

মেয়ে গোয়েন্দার রূপকথা
‘কৃষ্ণা-শিখাদের মর্যাদা দেওয়ার ছলে নারীকে তার পিতৃতান্ত্রিক সংজ্ঞা মনে করিয়ে দেওয়ার যে রাজনীতি কাজ করে যাচ্ছিল, প্রভাবতী দেবীও কোথাও না কোথাও তারই ফুট সোলজার হয়ে যান।’
‘কৃষ্ণা-শিখাদের মর্যাদা দেওয়ার ছলে নারীকে তার পিতৃতান্ত্রিক সংজ্ঞা মনে করিয়ে দেওয়ার যে রাজনীতি কাজ করে যাচ্ছিল, প্রভাবতী দেবীও কোথাও না কোথাও তারই ফুট সোলজার হয়ে যান।’
‘দিল্লির জাতীয় রেল মিউজিয়ামে শেষবার গেছি ২০২৩-এ। সেখানকার স্যুভেনির শপে রেল বিষয়ক একাধিক বই থাকলেও ছিল না এই বইটি। কালকা, সিমলা, মেট্টুপলালাম স্টেশনে রেলের স্মারক বিপণিতেও এর দেখা পাইনি! অবশেষে পেলাম তাকে কলেজ স্ট্রিটে।’
‘উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে নকশালবাড়ি সেই সময়ে উল্লেখযোগ্য। এই সময়েই বাদল সরকার মঞ্চের ঘেরাটোপ থেকে দর্শকদের মধ্যে নেমে আসছেন— ২৪ অক্টোবর, ১৯৭১। থার্ড থিয়েটারের ভিত্তিভূমি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। শুধু ফর্মের পরিবর্তন নয়। রাজনৈতিক-দার্শনিক পরিবর্তন।’
‘উপেন্দ্রকিশোর ছাত্রাবস্থায় জেনেছিলেন, তামা ও দস্তার পাতে খোদাই করে ছাপলে ছবি ভাল হয়। এই নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন তিনি। তিনিও জানতেন না, তাঁর একটিমাত্র ভাবনা সেই যুগের একটা স্টিটেমকে পাল্টে দেবে।’
‘এঁরা তাঁরা, যাঁদের কোভিডে ঘরভাড়া দেয় না শহর, রাষ্ট্র দেয় না পরিচ্ছন্ন কাজের পরিবেশ, সমাজ যাঁদের হোয়াইট কলার জবের মর্যাদা দেয় না, ডাক্তাররা যাঁদের অভিজ্ঞতার দাম দেয় না, রোগী যাঁদের নিছক আজ্ঞাবাহকের বেশি কিছু ভাবে না…’
‘তাঁর লেখা সমকালে যথেষ্ট বিতর্কিত; তবু তাঁর সময়ের সঙ্গে যত দূরত্ব বাড়ছে, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে ততই। তিনি একজন ভারতীয় গল্পলেখক। তিনি একজন পাকিস্তানি গল্পলেখকও বটে! বরং তাঁকে একজন উর্দু গল্পলেখক বললে এই দেশ-টানাটানির সমীকরণ বা তত্ত্ব কপচাতে হয় না।’
‘এআই যদি একদিন মানুষের থেকে ভাল (আপেক্ষিক) কবিতা লিখে উঠতে পারে, বাংলা কবিতার পাঠক হিসেবে আমরা কি সেই কবিতা সাদরে গ্রহণ করব, না যন্ত্রের সৃষ্টি বলে তৎক্ষণাৎ বাতিল করে দেব?’
‘আধুনিক শিল্পীদের মধ্যে টিএস এলিয়ট যেমন ধ্রুপদী শব্দের পরিমণ্ডলে নাশকতা চালান, দালিও তেমন ফ্রেম ও রেখাতে ক্লাসিকিয়ানা ফিরিয়ে দিতে চান, ও সেই ফাঁকফোঁকরে গুঁজে দিতে চান দুঃস্বপ্নের বর্ণমালা।’
‘ভক্তপুর বলতেই একদিকে যেমন মন্দির আর তাকে ঘিরে কুসংস্কারের অন্ধকূপ মনে পড়ে দম বন্ধ হয়ে আসে, অন্যদিকে ঠিক উল্টো হিমালয়ের উদাত্ত ডাক— নাগরকোট। কাঠমান্ডু উপত্যকার বারান্দা বলে যদি কিছু থাকে, সেটাই এই ছোট্ট গ্রাম।’
‘বই যখন পেলেন রবীন্দ্রনাথ, ভাল লাগল না তখন। চারুচন্দ্রকেই লিখলেন, ‘চয়নিকা পেয়েছি। ছাপা ভাল, কাগজ ভাল, বাঁধাই ভাল। কবিতা ভাল কি না তা জন্মান্তরে যখন সমালোচক হয়ে প্রকাশ পাব তখন জানাব। কিন্তু ছবি ভাল হয় নি সে কথা স্বীকার করতেই হবে।’’
‘চাষের ক্ষেত্রটিতে রবীন্দ্রনাথ যে বরাবর খুব সফল হয়েছেন, তা নয়। কিন্তু তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেমে থাকেনি। ব্যর্থতাকেও শিক্ষার অঙ্গরূপে ধরে নিয়েই তিনি এগিয়েছেন আজীবন। এখানেই তাঁর স্বাতন্ত্র্য।’
‘আমরা জানি, ‘রক্তকরবী’র শতবর্ষ চলছে, এই নিয়ে হইচই চারিদিকে। কিন্তু নাটকটির রচনা, প্রকাশকালের সময়-সারণী বলে, ১৩২৩ সালের এমনই এক বৈশাখ মাসে শিলং-এর জিৎভূম-এ ‘রক্তকরবী’ লেখা শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.