

মনরো, মন ও মিথ
‘দর্শক তাঁকে বোঝেনি, সমালোচক তাঁকে বোঝেনি, প্রেমিকেরা তাঁকে বোঝেনি। কোন মেরিলিন যে আসল, তা কিছুতেই বোঝা যায় না বলেই তিনি আজ মিথ।’
‘দর্শক তাঁকে বোঝেনি, সমালোচক তাঁকে বোঝেনি, প্রেমিকেরা তাঁকে বোঝেনি। কোন মেরিলিন যে আসল, তা কিছুতেই বোঝা যায় না বলেই তিনি আজ মিথ।’
‘আজকে যে শত-শত ছেলেমেয়েরা গিটার হাতে নিজেদের গান খোঁজার চেষ্টা করে, তারা বলে, ভাগ্যিস আপনারা গান লিখেছিলেন, গেয়েছিলেন— সমাজ বদলানোর হাতিয়ার স্বরূপ ভাগ্যিস অস্ত্রের বদলে গৌতম চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জনপ্রসাদ হাতে তুলে নিয়েছিল গিটার।’
‘বারাউনি জংশন স্টেশনে ট্রেন থেকে শুনলাম শহরগুলি ও শিল্পাঞ্চল থেকে জনগর্জন: তানাশাহি নহি চলে গা… ইন্দিরা হঠাও… বিহার তখন কাঁপছিল জয়প্রকাশ নারায়ণের ইন্দিরাবিরোধী আন্দোলনে। অর্থাৎ আমি ইতিহাসের ভিতরে ছিলাম।’
‘১৯৪১ সালে কানাডা আর আমেরিকার বর্ডার অঞ্চলে, একেবারে নির্জন জায়গায় অত্যন্ত গোপনে প্রথম খোলা হয় স্পাই ট্রেনিং স্কুল। তারপর আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে একের পর এক এই ধরনের ট্রেনিং স্কুল খোলা হতে থাকে। এই সব জায়গায় নানা কৌশলে শেখানো হয় স্পাই-ভাষা।’
‘যেহেতু বানুর লেখাকে নারীবাদী বলে দেওয়া হচ্ছে, বলে দেওয়া হয়েছে তাঁর গল্পে মহিলাদের সচেতন মনোভঙ্গি (agency) ফুটে উঠছে, আমরা যেন বানুর লেখায় একলপ্তে চেনা ধর্ম বনাম নারীবাদী চেতনার খোঁজ না করি।’
‘এইরকম কত সহস্র দেবদেবী পানের পিকের মুখে ভাবলেশহীন মুখে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তার ইয়ত্তা নেই। পিক প্রতিরোধের প্রহরায় নিযুক্ত দেবদেবীরা যে সর্বত্র নিজেদের উজ্জ্বল ভাব বজায় রাখতে পেরেছেন তা নয়। অনেক অবাধ্য পান-প্রিয় বে ভক্তরা বেসামাল ভাবে দেবদেবীর গায়েও এঁকে দিয়েছেন লাল রঙের উলকি-ঝুলকি।’
‘মাইক্রোফোন বসিয়ে আড়ি পাতা, কারও ওপর নজর রাখা, পোস্টাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে ব্যবস্থা করে অন্যদের চিঠিপত্র লুকিয়ে পড়া বা কপি করা প্রভৃতি ছিল এমআই ফাইভের প্রধান কাজ।’
বাঙালির কলকাতা কেন্দ্রিক জীবন থেকে দূরে লৌকিক সংস্কার ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক এই সব দেশজ খেলা থেকে গেছে আমাদের মন জুড়ে; ধুলায় মোড়া মাটির থেকে জন্ম নিয়ে তারা প্রজন্মান্তরে ‘বঙ্গ জীবনের অঙ্গ’ হয়ে রয়ে গেছে আজও…
নিজের ছবি তোলার ব্যাপারে ঋতুপর্ণ ঘোষ বরাবর ‘ভীষণ খুঁতখুঁতে; আলো, ক্যামেরা-অ্যাঙ্গেল, শরীরের ভঙ্গি, মুখের আদল, সর্বোপরি চোখের ভাষা— সবই মনমতো হতে হবে। এদিকে, সেদিন ওর মেক-আপ এবং কস্টিউম— দুটোই আমার বেশ খারাপ লেগেছিল।’
‘‘সব চরিত্র কাল্পনিক’-এ রঙের ব্যবহার থেকে শুরু করে আরও নানা কিছুতে নিরীক্ষামূলক কিছু কাজ হয়েছিল। আমার কেরিয়ারেও তাই ছবিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থেকে যাবে। এক্সপেরিমেন্ট করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতেন ঋতুদা।’
‘ঋতুদা বললেন, ‘এই শো-তে, দ্য ফার্স্ট থিং, বেঙ্গলস অডিয়েন্স উইল নোটিশ ইজ মাই এফিমিনেসি, আই ওয়ান্ট ইউ টু হাইলাইট ইট!’
আমার কাছে ‘এবং ঋতুপর্ণ’র জার্নিতে এই মুহূর্তটুকু খুব জরুরি মনে হয়’।
‘ঋতুদা ভয়ানক রেগে যায়। হুকুম করেছিল, ‘যাও, বাইরে বেরিয়ে নিল ডাউন হয়ে বসে থাকো।’ আমি সেটের বাইরে বেরিয়ে চেয়ারে বসে আছি, হঠাৎ একজন এসে বলল, ‘কী রে, তুই চেয়ারে বসে আছিস! ঋতুদা আমায় দেখতে পাঠাল তুই নিল ডাউন হয়ে বসে আছিস কি না।’’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.