

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল : পর্ব ৪২
‘মেট্রো থেকে যখন টালিগঞ্জে নামছি, তখন আরেক দফা হুড়মুড়িয়ে নামল আকাশ ভেঙে। বুঝলাম, আজ কপালে প্রভূত দুঃখ অপেক্ষা করে আছে। এই মুষলধার বৃষ্টিতে কতক্ষণ যে লাইনে দাঁড়াতে হবে, কেউ জানে না, অটো পাওয়া তো অনেক পরের কথা।’
‘মেট্রো থেকে যখন টালিগঞ্জে নামছি, তখন আরেক দফা হুড়মুড়িয়ে নামল আকাশ ভেঙে। বুঝলাম, আজ কপালে প্রভূত দুঃখ অপেক্ষা করে আছে। এই মুষলধার বৃষ্টিতে কতক্ষণ যে লাইনে দাঁড়াতে হবে, কেউ জানে না, অটো পাওয়া তো অনেক পরের কথা।’
‘অথচ দিন ছিল তো বেশ ঢালু/গড়াত রোদ নীল জলের দিকে/এখানে তাও প্রবাদ আছে চালু,/সহানুভূতি পায় না দুঃখীকে। আবার কোনও বসতি-অবসরে/চিঠির ভাঁজে বানিয়ে নিয়ো বিমান…/তোমার হাতে ক্ষয়ক্ষতির পরে/বিষাদ মাপে অবসানের সীমা।’
‘কে নেয় তাকে বইয়ের ভাঁজে, কে করে গুম খুন
এ সবই তারা জানে।
বসন্তেও কাজ পায় না চৈত্র-ফাল্গুন
মড়ক লাগে ধানে।’
‘মহামূল্যবান অস্ত্রটি ছুড়ে মারার পর নিরঞ্জন আবার সেটি ফেরত চাওয়ার জন্য ধেয়ে যেত। এ-কথা সকলেরই জানা ছিল। তাই নিরঞ্জন পাগলা বিড়ি ছুড়ে মারলে ক্রিকেটের লোপ্পা ক্যাচের মতো লুফে নেওয়াই ছিল পাড়ার ছেলেদের দস্তুর।’
‘সেলাই ক’রে দিচ্ছে অতীত, যা কিছু তার খুব পুরনো/ঢেউয়ের মতোই সুতোর দাগে নৌকা ভাসান যাচ্ছে স্মৃতির জল…/পালের গায়ে হাতের লেখা ঝাপটা লেগে ধুয়েই গেল/ শহর তখন চাক্কা জ্যামে। অসন্তোষে জ্বলছে মফসসল/’ নতুন কবিতা
‘নিশান নাকি উত্তরীয়, এখন সবই ঝাপসা/দূরের কোনও ঘণ্টাধ্বনি, ভালই লাগে শুনতে/ঝমঝমানো ঝর্না, যাকে উর্দু ডাকে ‘আবশার’/তাই দেখে খুব থমকে গেছ। গন্তব্য রুমটেক/’ নতুন কবিতা
বাংলা কবিতার জগতে ভাস্কর চক্রবর্তী এক বহতা নদী। যে নদীতে ডুব দেওয়া যায়, আঁজলা করে ছিটিয়ে আত্মা ভেজানো যায়, আবার আনমনে বসে থাকা যায় পাড়ে, কিন্তু সে নদী নীচু স্বরে অথচ তীব্র অভিঘাত নিয়ে বয়ে চলে ঋদ্ধ করে তোলে দুই কিনারা।
‘খুব অল্প দামের এক প্লেট মুরগির ঝোল আর রুটির স্বাদ পৃথিবীর সব কিছুকে হার মানাতে পারে আজও। কেবল অতীতকে পারে না। বাবার পাত থেকে এক সময়ে কত খেয়েছি। আজ আর চাইলেও বাবাকে একটু তুলে দিতে পারি না আমার পাত থেকে।’
কবি শুধু কবি নন, তিনি দ্রষ্টা; যিনি অনুভব করেন সময়ের হাতছানি, দেখতে পান সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। ভাস্কর চক্রবর্তী-র শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘জিরাফের ভাষা’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্যসাধারণ সংযোজন, বছর কুড়ি পরেও যা একই রকম মুগ্ধতার আবেশ রেখে যায়।
ছেলেবেলায় পাহাড় বলতে ছিল ছোটমাসির জামশেদপুরের বাড়ি থেকে দেখা দূরের দলমা পাহাড়। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে আশুতোষ কলেজের ভূগোল বিভাগে ভর্তি হয়ে এক্সকারশনে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে জীবনে প্রথম উচ্চতার সামনে মুগ্ধ হয়ে দাঁড়ানো। প্রকৃত পাহাড় দেখা।
‘বাইরের দুনিয়াটা বদলে গেছে অনেকখানি। আমার মধ্যেকার সেই একার দুনিয়াটা অবশ্য থেকে গেছে এক কোণে, যে আজও আকাশবাণীর ক্যান্টিনে কিছুতেই ঢুকতে চায় না। পাছে দেবাশিসদার কথা মনে পড়ে যায় তার!’
কইফি আজমি এমন একজন কবি যিনি সব সময় প্রাসঙ্গিক। আজকের এই অস্থির সময়ে অথবা চরম অসহায়তা, প্রেমের ব্যর্থতার সময়েও তাঁর লেখা আমাদের আশ্রয় হয়ে ওঠে। ‘ওয়াক্ত নে কিয়া কয়্যা হসিঁ সীতম’ কিংবা ‘কোই ইয়ে কয়সে বাতায়ে’র মতো গানও কালজয়ী হয়।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.