ডায়েরি

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ১০

‘আজিজে যেটা সংকুচিত হয়ে উঠেছে সেটা হচ্ছে আড্ডা। আগে হাত-পা ছড়িয়ে কেতাবি দুরস্তের ধার না ধেরেও এখানে-সেখানে বসে সুবিধামতো আড্ডা দেওয়া গেছে। এখন সেসব জায়গা সংকুচিত, ফলে আড্ডাও ম্রিয়মান। আড্ডা এখন বসছে বুক ক্যাফেতে।’ বইয়ের দোকানের আড্ডা।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ১০

‘১৮৩৯-এর শীতকালে লেখা এই চিঠি এবং রিপোর্টগুলো, যখন দার্জিলিং-এর বৈশিষ্ট্য এবং খ্যাতির শুরু, পড়তে-পড়তে আমি বর্তমান দার্জিলিং-এর জীবনের সঙ্গে তুলনা না-টেনে থাকতে পারিনি।’ কতটুকু বদলেছে দুশো বছরের দার্জিলিং?

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ১০

‘…অভিভাবকেরা আশা রাখতেন, বেয়াড়া-বেয়াদপ ছেলেদের কবির বিদ্যালয়ে পাঠালে তারা হয়তো একদিন যথার্থ মানুষ হয়ে ফিরে আসতে পারবে। এই বিদ্যালয় গড়ে তুলতে রবীন্দ্রনাথকে বহু ব্যক্তিগত ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছিল।’ আশ্রম ও কবি।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৯

‘রাস্তার দু’ধারে, ফুটপাথে, বাজারের সন্নিকটে, যেখানেই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ, সেখানে গেলেই দেখা যাবে উপগ্রহের মতো অজস্র চিতই পিঠা লোকের হাতে-হাতে ঘুরছে। বছর দশ-পনেরো আগেও চিতই পিঠা এমন নাগরিক হয়ে ওঠেনি। তখনও শহরে চিতই পিঠা বিক্রি হত, তবে তা কিছু-কিছু জায়গায়।’ ঢাকার পিঠে।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়রি: পর্ব ৯

‘শীতকাল ঠান্ডা হবেই, এবং ঠান্ডা হবে শীতের বাতাস। কিন্তু আসন্ন শীতের নাটকটা একটু আলাদা— যখন না-পৌঁছনো শীতের ভূমিকা যেন শীতের চেয়ে লম্বা, এবং মধুর। ‘আদুরে ঠান্ডা’, ‘মিষ্টি ঠান্ডা’ – এই শব্দগুলো কথোপকথনে, বাড়ির মেনু তারির সময় আর পিকনিকের লিস্টে উঠে আসবে।’ শীতের হাওয়ার মাতন।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

Uttarbanga Diary: Part 9

‘…Adurey thhanda, affectionate chill, or mishti thhanda, sweet cold – these phrases will annotate conversations, decisions around menus at home and picnics, and clothing. All of these will mark November as a season unto itself – a season of waiting for the real season.’ Of a secret season-in-waiting.

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৭

‘…বহু দিন হল সারা দেশে একটা ধারণা হয়েছে, দিল্লির কলেজে না পড়তে পারলে জীবন বৃথা। যদিও প্রত্যেক বছর যে শ্রেষ্ঠ কলেজের তালিকা বেরোয়, তাতে অন্যান্য শহরের বহু কলেজ আছে।’ রাজধানীর আডমিশন-পাগলামি।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৯

ব্রাহ্ম ভাবধারায় দীক্ষিত মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন আশ্রমে মূর্তি অথবা ব্যক্তিপূজার বিরুদ্ধে মত দিয়ে গিয়েছিলেন। শান্তিনিকেতনে তাই তার প্রতিষ্ঠিতা-আচার্যের কোনও মূর্তিও চোখে পড়ে না, যার সামনে নতজানু হয়ে তাঁর বন্দনা করা যায়। স্মৃতি উদযাপনের বিষাদ, আনন্দ ও স্বাধীনতা।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৮

‘দোকানে তিনি বিরহের গান বাজাতেন (মূলত মান্না দে)। কিছুকাল পরে তিনি দেখলেন, তাঁর দোকানে অনেকেই খাবারের অর্ডার করে, কিন্তু খাবার না খেয়েই বিল দিয়ে চলে যায়। দোকানি বুঝতে পারলেন, ক্রেতারা যে-কোনও কারণেই হোক, গান শুনে পুরনো স্মৃতিতে কাতর হয়ে পড়েন, খাওয়া আর হয়ে ওঠে না।’ দুঃখের রেস্তরাঁ।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৮

‘ঠাকুরমশাই যতই কষে সাইকেলের বেল বাজান, রেগে চিৎকার করেন বা শেষমেশ কাকুতি-মিনতি করেন (‘ওরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে যে…’), আমাদের নট নড়ন-চড়ন। এর পরেই আমাদের বাড়ির কম্পাউন্ডে ওঁর সাইকেল, এবং মন্ত্রপাঠ; প্রথমে আমাদের বাড়ি, তারপর বাপ্পাদের।’ পুরুতের হাইজ্যাক।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৬

‘…ওই নমো নমো করে আর কি! নো জাঁকজমক। এবারও তাই। ওটা তো ধর্মের ব্যাপার, আসল জিনিস তো প্যান্ডেল-ভিড়-স্টল-খাওয়া দাওয়া-পি.এন.পি.সি.। দিল্লির পি.এন.পি.সি. আবার স্পেশাল, আমলা-মন্ত্রী-সম্পাদক-টাইকুন এদের ছাড়া কারো নিন্দে কেউ ধার ধারে না।’ রাজধানীর পুজো।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৮

শর্বরী এগোচ্ছেন পুরস্কার নিতে। দাড়িতে ফুল নেই, নিশ্চিন্ত আয়োজকরা। পুরস্কারদাতার কাছাকাছি যেতেই সবাইকে হতভম্ব করে পকেট থেকে একটা ফুল হাতে নিয়ে দাড়িতে গুঁজে নিলেন শিল্পী। উল্টে দেখা কাজ অথবা খেয়ালি শিল্পীর দাড়িতে গোঁজা ফুলের জন্য পুরস্কার কিন্তু ফেরত নেয়নি রাষ্ট্র। শান্তিনিকেতনের আজব কিস্সা।