

কান্নাকাটি-হল্লাহাটি
‘সমাজ মাধ্যমের তীব্র ক্ষমতার যুগে, একটা ‘কান্নাকাটি’র ভিডিও ভাইরাল করে দিতে পারলেই যারা পরে সিনেমাটা দেখতে যাবে, তারাও একই আবেগের মধ্যে দিয়ে যাবে। মানুষের যুক্তিবুদ্ধি কাজ করবে না।’
‘সমাজ মাধ্যমের তীব্র ক্ষমতার যুগে, একটা ‘কান্নাকাটি’র ভিডিও ভাইরাল করে দিতে পারলেই যারা পরে সিনেমাটা দেখতে যাবে, তারাও একই আবেগের মধ্যে দিয়ে যাবে। মানুষের যুক্তিবুদ্ধি কাজ করবে না।’
‘আমজাদ খানের খুব দুর্ভাগ্যজনক একটি দুর্ঘটনা হয়। ওঁর শারীরিক কসরতের ক্ষমতা চলে যায়, যা একজন অভিনেতার অ্যাসেট। ওজন ক্রমশ ওঁর হাতের বাইরে চলে যেতে শুরু করে। অথচ, এই ভদ্রলোক কিন্তু অল্প সময় কাজ করেই যা যা অর্জন করেছেন, তা অনস্বীকার্য।’
‘অনেক মা-বাবা খিদেয় কাঁদতে থাকা বাচ্চাকে শুধু গল্প বলছেন— ‘আজ কেন খাওয়া হবে না।’ গত চারমাস গাজায় কোনও ত্রাণ সামগ্রী ঢোকেনি। যেটুকু ঢুকছে, তাও কড়া-হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। খাবার নিতে লাইন দেওয়া, হুড়োহুড়ি-করা মানুষগুলোর উপর প্রায়ই গুলি চলছে। গাজায় তৈরি করা হল ম্যানমেড দুর্ভিক্ষ!’
‘রবীন্দ্র সদনের উলটোদিকে তখনকার মাঠে জমজমাটভাবে জরুরি অবস্থাকে যেন তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে ১৯৭৬-এর ৫ মার্চ শুরু হয়েছিল গিল্ড আয়োজিত প্রথম কলিকাতা পুস্তকমেলা। গৌরকিশোর ঘোষ, বরুণ সেনগুপ্ত, জ্যোতির্ময় দত্ত তখনও ছিলেন জেলে।’
‘এই দেশের লোকের, কর্তৃপক্ষের সাড়া পাওয়ামাত্র পেট-গুড়গুড় শুরু হয়ে যায়। বস লিফ্টে উঠেছেন শুনেই সবাই সিকনির রুমাল পকেটে ঢুকিয়ে, তাসখেলা মিনিমাইজ ক’রে, গলা-খাঁকারি দিয়ে সিধে-পিঠে বসে, যৌবনবতী কলিগের পানে পারতপক্ষে তাকায় না।’
‘একবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল রাহুলদা এই লিখে, ‘যাদের সঙ্গে মিশেছি, একটা রূপকথার মতো গদ্য লিখতে চাই এদের নিয়ে। সবাইকে মিলিয়ে মিশিয়ে, সময়কে ভাঙচুর করে।’ প্রথম লাইনটাও ঠিক হয়ে গেছিল: ‘রাস্তার যে-অংশে রোদ পড়েছে, সেটা আমার।’ বইয়ের নাম, ‘অর্থহীনতার দিনলিপি’।’
‘পুরাণ-সংস্কার-অভিকরণের মিলমিশে থিয়েটার, নৃত্য, চিত্রকলা ও চলচ্চিত্রের যে অপরূপ বিকাশ ও বিস্তার গত শতকের তিন দশক ধরে দেশের এক সম্পদ রূপে আদৃত হয়েছে, তাকে কিন্তু ক্রমাগত লড়তে হয়েছে ভারত রাষ্ট্রের পাশবিক সামরিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।’
‘আমরা বলে থাকি থিয়েটার একটি যৌথ শিল্পমাধ্যম, কিন্তু শিল্পের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে নিবিড় চর্চা ও পারদর্শিতাকে পাথেয় করে নাট্য-প্রযোজনা করেছেন এমন পরিচালক আন্তর্জাতিক থিয়েটারে বিরল।’
“যখন রতন থিয়াম ‘ম্যাকবেথ’ প্রযোজনা করছেন, তখন কিন্তু তিনি ম্যাকবেথকে ইউরোপীয় আঙ্গিক থেকে দেখতে চাননি। ম্যাকবেথকে তিনি তাঁর আঞ্চলিকতার ভাষায় রূপায়িত করতে চেয়েছেন।”
‘গত ২৭ মার্চ ২০২৪, বিশ্ব নাট্য দিবসের বার্তায় রতন থিয়াম বলেন— সীমান্তের কাঁটাতার পার করে গোটা পৃথিবী এক হোক। আমরা থিয়েটার করি সংবেদনশীলতার প্রসারে।’
‘আসলে তাঁর থিয়েটারের ‘ভারতীয়তা’ অনেক গভীরে নিহিত, যার কথা সেদিন তিনি বলতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, আঞ্চলিকতার বৈশিষ্ট্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে সার্বিকভাবে তিনি ভারতীয় করে তুলতে চান তাঁর থিয়েটারকে, যেখানে প্রাচ্যের থিয়েটারের ভাষাও অঙ্গীকৃত হয়ে যায়।’
‘লোকটা আসলে ম্যাভেরিক ইন নেচার; যদি খুব সহজে সাফল্য এসে যায়, তখন বোধহয় ওখানে উনি ক্লান্ত বোধ করেন। এবং সেখানে থেমে থাকতে চান না। এধরনের মানুষরা নিজেই নিজেদের ক্রাইসিস তৈরি করেন এবং নিজেরাই সেগুলো সল্ভ করার চেষ্টা করেন।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.