

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ১০
‘১৮৩৯-এর শীতকালে লেখা এই চিঠি এবং রিপোর্টগুলো, যখন দার্জিলিং-এর বৈশিষ্ট্য এবং খ্যাতির শুরু, পড়তে-পড়তে আমি বর্তমান দার্জিলিং-এর জীবনের সঙ্গে তুলনা না-টেনে থাকতে পারিনি।’ কতটুকু বদলেছে দুশো বছরের দার্জিলিং?
‘১৮৩৯-এর শীতকালে লেখা এই চিঠি এবং রিপোর্টগুলো, যখন দার্জিলিং-এর বৈশিষ্ট্য এবং খ্যাতির শুরু, পড়তে-পড়তে আমি বর্তমান দার্জিলিং-এর জীবনের সঙ্গে তুলনা না-টেনে থাকতে পারিনি।’ কতটুকু বদলেছে দুশো বছরের দার্জিলিং?
‘এখানকার রাস শাক্ত রীতি-রেওয়াজ মেনে চলে। তা গোস্বামী-শাসিত নয়। বারোয়ারির দাপটে চলে। নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের উৎসাহ পেয়ে আড়াইশো বছর আগে যেটা মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে গেছিল, নবদ্বীপের মাটির ওপর শাক্ত মতাবলম্বীদের মৌরসি পাট্টা কায়েম করতে কাজে লেগেছিল, সেটা আজ কার্নিভালের চেহারা নিয়েছে।’ নবদ্বীপের রাস।
‘…অভিভাবকেরা আশা রাখতেন, বেয়াড়া-বেয়াদপ ছেলেদের কবির বিদ্যালয়ে পাঠালে তারা হয়তো একদিন যথার্থ মানুষ হয়ে ফিরে আসতে পারবে। এই বিদ্যালয় গড়ে তুলতে রবীন্দ্রনাথকে বহু ব্যক্তিগত ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছিল।’ আশ্রম ও কবি।
‘বিশ-তিরিশের দশকে রবীন্দ্রনাথ নাগাড়ে উপরোধ করেছিলেন একটি আগন্তুক ইংরিজি শব্দের বিকল্প বাংলা পরিভাষা খুঁজতে। শব্দটি: ‘কালচার’।… বিশের দশকের গোড়ায় সেই আকাঙ্ক্ষিত শব্দের উদ্বোধন ঘটালেন সুনীতিকুমার-ই৷ শব্দটি: ‘সংস্কৃতি’!’ ‘কালচার’ শব্দের বাংলা।
‘পৌরাণিক হিন্দুধর্মে মেনকার মতো অপ্সরারা বিশ্বামিত্রের মতো তপস্বীদের মোহগ্রস্ত করতেন, শিবকে গৃহস্থ-জীবনে প্রবেশ করতে বাধ্য করেন শক্তি। কিন্তু তান্ত্রিক হিন্দুধর্মে অপ্সরা হয়ে উঠলেন যোগিনী। যৌনতা এ-ধারায় পুলক বা শিশুর জন্ম দেওয়ার নিমিত্ত নয়, আধ্যাত্মিক শক্তিকে ধারণ করার আধার।’ হিন্দুধর্মে তন্ত্র-প্রভাব।
‘রাস্তার দু’ধারে, ফুটপাথে, বাজারের সন্নিকটে, যেখানেই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ, সেখানে গেলেই দেখা যাবে উপগ্রহের মতো অজস্র চিতই পিঠা লোকের হাতে-হাতে ঘুরছে। বছর দশ-পনেরো আগেও চিতই পিঠা এমন নাগরিক হয়ে ওঠেনি। তখনও শহরে চিতই পিঠা বিক্রি হত, তবে তা কিছু-কিছু জায়গায়।’ ঢাকার পিঠে।
‘মনের একটি দিক যেমন স্মৃতিবেদনার মালা গাঁথে, অন্য একটি দিক কিন্তু বাঙালি হিসেবেই দু’হাতের আঁজলা ভরে যা অজানা, অচেনা, নতুন ও অপর তাকে গ্রহণ করে— কিছুটা বাঙালি মনের মাধুরী মিশিয়েই— তার রসাস্বাদন করতে থাকে। যে-মনের এই প্রসার ঘটে, সেই মনটাও তো বাঙালি!’ বাঙালি মনের স্বরূপ।
‘শীতকাল ঠান্ডা হবেই, এবং ঠান্ডা হবে শীতের বাতাস। কিন্তু আসন্ন শীতের নাটকটা একটু আলাদা— যখন না-পৌঁছনো শীতের ভূমিকা যেন শীতের চেয়ে লম্বা, এবং মধুর। ‘আদুরে ঠান্ডা’, ‘মিষ্টি ঠান্ডা’ – এই শব্দগুলো কথোপকথনে, বাড়ির মেনু তারির সময় আর পিকনিকের লিস্টে উঠে আসবে।’ শীতের হাওয়ার মাতন।
‘বুদ্ধের দেহাংশ আর সতীর দেহের খণ্ডের ছোঁয়ায় বিভিন্ন স্থানের পবিত্র হয়ে ওঠার যে কাহিনী, তার মধ্যে সামঞ্জস্য লক্ষ্য না করে পারা যায় না। এ কাহিনীগুলো কি একে অপরের দ্বারা অনুপ্রাণিত? সবই তর্কের বিষয়!’ পীঠস্থানের মাহাত্ম্য।
‘…Adurey thhanda, affectionate chill, or mishti thhanda, sweet cold – these phrases will annotate conversations, decisions around menus at home and picnics, and clothing. All of these will mark November as a season unto itself – a season of waiting for the real season.’ Of a secret season-in-waiting.
তার উপচে পড়া শরীর, তার বগল ছেঁড়া নাইটি, তার রাত-বিরেতে গোঙানি, তার ঋতুস্রাবের সময় অবুঝপনা, গোটা ঘরে লেপ্টালেপ্টি করে নোংরা করে রাখা— সব সামলাতে হিমশিম খেয়ে যেতে হয় বাড়ির লোকেদের। মানসিক অসুস্থ ভাই-বোন, বাড়ির গলগ্রহ।
অনেক কিছুই তুই করতে পারতিস,দাদা। এখনও পারিস। তুই বুক ফুলিয়ে আমার পাশে দাঁড়াতে পারতিস। বাবা-মার সঙ্গে আমার হ’য়ে কোমর বেঁধে ঝগড়া করতে পারতিস। পাড়ার লোকের সঙ্গে পাঙ্গা নিতে পারতিস। পালিয়ে যাওয়া বোনের অ্যাখ্য়ান।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.