প্রবন্ধ

দেবাশিস বিশ্বাস

অভিযান কেবল অ্যাডভেঞ্চার নয়

‘পর্বতারোহণ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এক খেলা। বিপদের আশঙ্কা এখানে প্রতি পদে। সাফল্য আর ব্যর্থতার মাঝের ফাঁক এখানে খুবই সামান্য। খুবই তুচ্ছ কারণে কোনও অভিযান বাতিল করে ফিরে আসতে হতে পারে। তা সে গ্যাস স্টোভ বিগড়ে যাওয়া হোক কিংবা তাঁবুর কোনও পোল বা স্টিক ভেঙে যাওয়া।’ পর্বতারোহণের খুঁটিনাটি।

অর্ক দাশ (Arka Das)

এক নায়কের খোঁজে

সায়নদেব চৌধুরীর প্রথম বই ‘Uttam Kumar: A Life In Cinema’। প্রায় দেড় দশকের চিন্তা, এবং ছয় বছরের কিছু বেশি গবেষণায় ঋদ্ধ এই লেখা। এই বইয়ে বাংলা সিনেমার প্রথম এবং শেষ মহাতারকার এমন এক চলচ্চিত্র-জীবন প্রকাশিত হয়েছে, যা এর আগে সম্ভবত কখনও এ ভাবে দেখা হয়নি, বিশ্লেষণ করা হয়নি ইতিহাসের পটভূমিকায়। কথোপকথনে সায়নদেব।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ১০

‘আজিজে যেটা সংকুচিত হয়ে উঠেছে সেটা হচ্ছে আড্ডা। আগে হাত-পা ছড়িয়ে কেতাবি দুরস্তের ধার না ধেরেও এখানে-সেখানে বসে সুবিধামতো আড্ডা দেওয়া গেছে। এখন সেসব জায়গা সংকুচিত, ফলে আড্ডাও ম্রিয়মান। আড্ডা এখন বসছে বুক ক্যাফেতে।’ বইয়ের দোকানের আড্ডা।

সৈকত ভট্টাচার্য

‘এনট্রপি’ এবং সময়-ঘড়ির হযবরল

‘একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে এই ত্রি-পারমাণবিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে তাপপ্রবাহ ঘটিয়ে এ থেকে নির্দিষ্ট হারে ফোটন বা আলোককণার স্রোত পাওয়া যাবে। এটা হবে এই পারমাণবিক ঘড়ির ‘পয়েন্টার’। পয়েন্টার থেকে বের হওয়া আলোককণাকে যদি একটা রেজিস্টারে ধরা যায় এবং প্রতিটা আলোককণা পাওয়ার সাথে-সাথে রেজিস্টার যদি একটা ‘tick’ ঘোষণা করে, তবে মাপা যাবে সময়ের প্রবাহ।’ বিকল্প ঘড়ি।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ১০

‘১৮৩৯-এর শীতকালে লেখা এই চিঠি এবং রিপোর্টগুলো, যখন দার্জিলিং-এর বৈশিষ্ট্য এবং খ্যাতির শুরু, পড়তে-পড়তে আমি বর্তমান দার্জিলিং-এর জীবনের সঙ্গে তুলনা না-টেনে থাকতে পারিনি।’ কতটুকু বদলেছে দুশো বছরের দার্জিলিং?

অংশুমান ভৌমিক

রাসের খাস খবর

‘এখানকার রাস শাক্ত রীতি-রেওয়াজ মেনে চলে। তা গোস্বামী-শাসিত নয়। বারোয়ারির দাপটে চলে। নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের উৎসাহ পেয়ে আড়াইশো বছর আগে যেটা মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে গেছিল, নবদ্বীপের মাটির ওপর শাক্ত মতাবলম্বীদের মৌরসি পাট্টা কায়েম করতে কাজে লেগেছিল, সেটা আজ কার্নিভালের চেহারা নিয়েছে।’ নবদ্বীপের রাস।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ১০

‘…অভিভাবকেরা আশা রাখতেন, বেয়াড়া-বেয়াদপ ছেলেদের কবির বিদ্যালয়ে পাঠালে তারা হয়তো একদিন যথার্থ মানুষ হয়ে ফিরে আসতে পারবে। এই বিদ্যালয় গড়ে তুলতে রবীন্দ্রনাথকে বহু ব্যক্তিগত ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছিল।’ আশ্রম ও কবি।

শিমূল সেন

বাংলায় ‘সংস্কৃতি’র বোঝাপড়া

‘বিশ-তিরিশের দশকে রবীন্দ্রনাথ নাগাড়ে উপরোধ করেছিলেন একটি আগন্তুক ইংরিজি শব্দের বিকল্প বাংলা পরিভাষা খুঁজতে। শব্দটি: ‘কালচার’।… বিশের দশকের গোড়ায় সেই আকাঙ্ক্ষিত শব্দের উদ্বোধন ঘটালেন সুনীতিকুমার-ই৷ শব্দটি: ‘সংস্কৃতি’!’ ‘কালচার’ শব্দের বাংলা।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

ভারত থেকে তিব্বতের পথে তন্ত্র

‘পৌরাণিক হিন্দুধর্মে মেনকার মতো অপ্সরারা বিশ্বামিত্রের মতো তপস্বীদের মোহগ্রস্ত করতেন, শিবকে গৃহস্থ-জীবনে প্রবেশ করতে বাধ্য করেন শক্তি। কিন্তু তান্ত্রিক হিন্দুধর্মে অপ্সরা হয়ে উঠলেন যোগিনী। যৌনতা এ-ধারায় পুলক বা শিশুর জন্ম দেওয়ার নিমিত্ত নয়, আধ্যাত্মিক শক্তিকে ধারণ করার আধার।’ হিন্দুধর্মে তন্ত্র-প্রভাব।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৯

‘রাস্তার দু’ধারে, ফুটপাথে, বাজারের সন্নিকটে, যেখানেই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ, সেখানে গেলেই দেখা যাবে উপগ্রহের মতো অজস্র চিতই পিঠা লোকের হাতে-হাতে ঘুরছে। বছর দশ-পনেরো আগেও চিতই পিঠা এমন নাগরিক হয়ে ওঠেনি। তখনও শহরে চিতই পিঠা বিক্রি হত, তবে তা কিছু-কিছু জায়গায়।’ ঢাকার পিঠে।

দীপেশ চক্রবর্তী

অ-বাঙালিকে নিয়ে যে বাঙালিত্ব

‘মনের একটি দিক যেমন স্মৃতিবেদনার মালা গাঁথে, অন্য একটি দিক কিন্তু বাঙালি হিসেবেই দু’হাতের আঁজলা ভরে যা অজানা, অচেনা, নতুন ও অপর তাকে গ্রহণ করে— কিছুটা বাঙালি মনের মাধুরী মিশিয়েই— তার রসাস্বাদন করতে থাকে। যে-মনের এই প্রসার ঘটে, সেই মনটাও তো বাঙালি!’ বাঙালি মনের স্বরূপ।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়রি: পর্ব ৯

‘শীতকাল ঠান্ডা হবেই, এবং ঠান্ডা হবে শীতের বাতাস। কিন্তু আসন্ন শীতের নাটকটা একটু আলাদা— যখন না-পৌঁছনো শীতের ভূমিকা যেন শীতের চেয়ে লম্বা, এবং মধুর। ‘আদুরে ঠান্ডা’, ‘মিষ্টি ঠান্ডা’ – এই শব্দগুলো কথোপকথনে, বাড়ির মেনু তারির সময় আর পিকনিকের লিস্টে উঠে আসবে।’ শীতের হাওয়ার মাতন।