নবীন versus প্রবীণ
‘সমানাধিকার আদৌ হবে কি না তা সময় বলবে, তবে হিংসার ব্যাপারে আজকের মহিলারা যে পুরুষদের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করতে পারেন, তার প্রমাণ রোজকার জীবনদৃশ্য, খবর, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো।’
‘সমানাধিকার আদৌ হবে কি না তা সময় বলবে, তবে হিংসার ব্যাপারে আজকের মহিলারা যে পুরুষদের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করতে পারেন, তার প্রমাণ রোজকার জীবনদৃশ্য, খবর, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো।’
‘কিন্তু এই গলি-থেকে-রাজপথের আশ্চর্য গল্প বলার জার্নিতে-ই ছবিটা আমাদের হতাশ করে— সবকিছুই কেমন যেন ছকে বাঁধা। এটি একটি মিউজিকাল— উইলি গান গেয়ে জার্নি শুরু করে, বিপদে পড়লে গান গায়, আবার খুশি হলেও।’
‘দার্জিলিং-এর যা ওয়েদার তাতে টিকে থাকতে গেলে হয় প্রেম করে যেতে হবে, নয়তো ভূতের ভয় পেতে হবে! মানে আর কিছু তাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবে না জীবনের দিকে। তা ছাড়া যে জনজাতির ইতিহাসে দীর্ঘ ট্রমা রয়েছে তাদের যৌথ-অচেতনে ভূতের অস্তিত্ব এসেই যায়।’
‘পুরো ছবিটাই আসলে আমাদের সুশীল সমাজের রূপক, যেখানে মেয়েদের পাশে থাকা, তাঁদের সমানাধিকার নিয়ে গলা ফাটানো ছেলেটারও (সুযোগ বুঝলে) উৎসুক আঙুলগুলো রাতের অন্ধকারে মেয়েটার প্যান্টের বোতাম হাতড়ায়— ‘না’ শোনা সত্ত্বেও।’
‘তাব্বু এবং অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন-এর যে রসায়নের উপর ভিত্তি করে পরিচালক গল্পটিকে একটা আবেগময় বুনট দিতে চেয়েছেন, সে রান্নায় উনি একদম নুন দিতে ভুলে গেছেন! এই জুটির ভালবাসা, বিচ্ছেদ, দুঃখ কোনওটাই মনে দাগ কাটে না।’
‘ম্যাটেল কোম্পানির তৈরি একটি পুতুল আস্তে আস্তে সচেতন হয়ে উঠছে এবং নিজে গটমট করে নিজেরই স্রষ্টা ম্যাটেলের সদর দপ্তরে ঢুকে পড়ছে, এই দৃশ্য অযুত সম্ভাবনার জন্ম দেয়।…কিন্তু সেই সম্ভাবনার বীজ গাছের জন্ম দেয় কি?’
‘সেই বলশেভিক বিপ্লবের সময় থেকেই আমেরিকা কমিউনিজমের ভূত দেখত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর সঙ্গে ‘ঠান্ডা যুদ্ধের’ সময় তা আরও প্রকট হয়।’
‘গোটা সিরিজটি জুড়ে রয়েছে এক আশ্চর্য শূন্যতা। চরিত্ররা নিজেরাও হয়তো জানে না, তারা এক দিশাহীন শূন্যতার ঘূর্ণির মধ্যেই নিত্যকার জীবন কাটাচ্ছে। ‘কোহ্রা’ শুধু ঝাপসা হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কান্না দেখায় না। সুযোগ এনে দেয় উপলব্ধির আর প্রায়শ্চিত্তেরও।’
‘এলিয়েনেশন যে নিছক সামাজিক বা অর্থনৈতিক তত্ত্ব নয়, এর যে একটা বিরাট প্রভাব পড়ে আমাদের চারপাশের রক্তমাংসের মানুষের উপরে, জাগৃতি বা ইমরানদের মানসিক ব্রেকডাউনের উপর দর্শকের দৃষ্টি টেনে রেখে তা স্পষ্ট দেখিয়ে দিল ‘স্কুপ’।’
‘রাজীবের নাটকে সত্য আড়ালে ছিলেন। মেঘের আড়ালে শূন্যের মতো। সুমন তাঁকে মঞ্চে নিয়ে এলেন। রিয়্যালিস্টিক ড্রামার মোড়ক ছাড়িয়ে একটু ফ্যান্টাসি এলিমেন্ট জুড়ে দিলেন। কোনো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নের খেই ধরে নেই, এমনিই।’
ছবির প্রথমেই সম্ভব-অসম্ভবের এক মায়াজগতে ঢোকার আভাস থাকে। ছবির পরতে পরতে দগদগে মানবিক প্রবৃত্তির ছাপ, অসামান্য অভিনয়, সুরের মাতাল নেশা, তেমনি ফোটোগ্রাফি কিন্তু আদতে জমাট বাঁধে না গল্প। তাই প্রত্যাশা অপূর্ণ থেকে যায়। হাওয়া ঝড় তুলল না।
‘বাংলার বহুত্ববাদী অতীতের সুতোয় টান মেরে সংস্কৃতির ভাঙা সেতু চিনিয়ে দিলেন প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। এই সেতুর মেরামতি যে আমাদের মতো দেশে যে-কোনও শিল্পের আদত কর্তব্য এবং বুকে-পিঠে গজাল না ঠুকেও যে তা করে ফেলা যায় ‘দোস্তজী’ তারও বিজ্ঞাপন।’ সমন্বয়ের সংকেত।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.