প্রবন্ধ

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল : পর্ব ৩৮

‘দূর-দূর সব পাড়া থেকে অসুখ-করা মানুষজন ডাক্তারবাবুকে দেখাতে আসতেন। আর একবার আসা মানেই সারাজীবন আসা। তাঁর ওষুধে এমনই কাজ হত যে, হরেক রকম অসুখে তাঁরই কাছে আসতে বাধ্য হতেন সকলে।’

শান্তনু চক্রবর্তী

পরিমিতির শৈলী

‘গত বছরেই ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা-র রেপার্টরি ‘তমস’ নিয়ে নাট্যপ্রযোজনার কথা ভেবেছিল; তখনও হিন্দুত্ববাদীদের তরফে সেই পুরনো অভিযোগ উঠেছিল— সাহনি বামপন্থী, সুতরাং নিরপেক্ষ নন। তাই তাঁর সাহিত্য থেকে কোনও প্রযোজনা করা চলবে না, করা যায়ওনি।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৪

‘কিছুটা গিয়েই মনে হল, নির্জন সৈকতে পিছু-পিছু কেউ আসছে। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি চেনা মুখ। তিন বছরেও ভুলিনি। সে অবশ্য আমাকে চিনতে পারেনি। লোকটার চেহারাটাও বিচিত্র, চোয়াড়ে মার্কা, পাক্কা দালাল বোঝাই যায়। বিদেশিরাই ওর টার্গেট, তাই চোস্ত ইংরেজি বলে।’

সুজান মুখার্জি

শিল্পীর মন, সংগ্রহের বাতিক

‘পাহাড়ি শিল্পীদের থেকে অবনীন্দ্রনাথ সংগ্রহ করেন মিনিয়েচার ছবি আঁকার কায়দা। তাইকান, হিশিদা বা কাতসুতার মতন জাপানি শিল্পী-বন্ধুদের সংস্পর্শে এসে তিনি তুলি চালানোর নতুন শৈলী আবিষ্কার করেন এবং অজন্তা গুহাসমূহের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ফিরে যান এক দেশজ ক্লাসিসিজ্‌ম-এর দিকে।’ শিল্প-সংগ্রাহক মন।

সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

চা বাগানের গান

‘১৮৩৪ সালে লর্ড বেন্টিঙ্ক তৈরি করেন কমিটি অন টি কালচার এবং সেই কমিটির সুপারিশে আসামের জলা-জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ি ঢাল এবং পতিত জমি তখন থেকে ক্রমশ ঢাকা পড়ে চা বাগিচার সবুজ গালিচায়। তার চার বছর বাদে ‘ক্যালকাটা’ জাহাজে চেপে প্রথম চা রপ্তানি হয় ব্রিটেনে।’

সৈকত ভট্টাচার্য

হ্যালির গ্রহণ

‘মানচিত্র প্রকাশ করার পর হ্যালি উৎসাহী মানুষজনকে বলেছিলেন ইংল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই গ্রহণের সময় এবং স্থায়িত্ব কতক্ষণ তার তথ্য নথিবদ্ধ করতে। গ্রহণ শেষে সেসব মিলিয়ে দেখা গেল, হ্যালির মানচিত্রের থেকে সূর্যগ্রহণের প্রকৃত গতিপথ সরে গেছে প্রায় কুড়ি মাইল।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৩

‘আসলে ইংরেজি ভাল না-জানা প্রভাকরণের অনুবাদকের কাজ করেন ইনি। তাই বিদেশি সাংবাদিক সাক্ষাৎকার চাইলে বেশির ভাগ সময়ে জর্জ মাস্টার তাদের মুখোমুখি হন। ভাবছিলাম, যে-কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনের নেটওয়ার্ক কি এরকমই জোরালো হয়?’

পৃথু হালদার

কুন্দেরার হাসি

‘কুন্দেরার হাসিকে তামাশা না বলে বোধহয় ‘খিল্লি’ বলা অনেক বেশি যুক্তিসঙ্গত হবে। বিখ্যাত মার্ক্সবাদী সমালোচক টেরি ইগেল্টন তাঁর এক প্রবন্ধে অনবদ্য বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন, কীভাবে স্বৈরতন্ত্রী রাষ্ট্রে কুন্দেরার এই হাসি অর্থের উৎপাত সৃষ্টি করে।’ মিলান কুন্দেরার সাহিত্যে হাসির তাৎপর্য।

পৃথ্বী বসু

আউট অফ প্রিন্ট : পর্ব ৪

‘দীর্ঘদিন কৃত্রিম হাসতে-হাসতে, মানুষ এক সময়ে হাসির ওজন ভুলে যায়। তাঁর অনুভূতিতে জং পড়ে। ভেতরে রিনরিন করে বেজে চলে যে-করুণ রাগ, তাকে ঢাকার জন্যই এই ‘অট্টহাসি’। অথচ তা কি কোনও আনন্দ থেকে উৎসারিত? নয় যেহেতু, তা-ই ‘মায়াময়’।’

সুস্নাত চৌধুরী

মেগা ম্যাগাজিন : পর্ব ৯

‘১৯১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় পাক্ষিক Forbes পত্রিকার প্রথম সংখ্যা। এর কেন্দ্রে ছিল এক হাজার ডলার পুরস্কারমূল্যের একটি প্রতিযোগিতা। ‘আমেরিকার শ্রেষ্ঠ নিয়োগকর্তা কে?’— এই বিষয়ে আহ্বান করা হয় প্রতিবেদন।’

আবীর কর

‘সহজ পাঠ’, জটিল গল্প

‘এ তো নির্মল বাংলা বা স্বচ্ছ ভারতের ক্যামেরাবন্দিত ঘটাপটার দেখনদারি ঝাটপাট নয়, রুটিন পরিচ্ছন্নতা। সমাজ, সংসার, পরিবেশ, পরিজন সম্পর্কে শিশুর বোধের জাগরণ ঘটানোর পাঠ তো ‘সহজ পাঠ’-এর পাতায়-পাতায়।’

চৈতী মিত্র

শার্প সাহিত্য

‘পরবর্তী ২৭ সেকেন্ড ধরে সে এলোপাথাড়ি ছুরি চালায় ৭৫ বছর বয়সি লেখকের শরীরে। ফন্টানারের ছুরির ঘায়ে ছিন্নভিন্ন ক্যানভাসের মতো ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর শরীর— চোখ, মুখ, হাত, বুক, পেট প্রাথমিকভাবে স্টেপল করে কোনওরকমে জুড়ে রাখার চেষ্টা হয় হাসপাতালে।’