

আমিই যখন অসুর
‘সব ভাল তো সবার জীবনে হয় না, তা আমার নাহয় বাংলাতে কাজ করেই চলুক। অভিনয়-জীবনে হেলিকপ্টার চড়েছি, এমনকী দুবাইতে ছাদহীন রোলস রয়েসে চড়েও শট দিয়েছি, কিন্তু গড়গড়িয়ে হিন্দি বলার মতো বড় ভিলেন হতে পারলাম না!’ বাঙালি ভিলেনের অভিজ্ঞতা।
‘সব ভাল তো সবার জীবনে হয় না, তা আমার নাহয় বাংলাতে কাজ করেই চলুক। অভিনয়-জীবনে হেলিকপ্টার চড়েছি, এমনকী দুবাইতে ছাদহীন রোলস রয়েসে চড়েও শট দিয়েছি, কিন্তু গড়গড়িয়ে হিন্দি বলার মতো বড় ভিলেন হতে পারলাম না!’ বাঙালি ভিলেনের অভিজ্ঞতা।
‘হেরে যাওয়ার একশোটা কারণ থাকতেও তারা সিসিফাসের মতো পাথরটা ঠেলে যাচ্ছে। কারণ সিসিফাস জানে যে, পাথর ঠেলা আর পাথর তোলার মাঝখানে একটা মুহূর্ত আছে, যখন সে হেঁটে নামে পাহাড় থেকে পাথরটা তোলার জন্য, তখন সে মুক্ত।’ মুহূর্তের মুক্তি।
‘ধুতি-পাঞ্জাবি গলিয়ে স্কচে ঈষৎ চুমুক মেরে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই তৎক্ষণাৎ চোখে পড়ল অসুর। অসুর তো আছে, ওই আয়নার ওপাশে। আসলে আমিই আমার অসুর, যাকে যুদ্ধে হারানোর ক্ষমতা মা দুর্গার নেই। ভয় একটাই, মালটা যেন আয়না ফুঁড়ে বেরোতে না পারে!’ আত্ম-আবিষ্কার।
অসুর আদৌ কারুর শ্বশুরমশাই কোনওদিন ছিল কি না, তা জানতে হলে নৃসিংহদাকে ফোন করতে হবে। কিন্তু আমি কয়েকজন শ্বশুরমশাইকে চিনি, যাদের ভেতরে অসুর ছিল জ্যান্ত। শুধু শ্বশুরমশাই নয়, পিসেমশাই, মেসোমশাই, মাস্টারমশাইয়ের মধ্যে আমি অসুরকে দেখেছি।
ইদানীংকালে যে-বিষয়টাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাই, সেটা হল মানুষের মধ্যেকার অসহিষ্ণু মনোভাব। কাকে পরাস্ত করতে চাই, যদি কেউ আমার কাছে জানতে চান, তাহলেও আমি এই বিষয়টার কথাই বলব।
এখন একটি আছে বটে আমার জীবনে। তার নাম চিন্তাসুর। তিনি আমার জীবনে তীব্রভাবে প্রবেশ করেছেন আমার মেয়ে সানা যবে থেকে লন্ডনে পড়তে গেছে। আমি যখন ওর থেকে দূরে থাকি, তখন সব সময় একট চিন্তা মাথার পেছনে চলতেই থাকে।
আমার আসলে নিজেকে অসুর ভাবতে খুব ভাল লাগে। দুর্গা বরং আমার কাছে একটা উৎস, কিন্তু অসুর হচ্ছে আসল। আমার মধ্যে অসুরের বোধ আছে, এবং সেটা আছে বলেই হয়তো আমি ক্রমাগত সেখান থেকে দেবত্বের দিকে চলার একটা প্রক্রিয়ায় থেকে যেতে পারি।
শতাব্দী-প্রাচীন দেশজ নন্দনবোধের সঙ্গে বাংলার লোকশিল্পের মেলবন্ধনে যে সুচারু প্রকাশ বেঙ্গল স্কুলের গোড়ার দিকে দেখা যায়, তা আজও বহমান, দুর্গাপুজোর মণ্ডপ এবং প্রতিমায়।
সাম্প্রতিককালে এই বাংলাতেই নিজ-নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত চারজনের একটি দল ইচ্ছেমতো কমিক্সকে ঢেলে সাজাতে নানা রকম উদ্যোগ নিতে শুরু করে। তারই এক উজ্জ্বল নিদর্শন পেঙ্গুইন বুক্স থেকে প্রকাশিত সম্পূর্ণ মুক্তমনা কমিক্সের একটি সংকলন ‘লংফর্ম ২০২২’।
‘দুই জাতির পরস্পরের প্রতি ঘৃণা কোনও নতুন বিষয় ছিল না। নতুন যা ঘটল, তা হল ‘রায়ট’। হারিয়ে গেল বাঙালি, তৈরি হল নতুন দুটো জাতি। তারপর স্বাধীনতা এল। চিন্তাহরণ মুখোপাধ্যায় ও সম্প্রদায় গান বাঁধলেন।’ সংকটের গান।
‘শুধু ১৯৪৭ সালের দেশভাগ নয়, এই মিউজিয়ামে ধরা থাকবে তার আগের-পরের নানান ঐতিহাসিক ঘটনার ইতিহাস, যা দেশভাগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সম্পর্কিত। ধরা থাকবে দণ্ডকারণ্য, মরিচঝাঁপির কথাও।’ ব্যতিক্রমী মিউজয়াম।
যমজ ভাই বা বোনেরা নাহয় একই বাপ-মায়ের সন্তান। একই সাথে মাতৃজঠরে জিন ভাগাভাগি করে ভ্রূণ থেকে পরিণত হয়ে ওঠা। কিন্তু দুজন নিঃসম্পর্কিত মানুষ? তাদের কি কাকতালীয় ভাবে ডিএনএ-র গঠন মিলে গেছে? তার ফলেই এমন একে অন্যের ফোটোকপি হয়ে যাওয়া?
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.