই জন্য ছোটবেলায় আমরা খুব এর-ওর বাড়ি থেকে ফুল চুরি করতাম। সেই দিনটায়, ফুল চুরি করার মধ্যেও যেন একটা মহৎ ব্যাপার ছিল, মনে হত সত্যিকারের বাঙালির মতো কিছু একটা করছি।’
‘সাউথ ওয়ার্ডে একটি লাশ পড়েছিল। লাশটি ছিল শহীদ রফিকের। লাশটি দেখে আমার মনে হল, যেন আমার ভাইয়ের মৃতদেহ দেখছি।… তখন একটি কবিতার লাইন আমার মনে গুঞ্জরিত হয়। লাইনটি হল, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি…’ ’
‘ভাষাকে যে শুধু ভাষার তরে ভালবাসা যায়, ভালবাসলে তাকে নিয়ে আরও কত খাটা যায়, তা বুকের রক্তে বাংলা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বাঙালি জাতি স্বয়ং ভুলে গেল।’ প্রিয় ভাষা, আর সন্তানকে সেই ভাষায় দীক্ষিত করার সংগ্রাম নিয়ে টানা-পড়েন।
‘আদতে এ তো রাস্তাঘাটের ভাষা, স্কুল-কলেজের ভাষা, আড্ডার ভাষা— যে রাস্তা, স্কুল, আড্ডাদের আমি নিজের ঘরবাড়ি বলেই চিনি। অন্য কোনও ভাষার থেকে একটি শব্দ বা শব্দবন্ধও ধার নেয়নি, এমন ‘বিশুদ্ধ বাংলা’ শেষ কবে শুনেছেন মনে করুন তো?’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.