

‘প্রবাসী’ ও রবীন্দ্রনাথ
‘‘প্রবাসী’ শুরু হয়েছিল বিশেষ একটা সামগ্রিক আদর্শ নিয়ে, কিন্তু পরের দিকে, বিশেষ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আশপাশে তা হয়ে উঠছিল ‘বিচিত্রবিষয়ক প্রবন্ধে পূর্ণ’ একটি পত্রিকামাত্র। তাই কি রবীন্দ্রনাথের এই সরে আসা?’
‘‘প্রবাসী’ শুরু হয়েছিল বিশেষ একটা সামগ্রিক আদর্শ নিয়ে, কিন্তু পরের দিকে, বিশেষ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আশপাশে তা হয়ে উঠছিল ‘বিচিত্রবিষয়ক প্রবন্ধে পূর্ণ’ একটি পত্রিকামাত্র। তাই কি রবীন্দ্রনাথের এই সরে আসা?’
‘সংবাদের শিরোনাম কখনওই এই প্রশ্নকে গুরুত্ব দেয় না যে, ১১ এপ্রিল, জ্যোতিবারাও ফুলের জন্মদিনে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি, প্রাথমিকভাবে সেন্সর বোর্ডের সব পরীক্ষায় পাশ করলেও, শেষ মুহূর্তে এসে বাঁধার সম্মুখীন হল কেন?’
‘যামিনী রায় মনে করেছিলেন, বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রতিকৃতি-আঁকিয়ে হিসেবে তিনি সুনাম অর্জন করলেও, সেখানে তাঁর মৌলিকতার কোনও নিজস্ব প্রকাশ নেই। এই অনুভবই তাঁকে সরিয়ে এনেছিল এমন চর্চা থেকে।’
‘শেক্সপিয়রের গল্পকে অন্য প্রেক্ষিতে ফেলে দেওয়া নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তাতে শেক্সপিয়র করা হয় না। তাকে শেক্সপিয়র অনুপ্রাণিত বলা যেতে পারে।’
‘ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ জন্মেছিল নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তার সাংস্কৃতিক পুঁজি (অর্থাৎ, প্রিভিলেজ) ছিল যথেষ্ট। নিত্যই ভাড়াবাড়ি পাল্টাতে হত, কিন্তু বাড়িতে বইপত্র ছিল, ছোটদের জন্য নিয়মিত শিশুপাঠ্য সাহিত্য পত্রিকাও আসত।’
‘মৃত্যু আমাদের দেশে কোনও শেষ বা অন্ত নয়, বরং একটি রূপান্তরের দরজা-মাত্র। নতুনের অভীপ্সা। গীতা-য় এই কথা বারংবার বলা থাকলেও, ওপেনহাইমার সাহেব কেন যে তা লক্ষ করলেন না ঈশ্বরই জানেন!’
‘যন্ত্র ও যন্ত্রীর এই যে সম্পর্ক, যন্ত্রের ব্যবহারের সীমারেখা টানা নিয়ে যে আবহমান বিতর্ক— সেখানে শকুন্তলা দেবীর এসে পড়া একটা অধ্যায়। স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী ভারতে যে কন্নড় পরিবারে শকুন্তলার জন্ম, তার সঙ্গে গণিতশাস্ত্রের দূরদূরান্ত অবধি কোনও সম্পর্ক ছিল না।’
‘ব্রাম স্টোকার চলে গেছেন একশো বছরের বেশি হল, কিন্তু ড্রাকুলার সত্যিই মৃত্যু নেই। সে বারবার ফিরে আসে হরর সাহিত্যে, সিনেমায়, কমিকসে, কার্টুনে, নাটকে, ভিডিও গেমে নতুন রূপে।’
‘পয়লা বৈশাখ আমাদের কাছে উৎসবের উপলক্ষ মাত্র। প্রত্যেকদিনের অসহনীয়তা থেকে আনমনা হওয়ার আরও একটি প্রকরণ!’
‘দেওয়াল অথবা টিফো— মুছে অথবা ছিঁড়ে দিলে, অস্বীকার করা হয় সময়। ইতিহাস। আর ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চায় রাষ্ট্রনায়করা।’
‘বাঙালিকে আর পায় কে! ক্রেডিট কার্ডে জিনিস কেনো, দেয় পরিমাণ খুব বেড়ে গেলে গহনা বন্ধক দিয়ে টাকা নিয়ে ক্রেডিট কার্ড বিল মিটিয়ে আবার ক্রেডিট কার্ডে জিনিস কেনো। ভাঁড় মে যায়ে ‘যত্র আয়,তত্র ব্যয়’!’
‘এই আয়োজন কি ছবির সঠিক তথ্য না-জেনেবুঝেই নিতান্ত সরলচিত্তেই করা হয়েছে? না কি এর আড়ালে ওঁত পেতে আছে জালছবির বিরাট চক্র– যা প্রদর্শনীর শেষে বিপুল বাণিজ্যের চেহারা নেবে?’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.