নিবন্ধ

সুস্নাত চৌধুরী

মেগা ম্যাগাজিন : পর্ব ৪

‘নেপথ্যে চাপা ঈর্ষা থাক আর চক্রান্তের ইতিবৃত্ত, বিশ শতকে সাংবাদিকতার সুনির্দিষ্ট একটি ধারা প্রতিষ্ঠা করতে ‘TIME’ যে সফল হয়েছিল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আমজনতার পাঠাভ্যাসকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে সমকালীন অন্যান্য সংবাদপত্রকেও তা টেক্কা দিয়ে যায়।’

অস্থিরতার এক আখ্যান: মৃণাল সেনের যাত্রাপথ

‘তিনি পরস্পর-বিরোধী কথাও বলেন। তাই তাঁর ছবি আমাদের নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ফেলে দেয়। এই দ্বিধা-দ্বন্দ্বই কাম্য। এটাই মৃণাল সেন সব সময়ে চেয়েছেন। দর্শককে ঘুমিয়ে পড়তে দেওয়া যায় না। তাদের অস্থির করে তুলতে হবে।’

অন্তর্যামী অ্যালগরিদম

‘সঠিক সময়ে সঠিক বিজ্ঞাপনটি যদি সঠিক মানুষটির সামনে তুলে ধরা যায় তবে বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত পণ্যটি বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সঠিক সময়ে, সঠিক মানুষটির মানসিক অবস্থা প্রায় নির্ভুলভাবে খুঁজে বার করার দায়িত্বে থাকে অ্যালগরিদম।’

একান্তই ব্যক্তিগত

‘দার্জিলিং-এর যা ওয়েদার তাতে টিকে থাকতে গেলে হয় প্রেম করে যেতে হবে, নয়তো ভূতের ভয় পেতে হবে! মানে আর কিছু তাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবে না জীবনের দিকে। তা ছাড়া যে জনজাতির ইতিহাসে দীর্ঘ ট্রমা রয়েছে তাদের যৌথ-অচেতনে ভূতের অস্তিত্ব এসেই যায়।’

আবীর কর

লুচিশীল বাঙালির হারানো ঘৃত-রাষ্ট্র

‘শুধু কি তাই, আয়ুর্বেদশাস্ত্রে আছে— ‘ঘৃতং রসায়নং স্বাদু চক্ষুষ্যং বহ্নিদীপম/শীতবীর্য্যং বিষালক্ষীপাপপিত্তানিলাপহম।’ অর্থাৎ, ঘিয়ের মধুর রস চোখের পক্ষে হিতকর, বীর্যের শীতলতার সহায়ক। এ হল বিষ, অলক্ষ্মী, পাপ, পিত্ত, বায়ুনাশক।’

কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই ঘটনা

‘একটু ওপরে উঠে এগোনোর রাস্তা খুঁজছি। হঠাৎ মনে হল, কেউ যেন কথা বলছে। কান খাড়া করে রইলাম। শ্রুতিভ্রম। শুনতে পাচ্ছি কিন্তু, ‘ইট উইল বি অল রাইট, অল রাইট।’ পরিস্থিতি মানুষকে সজ্ঞানে ভুল কথা শোনায়, বুঝতেও শেখায় যে সেটা ভুল।’

ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী পণ্যময়

‘মানুষের সহজাত সৃষ্টিশীলতাকে নিত্যনতুন খাবার উদ্ভাবনের অভিমুখে চালান করে দেওয়া হল, ঠিক যেমন তার সৃষ্টিশীল দিকটিকে কৌশলে কাজে লাগানো হয় পর্ন-ইন্ডাস্ট্রিতে যৌনতাকে কেন্দ্র করে।’

ভাবা প্র্যাকটিস করব না

‘বিংশ শতাব্দীর তিরিশের দশকে, ক্যাথলিক চার্চের সাহায্যে হিটলারের নাৎসি-পার্টি জার্মানিতে দিনের পর দিন রটিয়ে গিয়েছে— ইহুদিরা জার্মানদের শত্রু, তারা জার্মানির সমস্ত অর্থ নিজেদের পকেটে পুরে সে দেশের সর্বনাশ করতে চায়।’

সুস্নাত চৌধুরী

মেগা ম্যাগাজিন : পর্ব ৩

‘প্রাথমিক প্রভাব পড়েছিল আমেরিকা ও মূলত পশ্চিমি দুনিয়ায়। কিন্তু নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানুষের অদম্য আকর্ষণ, আদিম রিপুর অন্তহীন হাতছানি ক্রমে তা ছড়িয়ে দিল আরও দূরে। স্বপ্নময় এক কল্পরাজ্যের নাম হয়ে উঠল ‘প্লেবয়’।’

ঋদ্ধি সেন

চুলবুলবাবু, বিজ্ঞাপন, পুজোর ভুলভুলাইয়া : পর্ব ২

‘তার মধ্যে দেখলাম এই বছর কোন এক প্যান্ডেলে ঢোকার মুখে, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি মাখা খালি গায়ে, সাদা চাদর দিয়ে সানগ্লাস পরে দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের ‘ওহ্‌ লাভলি’। স্ট্যাচুটার সাইজ মা দুর্গার সমান না হলেও অসুরের সমান তো হবেই।’

গুডবাই ফ্রেন্ড(স)!

‘চ্যান্ডলারের চরিত্রে কিন্তু পেরি এই স্টিরিওটাইপটি ভেঙে দিয়েছিলেন। তাঁর কমিক হিরো অনেকটা বেশি ব্রিটিশ ধারার; এই হিরো রসিকতা বা ঠাট্টার ব্যবহার করে সব কিছু জিততে পারে না, বরং বার বার হেরে যাওয়াটাকেই হালকাভাবে নিয়ে এগিয়ে চলার রসদ সংগ্রহ করে।’

আবার এসেছে ফিরিয়া

‘পল, রিংগোর মাথা থেকে এটা বেরিয়ে যায়নি। কিছু একটা যে করার তালে আছেন, সে খবর লিক হয়েছে একাধিক বার। পল নাকি অসমাপ্ত ‘Now and Then’-এর সঙ্গে নিজেও কয়েক ছত্র লিখেছিলেন; আর একটা লেনন-ম্যাকার্টনি হবে সেই আশায়। রিংগোর উস্কানি ছিল পুরোদমে।’