

মশগুল : পর্ব ৮
‘প্রথমদিকে সুযোগ পেতাম রঞ্জনদার টেবিলের সামনে বসে আড্ডা দেওয়ার। বেশিক্ষণ বসা যেত না। প্রায়ই সংস্কৃতির পাতার লেখকেরা এসে ভিড় জমাতেন। একদিন অফিসে এলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে সেই সিঁড়িতে তুমুল আড্ডা।’
‘প্রথমদিকে সুযোগ পেতাম রঞ্জনদার টেবিলের সামনে বসে আড্ডা দেওয়ার। বেশিক্ষণ বসা যেত না। প্রায়ই সংস্কৃতির পাতার লেখকেরা এসে ভিড় জমাতেন। একদিন অফিসে এলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে সেই সিঁড়িতে তুমুল আড্ডা।’
‘সুন্দরবনের লাহিড়িপুরের মেয়েটা বাপের বাড়ির দাওয়ায় বসে রাগ দেখিয়ে চোখ লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ বলে উঠেছিল, ‘কী লিখবেন আমাকে নিয়ে! এসব জানাজানি হলে আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে।’’
‘মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখার সেই অভিজ্ঞতা কোনওদিন ভুলব না। আমার প্রতিদ্বন্দ্বীই তো প্রকৃতি, তার কাছে তো নতজানুই হতে হয়। এখানে হাততালি কুড়োনোর কোনও জায়গা নেই।’
‘ইটভাটায় থাকলে তবু তো শুধু হাতে ব্যথা হয়। বাড়িতে থাকলে রাতবিরেতে মার খেয়ে সর্বাঙ্গে ব্যথা হয়। ব্যথা উপশমে ‘দবাই’ কেনা তাই অপচয়। মালিকের ঋণ শোধ করা ছাড়া বাকি সবই আসলে তাই।’
‘চ্যালেঞ্জিং মানে কি সবসময় যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে রিপোর্টিং? তা তো নয়। শুনতে নিরীহ মনে হলেও এক-একটা অ্যাসাইনমেন্ট ঘাম ঝরিয়ে দেয়।’
‘মেয়ে অফিসারের কাজ তখন কঠিন হয়ে যায়। উর্দি গায়ে থাকলে সে সহজেই চিহ্নিত হয়ে যাবে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাখি উড়ে যাবে।’
‘কলকাতার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে-মোড়ে, গলিতে, ফুটপাথে খেয়াল করলে ‘কলকাতা ফটাফট’-এর খোঁজ পাওয়া যায়। অনেক অনলাইন সাইটে এই খেলার খবর, উপায়, টিপস্, রেজাল্ট খুব সহজেই মেলে।’
‘ভারতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনগুলির একদম প্রথম অবস্থায় মন্ত্র ছিল, ‘একটি গাছ, একটি প্রাণ’। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সুড়ঙ্গে, নর্দমায় কাজ করা মানুষগুলি একটি প্রাণ হবার মর্যাদা কবে পাবে, সেই প্রতিশ্রুতি ক্রমশ ধূসর হয়ে যাচ্ছে।’
‘বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, রং চড়ানো গল্প, সত্যি ঘটনা ও কিংবদন্তি মিলিয়ে তৈরি হয়েছে কুব্রিক নামক এক অনন্য শিল্পীর ধারণা, যার ৪৭ বছরের চলচ্চিত্র জীবনে ছবির সংখ্যা ১৩।’
‘আমাদের এখানে শীতলা ফার্মেসিরা এতই উদার, তারা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ঘুমের ওষুধ দিয়ে দেয়। কলকাতাই একমাত্র শহর, যেখানে এমন যথেচ্ছ ঘুমের ওষুধ পাওয়া যায়, এদেশের অন্যান্য শহরেও এমনটা হয় না।’ কথালাপে জয়রঞ্জন রাম।
‘গার্সিয়া মার্কেসের লেখায় বারবার বিষয় হিসেবে এসেছে, নিঃসঙ্গতা। লাতিন আমেরিকার অন্য বহু লেখকের মতোই, তিনিও একটি কাল্পনিক ভূখণ্ড সৃষ্টি করেছিলেন, যার নাম দিয়েছিলেন, মাকোন্দো।’
‘কোভিডের সময় কত মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা যে হয়েছে। মানুষ কীভাবে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়— সেসময় দেখেছিলাম। এমনও হয়েছে, রোগী বাড়ি যেতে চাইছেন, বাড়ির লোক তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী নন।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.