ডায়েরি

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৪

‘একদিন আরতি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন দুই কবির কবিতায় ঋতুদের সম্বন্ধে। এই সুযোগে আমি ওঁকে এই ধরনের দীর্ঘ কাব্যের ছয়-ঋতু সর্গ সম্পর্কে বলতে শুরু করলাম। আরতি মাথা নেড়ে আপত্তি জানালেন— পৌড়িয়াল দার্জিলিং-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঋতু সম্বন্ধে কিছু লেখেননি কেন?’ ঋতুর কবিতা।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৩

‘তা দিল্লির লোক রেস্তরাঁ থেকে খাচ্ছে কী? একজন মাত্র সরবরাহকারীকে জিজ্ঞেস করে এই প্রশ্নের জবাব আদায় করার থেকে অবৈজ্ঞানিক প্রণালী আর কিছুই হতে পারেনা ঠিকই, কিন্তু বাজারে নেমে সমীক্ষা করার উপায় তো আর নেই। উত্তরে জানা গেল সেই পিৎজা এবং বাটার চিকেনের সাম্রাজ্য জারি আছে, খাওয়া নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মেজাজও লোকের নেই।’ দিল্লির কোভিড পরিস্থিতি।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৪

‘বই-খাতা, ছবি আঁকার সরঞ্জামের দোকানে সুন্দর, ছোট্ট ছোট্ট অটোগ্রাফ-খাতা পাওয়া যেত। আমাদের অনেকেরই তেমন একটা করে খাতা ছিল। সই সংগ্রহের ব্যাপারে আমাদের লজ্জা, ভয় অথবা সঙ্কোচ ছিল না। সই চেয়ে পাওয়া যায়নি এমন ঘটনা ছিল বিরল।’ শান্তিনিকেতন আর অটোগ্রাফ।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৩

‘আজও চকবাজার, রমনা, আজিমপুর পার হয়ে যাচ্ছে ঈদ মিছিল। মীরপুর, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুরে সারি সারি বাঁশ আর বেতের, কাঠের খেলনা, জরি, রং, আতর, ফিরনি, ঝলমলে জামা, হরেক খেলায় টইটুম্বুর ঈদের মেলা। উর্দুভাষী মহল্লায় গজল আর কাওয়ালির আসর।’ ঢাকার ঈদ।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৩

‘অবনীন্দ্রনাথ এই কবিতার নাম রেখেছিলেন ‘গদ্যছন্দ’— এঁকেছিলেন দুটো ছিপছিপে কোনিফার গাছ, যার মাথায় ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘমালা। এই ছবি আমার ভাইপোকে দেখাতে গিয়ে, শিলিগুড়ির প্রথম গ্রীষ্মের তাপেও, আমি শীত বোধ করে শিউরে উঠি।’ অবনীন্দ্রনাথের পাহাড়।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ২

‘পঞ্জাব থেকে শুরু করে হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, এমনকী আরও সুদূর প্রদেশের কৃষকরাও কাতারে কাতারে জমায়েত হলেন সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তাঁদের মতামত জানাতে। আন্তঃশহর সড়কে মাইলের পর মাইল ধরে তাঁদের অবস্থান।’ দিল্লির প্রতিবাদ।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৩

‘‘শান্তিনিকেতন’ জায়গাটার নামটাই কিন্তু একটা বাড়ি থেকে। বানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। আমার মতে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের যতগুলো বাড়িঘর রয়েছে, ‘শান্তিনিকেতন গৃহ’ তাদের সেরা।’ শান্তিনিকেতনের বাড়ির কথা।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ২

‘কৌস্তভ চক্রবর্তীর বিশ্লেষণে এই কাহিনি— এবং টোটোদের মৌখিক ইতিহাসে এর বহুবিধ বয়ান— হয়ে ওঠে ‘ক্যুয়ার জীবন’-এর প্রতিফলন, যেখানে বিষমকামী জীবনের বাইরে বাঁচা কোনও ব্যক্তি ধারাবাহিক ভাবে কিছু সম্পর্কের ভিতর দিয়ে যেতে থাকে।’ উপকথার বিকল্প পাঠ।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ১

‘কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন পাশ করে, দিল্লির সরকারের হাতে যেটুকু ক্ষমতা ছিল তাও ভোঁতা করে দেওয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন। এখন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমতি ছাড়া কেজরিওয়াল সরকার অনেক কিছুই করতে পারবেন না।’ সাম্প্রতিক দিল্লির হালচাল।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ২

‘বসন্তকে, আরও অনেক কিছুর মতো, আমরা চাই গলার মালায়, কানের দুলে। শান্তিনিকেতনের বসন্তে তাই ফুটতে না ফুটতেই পলাশের ডাল শূন্য। রংবেরঙের ব্যুগেনভিলিয়াই তাই আজকাল বাঁচিয়ে রাখে শান্তিনিকেতনের বসন্তকে।’ অন্য বসন্তের গল্প।

পিয়াস মজিদ

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ২

‘গির্জার পাশেই রক্তিম ইটের পুরনো বাড়ি, আমি আর মার্টিন মুখোমুখি। চা-বিস্কুট খেতে খেতে আমি শুনি আশি বছরের ভারে নুয়ে আসা দেহধারী মানুষটার কথা। একটা মানুষের জীবনের বৃত্তে লেগে থাকে কাঁহা কাঁহা মুলুকের গল্প!’ ঢাকার জোসেফ মার্টিনের গল্প।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ১

‘আমরা যে কলকাতার উপগ্রহ, কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই নিজেরা বুঝতে পেরে গেছিলাম। যখন জেলাভিত্তিক চাকরির জন্য আবেদন করতাম, পরীক্ষা আর ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য সেই কলকাতায় যেতে হত।’ উত্তরবঙ্গের জীবনের কথা।