

মেডিসিনারি : পর্ব ৭
‘কোভিডের সময় কত মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা যে হয়েছে। মানুষ কীভাবে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়— সেসময় দেখেছিলাম। এমনও হয়েছে, রোগী বাড়ি যেতে চাইছেন, বাড়ির লোক তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী নন।’
‘কোভিডের সময় কত মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা যে হয়েছে। মানুষ কীভাবে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়— সেসময় দেখেছিলাম। এমনও হয়েছে, রোগী বাড়ি যেতে চাইছেন, বাড়ির লোক তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী নন।’
‘যেন এক বৃত্ত সম্পূর্ণ করে, ‘চার অধ্যায়’-এর এলা, ‘মহানগর’-এর আরতি থেকে পৌঁছে যায় ‘মায়ানগর’-এর এলায়। এই যাত্রা, পৃথিবী নামক এক গ্রহের, কলকাতা নামক একদা আলোকপ্রাপ্ত কোনও এক শহরের ধংসের ইতিহাসের কথা বলে আসলে।’
‘রণেনকাকা আর আমি গল্প করছি বসে, কথা উঠল ‘কাবুলিওয়ালা’ সিনেমার পোস্টার নিয়ে। উনি প্রথমে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি পোস্টারটা দেখেছি কি না! আমি ‘হ্যাঁ’ বলতেই আলোচনা অন্যদিকে মোড় নেয়…’
‘তুলসী চক্রবর্তী এমন একজন অভিনেতা, যিনি স্বয়ম্ভূ, তাঁর কোনও পরিচালক লাগে না। সত্যজিৎ রায় বাঙালি জাতির হয়ে তাঁকে কৃতজ্ঞতা নিবেদন করেছেন, এইমাত্র। বাঙালি মধ্যবিত্তর আর্কেটাইপ তুলসীচরণ। স্বপ্ন আর স্বপ্নহীনতার অন্তর্বর্তী স্তরে একটু থতমত খেয়ে যেন চিত্রার্পিত।’
‘কুমার রায়কেই বহুরূপী-র নাট্য নির্দেশনা এবং ‘বহুরূপী’ পত্রিকা সম্পাদনা এবং অন্যান্য কাজের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। ফলত তিনিই ছিলেন আমার এবং আমার মতো আরও অনেকের প্রথাগত নাট্যশিক্ষার গুরু।’
‘রাস্তাঘাটের বাঁকে বাঁকে ফেরিওয়ালার ডাক কমে এসেছে। অন্যদিকে ট্রেনে বাসে ও ফুটপাতে হরেকরকম হকারদের হাঁকডাক বেড়েই চলেছে। যদিও ট্রেনে হকারি আজকের নয়, সম্ভবত ট্রেনের আরম্ভকাল থেকেই এই বিক্রেতারা আছেন।’
‘গল্প-লেখকদের নতুন ভাবনাচিন্তা, অজস্র কথার ছড়াছড়ি— নতুনভাবে গল্প লিখতে হবে। তৈরি হল এক ম্যানিফেস্টো। তৈরি করলেন রমানাথ রায়, এবং অন্যান্য সদস্যরা।’
প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে মার্কিন মুলুকের হাতের মুঠোয় এসেছিল গোটা দুনিয়া। অন্যদিকে সোভিয়েত রাশিয়া ভরসা করেছিল রক্তমাংসের মানুষকে। ম্যানহাটান প্রকল্পের ‘গুপ্তচর’ ক্লাউস ফুকস আজকের দিনেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, সেই উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ।
‘বেশ কয়েকবার আমাকে বুদ্ধবাবু বলেছিলেন, ‘আমি সেরকম মার্কসবাদী হতে চাই না, যে ভারতের মাটিতে চিনা পতাকা পুঁততে চায়। আমি ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিশ্বাসী।’’
‘নীল ব্যবসায়ীর সাহেবি অফিসের প্রতি এই দায়বদ্ধতার পুরস্কারস্বরূপ গিরিশচন্দ্র পেয়েছিলেন নিজের হাতের আঁজলার মাপে তিন আঁজলা টাকা। আর ২১০ টাকা উঠেছিল তাঁরই নেতৃত্বে ন্যাশনাল থিয়েটারের ‘নীলদর্পণ’ অভিনয়ের টিকিট বিক্রি থেকে।’
‘আমার ডাক্তারি চোখ কিন্তু যা বলল, তাতে বুঝলাম, এই রোগীকে আমার ছোঁয়াই উচিত নয়। একটা ট্যাক্সি ডেকে তৎক্ষণাৎ মেয়েটিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলাম। তখন কলকাতা জুড়ে হলুদ-কালো ট্যাক্সি চলে।’
‘লীলা মজুমদার বহুকাল আগেই আমার জীবনে ঢুকে পড়েছেন। ওঁর লেখা গল্পগুলো, মানুষগুলো, জায়গাগুলো, ম্যাজিকগুলো, সবগুলো আমার দৈনন্দিন রুটিনে উঁকি দেয়। এ এক খেলাচ্ছল!’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.