

বহমান আলোচনাসভা
‘যে-চিন্তাটা ঘুরে ফিরে বার বার এসেছে এবং আবার আসবেও জানি, যার সাথে অর্থনীতিতে আমার নিজের গবেষণারও যোগ আছে, তা হল : অসাম্য কি মানবসমাজে অনিবার্য ও অবধারিত একটি সমস্যা, না কি এর সমাধান সম্ভব?’ চিরন্তন ভাবনা।
‘যে-চিন্তাটা ঘুরে ফিরে বার বার এসেছে এবং আবার আসবেও জানি, যার সাথে অর্থনীতিতে আমার নিজের গবেষণারও যোগ আছে, তা হল : অসাম্য কি মানবসমাজে অনিবার্য ও অবধারিত একটি সমস্যা, না কি এর সমাধান সম্ভব?’ চিরন্তন ভাবনা।
‘মিউজিক বাজলে আমার চোখের সামনে অনেক রং আমি দেখতে পাই মাঝে মাঝে। এই গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটা মায়া-মায়া খয়েরি। আমি এক্সপ্লেন করতে পারব না কেন। মিউজিক এমন বিমূর্ততার জন্ম দেয়, যা কিছু ভাবে বোঝানো সম্ভব নয়।’ গান-রহস্য।
‘হিন্দুধর্মের মতন কিছু ধর্ম মেনে নেয় যে ভোগের পথ ধরে ফেলা মানেই সব শেষ নয়। সংস্কারের পথও খোলা আছে। কখনও সংস্কার আসে ‘প্রায়শ্চিত্ত’-র মতন নিদানের হাত ধরে— অত্যধিক ভোগে মন দিয়ে ফেললে কৃচ্ছ্রসাধন করা আবশ্যিক।’ বিকল্প জীবন।
ম্যাচের পর হোটেলে গিয়েছিলাম আমরা। দরজাটা খুলে শুধুমাত্র মুখটা দেখিয়েছি,তখনি ভেতর থেকে ডাকলেন, “ক্যাপ্টেন কাম হিয়ার।” ভেতরে ঢুকে পেলাম একজন অন্য মানুষকে! সবচেয়ে বড় কথা তাঁর মাপের একজন মানুষ ঠিক মনে রেখেছেন বিপক্ষের অধিনায়ককে!
আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স এখন এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যে তাকে এ বার থেকে ন্যাচারাল বললে অত্যুক্তি হবে না। সম্প্রতি এমন এক চ্যাট-বট তৈরি হয়েছে যাকে কিনা প্লট বললে আস্ত গল্প লিখে দিচ্ছে! নাম চ্যাট-জিপিটি। সৃষ্টিশীলদের বাজার গেল বলে!
নিঃসংশয়ে বলা যায়, পেলে এবং খানিকটা রোনাল্ডো ছাড়া, মেসির মতো এত বছর ধরে এই ধরনের কর্তৃত্ব কেউ দেখাননি। প্রায় ১৭-১৮ বছর হল, এই আর্জেন্টিনীয়, সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন। তর্ক চলতে পারে, তিনি সেরা না অন্য কেউ। মেসিকে বাদ দিয়ে এই তর্ক চলতে পারে না।
‘১৮ ডিসেম্বরের রাতে যখন গঞ্জালো মোন্টিয়েলের পেনাল্টি গোলে ঢুকছে, তখন অনুধাবন করতে পাক্কা পাঁচ মিনিট লেগেছিল যে আমরা কাপ জিতছি। হাঁ করে বসেছিলাম বন্ধুদের মাঝখানে। চারিদিকে উল্লাস, হট্টগোল, লাফালাফি, গান। মাঝখানে আমি মগজটাকে স্টার্ট দেবার চেষ্টা করছি। হ্যাঁ, মেসি এবার বিশ্বকাপে চুমু খাবেন। আমরা বিশ্বকাপ জিতে গেছি।’
বিশ্বকাপ দেখার দৌলতে কাতারকেও বেশ উপভোগ করলাম। অন্য একটা সংস্কৃতি, অন্য মানুষ, নতুন শহর, নানা দেশের দুর্দান্ত খাবারদাবার, আর্কিটেকচার— সব মিলিয়ে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। যেন শহরজুড়ে একটা মহাযজ্ঞ চলছে। আর এই রকম একটা মহাযজ্ঞে আমিও সামিল ছিলাম, এটা ভেবেই দারুণ লাগছে।
‘লেক, অর্থাৎ রবীন্দ্র সরোবর, পাখি ও পাখিপ্রেমীদের স্বর্গ। ভারতবর্ষে দেখা যায় ১৩০০-র থেকে কিছু বেশি সংখ্যক প্রজাতি। বিশ্বাস করা কঠিন, শুধু লেকেই খোঁজ মিলেছে ১৩০-১৩৫ ধরনের। গোটা দেশে দৃশ্যমান প্রজাতির প্রায় ১০%!
সিঁড়ি ভেঙে উঠে প্রথমবার মাঠের সামনে দাঁড়ানো! এই অভিজ্ঞতাটার তুলনা হয় না! আমি বার বার দাঁড়াতে চাই, ওই বৃহতের সামনে, যেখানে আমার নিজের কোনও স্বার্থ নেই, কোনও ম্যাচের হারাজেতার ওপর আমার কিচ্ছু নির্ভর করে না।
আমাদের পিছনে কিছু ইংলিশ ফ্যানেরা বসে ছিল। বিশাল তাদের গলার জোর, এমন জোর চিৎকার করছে যে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড়! অমন গলা পেলে আমি সত্যিই মাইক ছাড়া গাইতে পারতাম। তার ওপর যা গালাগালি করল ফ্রান্সের গোলকিপারকে!
খেলা দেখতে আসা দর্শকের এ রকম উন্মাদনা আগে সত্যি দেখিনি। আর এই উন্মাদনার একটা কারেন্ট যেন সবার মধ্যে ছড়িয়ে যায়। নিজের উত্তেজনা সব সময় নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। চারদিকে দেখলে মনে হয় একটা বিশাল উন্মাদনার যজ্ঞে আমিও একজন কনট্রিবিউটার।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.