নিবন্ধ

আবীর কর

ক্লাসরুমের ভাষা

‘আমাদের স্কুলের প্রধানশিক্ষক ছিলেন নরহরিবাবু, একদিন ক্লাস টেনের জনাদশেক ছাত্রকে সঙ্গত কারণেই দিলেন বেধড়ক মার। পরের দিন ক্লাসরুমে দেয়াল লিখন— ‘নরসিংহ নরহরি/ ভয়ে কাঁপি থরহরি’।’

যশোধরা চক্রবর্তী (Jashodhara Chakraborti)

ভ্রমণাধিক ভ্রমণ

‘বিশ্বের নব্বই শতাংশ মানুষ যখন ঘরবন্দি হয়ে পড়ে, তখন VR— যা এতদিন নিছক কৌতুকে সীমাবদ্ধ ছিল— একটা নতুন রূপে নানান ছুটি নিয়ে আসে মানুষের হাতের মুঠোয়।’

রজত চৌধুরী

ফ্যাশন, আনফ্যাশন এবং আগামী

‘সামগ্রিক (সিস্টেমিক) কিছু পরিবর্তন ছাড়া উষ্ণায়ন এবং অন্যান্য বিশ্বব্যাপী সংকটের মোকাবিলা করা অসম্ভব। শুধু মানুষকে প্লেনে কম চড়তে বললেই হবে না, পাশাপাশি ট্যাক্স বা অন্য উপায়ে এয়ার-ট্র্যাভেলকে কম আকর্ষণীয় করতে হবে।’ সামাজিক দায়িত্ব-কর্তব্য।

বিষাণ বসু

স্বর্গ-মর্ত্য-হাসপাতাল

‘এ এক আশ্চর্য খণ্ডবৈচিত্র‍্যের দিন, যেখানে মানুষের বিচিত্রতা খণ্ডিত করে না দেখলে আমাদের চলে না। এবং সেই খণ্ডবৈচিত্র‍্যকেও সারিবদ্ধ করে একটা প্যাটার্ন খুঁজে চলা চিকিৎসকের কর্তব্য। অগ্রগতির সঙ্গে-সঙ্গে খণ্ডীকরণ ও বৈচিত্র‍্য, দুইই বাড়ছে।’ আগামীর চিকিৎসা।

অনুপম রায়

ইনোভেশন

‘ নিউটন থেকে আইনস্টাইন, নতুন-নতুন থিওরি আছড়ে পড়ছে মনুষ্যসভ্যতার সৈকতে। এটুকু বুঝছি যে, বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে প্রতি মুহূর্তে আপগ্রেড করে চলতে হবে।’

সৈকত ভট্টাচার্য

কৃত্রিম বুদ্ধির দুনিয়া

‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লম্বা ইতিহাস নেই। ইতিহাস না থাকলে গল্প থাকে না। কিংবদন্তির জন্ম হয় না। সাধারণ মানুষ জটিল তত্ত্বর গূঢ় কথার খোঁজ অতশত রাখে না— তাদের মনে থেকে যায় রোজকার জীবনের টুকরো-টাকরা, খবরের কাগজে পড়া খবরের অংশ অথবা স্কুলবেলায় শোনা কোনো গল্পের স্মৃতি।’

হা মোর ইস্টবেঙ্গল!

‘ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে চোখে রাখার বিষয় গত কুড়ি বছরের দুঃখজনক রেকর্ড। জাতীয় পর্যায়ে লিগের দিক থেকে দেখতে গেলে শেষ খেতাব ২০০৩-০৪ মরসুমে।’

‘খগম’: ছোটগল্প থেকে রূপন্যাস

‘সত্যজিৎ বাবু নিজে চিত্র-পরিচালক, চিত্রশিল্পী; অর্থাৎ মূলত দৃশ্য-মাধ্যমের মানুষ হওয়ার ফলে তাঁর সমস্ত লেখার মধ্যেই দৃশ্যপট রচনার উপাদান প্রচুর । তাঁর লেখাটা পড়তে পড়তে চোখ বুঝলেই একটা ছবি ভেসে ওঠে ।’

নলেন গুড়ের সালতামামি

‘খেজুর গুড়কে কেন্দ্র করে বাংলায় যে যজ্ঞ বসে শীতকালে, তার সলতে পাকানো শুরু হয় হেমন্তের শেষ থেকেই। খেজুরের রস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গাছ কাটায় পারদর্শী শ্রমজীবী মানুষ, যাদের ‘শিউলি’ বলা হয়, তারা হেমন্তের মাঝামাঝি থেকেই লেগে পড়েন খেজুরগাছের পরিচর্যায়।’

রত্নাবলী রায়

ফিরব বললে ফেরা যায় না কি

ফেরাটা তাই আর ফেরা থাকে না। নতুন একটা গন্তব্য, নতুন সব মানুষ। আর তাদের পুরনো স্মৃতিগুলো, যেগুলো আর জ্যান্ত নেই। বরং অনেক বেশি জ্যান্ত হাসপাতালের বিছানাটুকুতে পাতা সংসারটা। মানসিক রোগীরা সুস্থ হওয়ার পর ফিরতে পারে কি?

অভীক মজুমদার

পরবাসী, চলে এসো ঘরে

‘তাঁর মহাকাব্যিক প্রতিভা অনশ্বর। অবিস্মরণীয়। তিনিই প্রথম বাংলার ‘আধুনিক’ কবি। বাংলা সাহিত্যিক মহাকাব্যের একমাত্র স্রষ্টা। প্রবাসে নয়, স্বভাবেই তাঁর মহাকায় সত্তা। প্রত্যাবর্তনেই তাঁর নিয়তি। যাত্রা নয়, ফেরা।’ মধুসূদনের মাতৃভাষায় ফেরা।

শ্রীজাত

অনিবার্য, অনপনেয়, অনন্য

সে তবে এমনই লেখা, তাকে ছাড়া আমার জীবনের নানা মোড়, নানা মুহূর্ত, নানা অভিঘাত বা নানা অনুভূতি অচল। আনন্দে বা অসুবিধেয় তবে বন্ধুর মতো তাকেই আমি জড়িয়ে ধরতে চাই। সে-লেখা তবে অনিবার্য, অনপনেয়, অনন্য। অতএব তার কাছে ফিরতেই হবে।