প্রবন্ধ

অনির্বাণ ভট্টাচার্য

কুছ খাস হ্যায়

একগাল হাসি মুখে একটা উইকেট তুলে সই করছেন সানি গাভাসকার। আমি ফ্রিজ করে নিই। টাইম, স্পেস ফ্রিজ করে নিই। দাদুর বয়স বাড়ে। ঠাকুমার বয়স বাড়ে। অপারেশনের দাগ, দেওয়ালের দাগ, কোনটা ভোগায় বেশি, কে জানে! একটুখানি বোরোলিন দিই ঠাম্মা? জীবনের ওঠাপড়ার দাগ।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

সন্ত্রাস ঠিক এরকম দেখতে

সন্ত্রাসবাদেরও হয়তো কিছুটা সুবিধে হয়ে গেল। কারণ লোকে চোখে দেখে উগ্রপন্থীদের ক্ষমতা সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল হল। এর আগে যে সন্ত্রাসের কথা আমরা শুনেছি, তা এভাবে দেখতে পাইনি। তাই, ভয়টা রাষ্ট্রও পেল, সাধারণ মানুষও পেল। ৯/১১ খোদাই করল অবিশ্বাস।

সৌভদ্র চট্টোপাধ্যায়

এক ধাক্কায় বদলাল সাংবাদিকতা

হিসেব বলে, মার্কিন টিভিগুলি ৯/১১ টানা ৯৩ ঘণ্টা সরাসরি কভার করেছিল। স্যাটেলাইট টিভির অকল্পনীয় মহা-ম্যারাথন! টিভির ইতিহাসে এত বড় ঘটনা এবং তার নিরবচ্ছিন্ন প্রচার এর আগে হয়নি। ৯/১১ বুঝিয়ে দিল টিভি সাংবাদিকতার অপার মহিমা।

ডাকবাংলা.কম

৯/১১: বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চোখে

কিছু কিছু ঘটনা বা অনুভূতির ওপর একটা হালকা ধুলোর আস্তরণ পড়লেও, সেই ধুলো সরালে ক্ষত দগদগে হয়ে ফের জানান দেয়। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন-টাওয়ার আক্রমণের ঘটনাটাও ঠিক তেমন। কুড়ি বছর পরে সেই ভয়াবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই, কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানালেন।

ডাকবাংলা.কম

৯/১১: প্রবাসী বাঙালিদের চোখে

প্রথমে কেউই বিশ্বাস করতে চাননি ঘটনাটা। কিন্তু ক্রমশ আতঙ্কের কালো মেঘ ছেয়ে ফেলেছিল তাঁদের চারপাশ। ভয় আর রাগে তাঁরা হয়ে পড়েছিলেন স্তব্ধ, হতবাক। ৯/১১-র সে বীভৎস মুহূর্তের স্মৃতি, আজ বছর কুড়ি পরে উঠে এল তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৭

‘সামনে আবার কী এক সরীসৃপের মৃৎশিল্প। চা খাবার আগে চিনা নিয়মমাফিক তাকে চা সাধতে হবে। কমলা আকারে ছোট, চায়ের পাত্র তার চেয়েও ছোট। এ পাত্রে কমলা ডোবাব কীভাবে মাথায় এল না। গৃহকর্তা জানালেন, ঘাবড়াও মাত! ও কমলা এমনিতেই গলে যাবে। ‘কমলা চা’ খাওয়া হল।’ অবাক চা-পান।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৭

‘টাকা-পয়সা আর মনোযোগের অভাবের চিহ্ন-ভরা তাকে আবিষ্কার করি একটা গাঢ় বাদামি রঙের বই, যার উপ-শিরোনাম ‘দার্জিলিং লেটারজ ১৮৩৯’ প্রথমেই আমার নজর কাড়ে। কিন্তু বইয়ের শিরোনামে ‘দ্য রোড অফ ডেস্টিনি’ কী বলতে চেয়েছিল?’ ইতিহাস পুনরাবিষ্কার।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৫

‘…অন্তত প্রথম দিন বিকেলে দেখা গেল, পড়ুয়ারা খুব বেশি সংখ্যায় পৌঁছয়নি। একে তো স্কুল যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়নি, ইচ্ছে আর বাড়ির অনুমতি থাকলে তবেই যাওয়া। তাছাড়া নিয়ম হচ্ছে সবাই রোজ যাবে না… এখন এই বিষয়ে বাবা-মাদের কী ইচ্ছে আর ছেলেমেয়েরাই বা কী চাইছে, দেখে নেওয়া যাক।’ করোনা-কালে স্কুলে ফেরার পালা।

শুভময় মিত্র

আমি বুদ্ধদেবকে দেখেছি

‘কোনও কথা বলার আগে, ‘এই নাও’ বলে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন। সস্নেহে অনেক কথা বললেন, আমরা পালাতে পারলে বাঁচি, খামে কী আছে কে জানে, ‘কেমন লাগল বোলো কিন্তু, ইচ্ছে হলেই চলে আসবে’, দুদ্দাড় করে বেরিয়ে এসে আলিয়াতে ঢুকে খাম খুললাম। লেখা। বুদ্ধদেব গুহর লেখা।’ বুদ্ধদেব গুহর স্মৃতিচারণ।

প্রতীক দত্ত

অ্যাবসার্ড নাটক

‘অ্যাবসার্ড নাটক কোনও পরিকল্পিত বা সচেতন সাহিত্য আন্দোলন বা বিপ্লব একেবারেই নয়। কাছাকাছি সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের কয়েকজন মানুষ, যাঁদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা তো দূর, পরিচয়ও নেই, তাঁরা এমন নাটক লিখছেন, যা নাট্য-রচনার যাবতীয় সনাতন শৈলীকে কচুকাটা করছে।’ নাটকের নতুন ধারা।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

মাতৃগর্ভ এড়িয়ে

‘…বুদ্ধের জন্ম স্বাভাবিক পদ্ধতিতে হয় নি, এই বিশ্বাসের আভাস পাওয়া যায় পরবর্তী যুগের একাধিক বৌদ্ধ উপাখ্যানে। বুদ্ধের জন্ম হয়েছিলো তাঁর মায়ের দেহের পাশ থেকে, যোনিদ্বারের মাধ্যমে নয়। এই বিশ্বাস সুদূর ইয়োরোপ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, খৃষ্টধর্মের প্রথম যুগের গির্জাপতিদের মুখে শোনা যায় যীশুর জন্মও বিনা যৌনসঙ্গমে, অপাপবিদ্ধ উপায়ে হয়েছিলো, সম্ভবত তাঁর ক্ষেত্রেও গর্ভকে এড়িয়েই তাঁর ভূমিষ্ঠ হওয়া।’ দেবতার জন্ম ও মৃত্যু।

গণেশ হালুই

যে পথ ধরে

‘…অবনীন্দ্রনাথ হলেন বেঙ্গল স্কুল অব আর্ট-এর জনক। পরে যাঁরা এসেছেন, বা আমরা যারা এসেছি, তাঁরা সবাই এক অর্থে তাঁর সন্তান। সন্তানদের মধ্যে পিতার অনেক ছাপ থাকে। হাবভাব-ব্যবহারে মিল থাকে। কিন্তু ভাবনাচিন্তার ধরন ও তা প্রকাশের ভঙ্গি অন্যরকম হয়।’ প্রাসঙ্গিক অবনীন্দ্রনাথ।